অলস দুপুর, মেঘের আলিঙ্গন হয়ে ভেসে আসে
অকুল বিহঙ্গীর বিবর্ণ মিশেল। দৃষ্টিতে থাকে
সিক্ত জিজ্ঞাসা নয়ত জিঘাংসা সমেত
মাতৃরুপী কার্পন্যতা নাকি বিবেক-
নীতি আর কপটতার রিমেক!
ঘরকুনোর নামে স্বীয় সত্তার
লোপাট, গত ফাগুন
হয়েছে অতীত, নিয়ে
কতিপয় অশ্রু, রোদন
মাখা চিরকুট দু-একটি আর পাজরের
রণক্ষেত্রে এথিনার ত্রিশুলের
দেয়া বর-বিচ্ছেদরুপী ট্র্যাজেডী।
পিঞ্জরের সুর শলাকায়
হয়না আলোড়ন আর!
ধরা-অচিনপুরে আজ হৃদ
হারমনি বিকোতে ভার।
অস্ফুট পদ্য আর দর্শন দেয় চিক্কন-
ওসব যে মরিচিকা,
নয়তো প্লাসমা ভেজা পবন;
স্পর্শাতীত ঝলসাবে আপনা মন!
বিগত আজ পৌষ, মাঘের
বিদায়ী ডাক এলো করে
নব বাসন্তী ব্যাঞ্জনার
আগমনী বার্তা। বিহ্বল করে
স্বপ্নাদ্রষ্ট সুবাসিত নীহার
বা ঘৃতকাঞ্চন বৃতি-
জাগে আবেগ, হয় উদ্বেল
কতিপয় অপ্রাপ্তি।
তবুও সুপ্তিদর্শনের অনশনে
আজও রয় অভুক।
জ্যোৎস্না পীয়াসু আমার আমি!
আধারে পরে চোখ-
ভেসে আসে অশ্রুত কানাকানি,
বাতায়ন হতে বলে ওঠে,
আসছে সে আসছে তব তরে, রও
অপেক্ষায়-
তাই আজও ফাগুন তোমার
প্রতীক্ষায়......।