somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কেনিয়ার কোণে কোণে (প্রথম কিস্তি)

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছোটবেলায় ঠিক কোন্ সময় আফ্রিকা যাওয়ার ইচ্ছা মনের মধ্যে গেঁড়ে বসেছিল তা ঠিক মনে করতে না পারলেও এটা বেশ মনে আছে যে এর পিছনে সেবা প্রকাশনীর ভূমিকা অনেকখানি। মনের মধ্যে ইচ্ছাটা পোক্ত করার পিছনে হাত রয়েছে বেশ কয়েকজন লেখকের তবে তাদের মধ্যে আলাদা করে জন হান্টার, হেনরী রাইডার হ্যাগার্ড আর এডগার রাইজ বারোজ এর কথা বলতেই হবে। আর একজনের ভূমিকা না বললেই নয় - আমার মায়ের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বান্ধবী যিনি বেশ কয়েক বছর কেনিয়া এবং উগান্ডাতে ছিলেন। তাঁর কাছেই প্রথম জানতে পারি যে কেনিয়া নামক দেশটিতে বন্যপ্রাণীর এমন রিজার্ভ আছে যেখানে বন্যপ্রাণীরা মুক্ত পরিবেশে ঘুরে বেড়ায় আর মানুষেরা খাঁচার ( মানে গাড়ীর মধ্যে আর কি) মধ্যে থেকে তাদের কে দেখে। তাই ২০১১ এর ঈদের ছুটিতে আমার বেশীরভাগ সহকর্মী যখন ইউরোপ বা নিজ নিজ দেশে উড়াল দিল তখন আমি পাড়ি জমালাম কেনিয়ার দিকে। কেনিয়াতে যাওয়ার পিছনে আর একটা যে প্রধান কারণ ছিল সেটা হল ঠিক সেই সময় গ্রেট মাইগ্রেশন এর মূল অংশ টা ছিল মাসাই মারায়।
কেনিয়া তে বেশ কয়েকটা ফরেস্ট রিজার্ভ আছে - কিন্তু ৯ দিনের সফরে তো আর সবগুলো দেখা সম্ভব না। তাই ঠিক করে ফেললাম মাসাইমারা ন্যাশনাল রিজার্ভ, লেক নাকুরু ন্যাশনাল পার্ক, লেক নৈভাসা আর আম্বোসেলী ন্যাশনাল পার্ক যাওয়া হবে। এক্ষণে বলে রাখি, বিভিন্ন পার্ক/রিজার্ভের এবং তার আশেপাশের ল্যান্ডস্কেপ, বন্যপ্রাণী, স্থানীয় জাতিগোষ্ঠী আলাদা, সেই কারণে সময় থাকলে প্রত্যেকটা পার্ক/রিজার্ভ ঘুরে দেখতে পারলে ভাল আর আমার মত হাতে বেশী দিন না থাকলে যে কয়টা সম্ভব তা বেছে নিতে হবে আরকি।
নাইরোবী তে হোটেল এ ব্যাগ ট্যাগ রেখেই বেরিয়ে গেলাম বোমাস অব কেনিয়া দেখতে। ২০ মিনিটের রাস্তা যখন দেড় ঘন্টায় পৌঁছলাম তখন কিছুটা শাপ শাপান্ত করলাম আমার এক কেনিয়ান সহকর্মীর উদ্দেশ্যে। বেশ কয়েকবার তার সামনে ঢাকার যানজট নিয়ে আলোচনা করলেও যে কিনা ঘুণাক্ষরেও নাইরোবীর যানজট এর কথা উল্লেখ করেনি। বোমাস অফ কেনিয়ার মূল আকর্ষণ হল এখানে কেনিয়ার প্রায় ৫০ টি জাতিগোষ্ঠীর গ্রাম/বাড়ীঘরের রেপ্লিকা রয়েছে।


আরও রয়েছে ১২ টির মত জাতিগোষ্ঠীর নৃত্যানুষ্ঠান উপভোগের সুযোগ।


বোমাস অফ কেনিয়ার পরের গন্তব্য বিখ্যাত রেস্টুরেন্ট কার্নিভোর। নাম শুনেই হয়ত আন্দাজ করতে পারছেন যে মাংসাশী মানুষের জন্য কি চমৎকার একটা রেস্টুরেন্ট হতে পারে সেটা, আর বেশী কিছু না বলে সেদিনের থুক্কু সে'রাতের মেন্যুটা দিয়ে দিই।


যারা আমার কাঁচা হাতের তোলা ছবি থেকে বুঝতে পারছেন না কি কি আছে মেন্যুতে তাদের জন্য জানিয়ে দেই গরু, ভেড়া, মুরগী, টার্কি এইসব সাধারণ দৈনন্দিন প্রাণী ছাড়াও এখানে পাওয়া যায় উট, উটপাখী, কুমীর এর মাংস এবং মাংস ছাড়া অন্যান্য প্রত্যঙ্গ অর্থাৎ কলিজা, কিডনী, হৃদপিণ্ড, অণ্ডকোষ ইত্যাদি। ২০০৬ এর আগে বন্যপ্রাণী ও পাওয়া যেত তবে এখন আইন করে বন্ধ করা হয়েছে সেসব, হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে বন্যপ্রাণীরা এবং তাদের প্রতি যে গুটিকয় মানুষের ভালবাসা আছে তারা।
এত ধরণের খাবার রান্নার জন্য তো চুলাটাও তো হওয়া দরকার মাশাল্লা সেরকম -


জেব্রা প্রিন্ট এর পোশাক পরে পরিবেশনকারী রা ঘুরে বেড়াচ্ছে কখন কোথায় কার প্লেট ফাঁকা তা দেখার জন্য আর ফাঁকা দেখলেই ভর্তি করে দিচ্ছে মাংস দিয়ে একরকম জোর করেই।


খাবারের স্বাদের কারণেই হোক অথবা পরিবেশনকারীর হাতে থাকা বড় ছুরির কারণেই হোক পেট ভরে গেলেও লোকজন পারতপক্ষে না বলছে না।
খাবারের একটা ছবি জুড়ে দিলাম এখানে, বলুন দেখি কিসের মাংস এটা -


ভরপেট খেয়ে বাইরে বেরোতেই চোখে পড়ল একটু সুভ্যেনির শপ এর। অল্প টাকার বিনিময়ে এখানে মাসাই রাজার পোশাক পরে ছবি তোলা যায়। তো দেখে নিন নতুন মাসাইরাজকে সভাসদ সহ -


পরের দিন যাত্রা শুরু হল মাসাই মারার দিকে। হাসিখুশি জেমস ওনসঙ্গো সকালবেলায়ই জানিয়ে দিল যে আমাদের যাত্রাপথের সাথে আর কারও মিল না থাকায় আমি আর আমার স্ত্রীই শুধু তার সাথে যাচ্ছি, যার মানে হচ্ছে অবারিত স্বাধীনতা, গ্রুপের অন্য কারও কথা ভেবে নিজের চাহিদা চেপে যাওয়ার কোন দরকার নেই, ইচ্ছামত ঘুরাঘুরি করা যাবে, যতক্ষণ খুশী সময় নিয়ে ছবি তোলা যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিছুটা রাস্তা যাওয়ার পরেই বুঝতে পারলাম জেমস শুধু গাড়িই চালায় না সে একাধারে গাইড এবং প্রাণী বিশেষজ্ঞ। প্রায়ই এরকম ঘটনা ঘটেছে যে গাড়ী চালাতে চালাতে জেমস বলছে ওইইই দুরে দেখ - ওখানে একটা মেয়ে জিরাফ ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা খালি চোখে দুরে থাক, দূরবীন দিয়ে কোনরকমে জিরাফের অবয়ব ঠাহর করছি, লিঙ্গ সনাক্তকরণ তো আরও দুরের ব্যাপার।প্রায় দুঘণ্টা রাস্তা মসৃণভাবে যাওয়ার পরে পড়লাম প্রচণ্ড এবড়োখেবড়ো রাস্তায়। প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণ ট্যুরিস্ট মাসাই মারা আসে তাও রাস্তার এ হাল কেন ঠিক বোঝা গেল না। মাসাই মারা রিজার্ভ এ প্রতিদিনের এন্ট্রি টিকিট এর দাম কিন্তু উন্নত অনেক দেশের তুলনায় ও বেশ চড়া।
প্রথম যাত্রাবিরতি হল একটা স্যুভেনির শপে। প্রথমেই চোখ চলে যায় দোকানের বাইরে সাজিয়ে রাখা মাসাই ঢাল আর ঢাকের দিকে। তাছাড়াও রয়েছে মাসাই বল্লম আর প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরণের বন্যপ্রাণীর মূর্তি।
মাসাই ঢাল আর বল্লমের এমন দাম হাঁকল যে দরদাম করার সাহস হল না।


বেশ কিছু দূর যাওয়ার পর চোখে পড়ল বিশাল গম-ক্ষেত যার মাঝে মাঝে রয়েছে আফ্রিকান অ্যাকাসিয়া গাছের সারি।


হঠাৎ গাড়ী থামিয়ে জেমস বলল একপাল জিরাফ আর জেব্রা চলে যাচ্ছে আমরা দেখতে পাচ্ছি কিনা। প্রথমে কিছু দেখতে না পেলেও খানিক পরে নজরে আসল বিশাল দলটির। গুনে গুনে দেখলাম প্রায় ২২ টি জিরাফ আছে দলটিতে, এত বড় জিরাফের পাল সাধারণত: রিজার্ভের বাইরে দেখতে পাওয়া যায় না, নিজেদেরকে তাই বেশ ভাগ্যবান মনে হল।


নাইরোবী থেকে রওয়ানা দিয়ে মাসাই মারার সেকেনানি গেটে পৌঁছতে ঘড়িতে দেখি প্রায় ৫ ঘণ্টা পার হয়ে গেছে। সিদ্ধান্ত হল ক্যাম্পে লাগেজ রেখে আবার রিজার্ভে ঢুকব। হাতে আছে মাত্র দেড় দিন সময়, এর মধ্যেই ১৫১০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত এই রিজার্ভ এর যতটুকু দেখা যায় দেখে নিতে হবে। সেকেনানি গেট থেকে চলতে লাগলাম তালেক গেটের দিকে রিজার্ভের মধ্য দিয়েই। যাওয়ার পথে কিছু থমসন'স গ্যাজেল, গ্র্যান্ট'স গ্যাজেল আর ওয়াইল্ডাবীস্ট ছাড়া তেমন কিছু চোখে পড়ল না।



চলার পথে জেমস হাতে ধরিয়ে দিল পূর্ব আফ্রিকার বন্যপ্রাণীর সচিত্র বর্ণনা সহ একটা বই, বইটা পড়েই প্রথম জানতে পারলাম গ্র্যান্ট'স গ্যাজেল আর থমসন'স গ্যাজেল কিভাবে আলাদা করা যায়, বিভিন্ন ধরণের জিরাফের মধ্যে পার্থক্যগুলো যদিও আগে থেকেই জানা ছিল কিন্তু বইটা পড়ে আবার ঝালিয়ে নেওয়া গেল মাসাই আর রথসচাইল্ড'স জিরাফের মধ্যে পার্থক্যগুলো।
ক্যাম্পে আমাদের লাগেজ রেখে রিজার্ভে প্রবেশ করা মাত্রই দেখি একটা টোপি একা একা চড়ে বেড়াচ্ছে।


একটু এগোতেই পেলাম একটা ক্রেস্টেড ফ্রান্কোলিন, ঘুরে বেড়াচ্ছে গুটি গুটি পায়ে।


দেখলাম হাতির ছোট্ট একটা পাল। কিন্তু যাদের জন্য মাসাই মারা বিখ্যাত সেই বিখ্যাত সিংহ বাহিনীর কোন দেখা নেই। অবশেষে দেখা মিলল তাদের। প্রায় ১৫-১৬ টি সিংহের একটা প্রাইড যদিও কেশর-ওয়ালা কোন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ সিংহ সে দলে নেই।


গর্বিত-ভাবে বসে থাকার ভঙ্গি দেখেই বোঝা যাচ্ছে দলটির দল-নেত্রী কে


ফেরার সময় দেখি একটা থমসন'স গ্যাজেল তাকিয়ে আছে এক দৃষ্টিতে আমাদের দিকে।


ক্যাম্পে রাতের বেলায় মাসাই নাচ দেখে দিলাম এক ঘুম। সারাদিন শরীরের উপর দিয়ে তো আর কম অত্যাচার যায় নি।
পরেরদিন জেমস জানাল যদিও আমাদের জন্য প্রতিদিন ২ সেশনে ২ ঘণ্টা করে সর্বমোট ৪ ঘণ্টা সাফারি বরাদ্দ, কিন্তু আমাদের যদি আপত্তি না থাকে তাহলে সে আমাদের সারাদিন রিজার্ভে ঘোরাতে রাজী আছে, তার একটাই আবদার - আমরা যেন তাকে সকাল সকাল বেরোতে না বলি। যদিও ভোরের সময়টাই সাফারি যাওয়ার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় কারণ বেশীরভাগ শিকারি প্রাণীগুলি এই সময় তাদের শিকার পাকড়াও করে, তবুও সারাদিন ঘোরার লোভে রাজী হয়ে গেলাম। পরে বুঝতে পারলাম যে খুব একটা ভুল করিনি।
দিনটা শুরু হল মারাবু স্টর্ক দিয়ে।


এর পরে দেখলাম রাপেল'স শকুন আর স্পট হায়েনার সহাবস্থান। যার জন্য অবস্থান তার অবশ্য কিছুই আর তেমন অবশিষ্ট নেই।


একে একে চোখে পড়ল সেক্রেটারী বার্ড


আর সাউদার্ন গ্রাউন্ড হর্ণবিল।


আর তার পরেই চোখে পড়ল তাঁকে। একা একা বসে আছেন রাজকীয় ভঙ্গিমায়।


কিছুটা এগিয়ে পেলাম কমন এলান্ড এর দেখা - জেমস এর ভাষ্যমতে অ্যান্টিলোপকূলের মধ্যে সবচেয়ে সুস্বাদু যার মাংস।


সুস্বাদু মাংসের অধিকারী হওয়ার কারণেই হয়ত যত অ্যান্টিলোপ দেখেছি তার মধ্যে সবচেয়ে কম চোখে পড়েছে এদেরকে। জায়ান্ট এলান্ড আবার পূর্ব আফ্রিকাতে পাওয়া যায় না, ওনাদের কে দেখতে হলে যেতে হবে মধ্য আফ্রিকায়।
একবারই মাত্র চিতার দেখা পেলাম যার খুব কাছে ঘোরাঘুরি করছে ওয়াইল্ডাবীস্ট এর দল ।


চিতা খুব বিপদে না পড়লে সাধারণত: ওয়াইল্ডাবীস্ট কে আক্রমণ করে না তাই ওয়াইল্ডাবীস্ট এর দল নির্বিঘ্নেই কাছেপিঠে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
চিতাবাঘও পেলাম, ঝোপের আড়ালে বিশ্রামরত অবস্থায়।


একটা ক্লিফের উপরে গিয়ে পেলাম অলিভ বেবুন,


দেখলাম তাঞ্জানিয়ার সীমানা আর গ্রেট মাইগ্রেশনের অংশ ছোট একটা ওইল্ডাবীস্ট এর দলকে পাড়ি দিতে।


জেমস এর কাছে জানতে চাইলাম কোনভাবে গ্রেট মাইগ্রেশন এর নদী পারাপারের অংশটা দেখা সম্ভব হবে কিনা। যদিও নদীর খুব কাছে আমরা ছিলাম না কিন্তু জেমস প্রায় ঘন্টাখানেক গাড়ি চালিয়ে আমাদের নিয়ে গেল মারা নদীর ধারে। আমাদের ভাগ্য ভাল কারণ আমরা নদীর যে পাড়ে আছি সে পাড়ে ছোট একটা দল নদীর অপর পাড়ের বিশাল দলকে ডাকাডাকি করছে।


জেমস জানাল খুব তাড়াতাড়ি অপর দলটি নদী পাড়ি দিবে না। সুতরাং সময় নষ্ট না করে এই ফাঁকে লাঞ্চটা করে ফেললেই ভাল হয়। প্রায় ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করলাম এক জায়গায়, আমাদের মত আরও ৫-৭ টা গ্রুপ তারাও প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে অপেক্ষা করে আছে সেই শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য দেখার জন্য। নদীতে কুমির প্রস্তুত হয়ে আছে শিকার ধরার আশায়


ঠিক সেই সময় নদীর অপর পাড়ে দুটো সাফারি গাড়ি বেশ জোরে চালিয়ে নিয়ে গেল ওয়াইল্ডাবীস্ট আর জেব্রার দলটার মধ্য দিয়ে। ছত্রখান হয়ে যাওয়া দলটি এর পরে নদী পাড়ি না দিয়ে আবার ফিরে গেল। মঞ্চ পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল কিন্তু কিছু অকালকুষ্মাণ্ড র জন্য ভেস্তে গেল সবকিছু - কষে গালি দেওয়ার ইচ্ছে মনের মধ্যে পুষে রেখে আমরা ফিরতে লাগলাম আমাদের ক্যাম্পের দিকে।
ফেরার পথে প্রথমেই পড়ল জলক্রীড়ায় মত্ত একপাল জলহস্তী


আর গুটি গুটি পায়ে হেঁটে যাওয়া মিশরীয় রাজহাঁস ( ইজিপশিয়ান গুজ)।


বাচ্চা দুটো মাসাই জিরাফকে দেখলাম মায়ের দিকে ছুটে যেতে।


দুই পুরুষ ইমপালা ঝগড়া বাধিয়েছে হয়তো কোন সুন্দরীর জন্য


আপনারাই বলুন কয়টা জেব্রা আছে এখানে-


বোহর রীডবাকের এই দৃষ্টিকেই হয়ত কবি বলেছেন চকিতহরিণপ্রেক্ষণা -


ছোট ছোট ছানাপোনা নিয়ে এই নবদম্পতি যখন শেষ বিকেলের নরম আলোয় খুনসুটিতে ব্যস্ত


তখন বৃদ্ধ এই দম্পতি হয়তো গুণে চলছে জীবনের শেষ দিনগুলি।


সন্ধ্যা নেমে আসছে, আমাদের ও রিজার্ভ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হবে। শেষ হয়ে গেল মাসাই মারার দিনগুলি -

বিষণ্ণ মারাকে বিদায় জানিয়ে নিজেও বিষণ্ণ হয়ে ফিরে চললাম ক্যাম্পের দিকে।




ছবি কৃতিত্ব: ৩/৪ টা বাদে বাকী সকল ছবি তোলার কৃতিত্ব আমার স্ত্রীর। কোন্ গুলি আমার তোলা সেটা নিয়ে দাম্পত্য বিবাদ ২০১১ সাল থেকে এখন অবধি চলছে।X(

দ্বিতীয় পর্ব
তৃতীয় পর্ব
চতুর্থ ও শেষ পর্ব
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮
৩০টি মন্তব্য ৩০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×