somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১৮-১১-২০১৪

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১.
সবথেকে কাছেও আসা যায়।
অন্য সবাই তখন ঘুমিয়ে থাকে, অথবা
ছদ্মবেশী ঘুমের আড়ালে তারা বুনতে থাকে ভয়ঙ্কর ধ্বংশ-জাল!
বিস্তৃত ফাঁদের ফাঁক-ফোকড় খুঁজে আমরা এগিয়ে যাই।
আমাদের চলার গতি ধ্রুপদী সংগীতের থেকেও বেশী সাবধানী।
আমাদের প্রতিটি পা তাল মেনে চলে।
এই দুঃসময়ে আমরা সংগীতের মতো এগিয়ে চলি।
২.
এক সুরে বেজে যাই আমরা, পিয়ানো-ভায়োলিন।
সুর থেকে সুরে ছুটে চলি,
কখনো আমরা তুমুল বাজি, কখনো শুধু একতারা।
তুমি বাঁশি আমি ক্ষ্যাপা ঢোল, আমরা ঝড়ের দিনেই সবথেকে সুরে বাজি।
অথবা, একটি বিকেল, আমরা তালি-তুড়ি বেজে সুর হই। আর
শত্রু ঘেরা দুঃসময়ে যখন আমরা মৃদু টুং-টাং বেজে, আমরা
আটকে রাখি আমাদের প্রিয় শ্বাস-
তখন আমরা শুনতে পাই, আমাদের হৃদয় বাজে,
আমাদের রক্ত বাজে হৃদয়ের সুরে।



৩.
ফাঁদ এড়িয়ে চলতে হয়। কখনো আমাদের পা কেটে-ছিলে যায়। কখনো আমরা ধ্বংশ করি কয়েকটা ফাঁদ। কখনো আমরা আমাদেরকে পাখি ভাবি। আমরা ফাঁদের মাছে ঠোঁট রাখিনা। যখন আমাদের চারপাশের বাতাস ফাঁদ হয়ে যায় তখন আমরা আটকে রাখি আমাদের নিঃশ্বাস। আমাদের বুক ফেটে যায়। আমরা তবুও সুবাতাসের অপেক্ষায় দিন গুনি......
আমরা পরস্পর হতে দূরে চলে যাই,আবার এক মূহুর্তেই ফিরে আসি
আমরা জীবনের উদারা মুদারা তারা চষে ফেলি,
আমরা রঙিন, আমরা সাদাকালো। আমরা বিদ্যুৎ গতি, আমরা শতবর্ষী কচ্ছপ।
আহা!
আমরাই শুদ্ধতম সংগীত ।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তাঁর বোতলে আটকে আছে বিরোধী দল

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



সেই ২০০৯ সালে তিনি যে ক্ষমতার মসনদে বসলেন তারপর থেকে কেউ তাঁকে মসনদ থেকে ঠেলে ফেলতে পারেনি। যারা তাঁকে ঠেলে ফেলবে তাদের বড়টাকে তিনি বোতল বন্দ্বি করেছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×