
তার আসার অপেক্ষায়
আমি আজও ভীষণ অগোছালো,
এখনো জীবনে কোনো ললিতা এলো না বলে।
আমার শখ তো পুরোটাই আছে কিন্তু সামর্থ্য নেই,
তাই বুনে চলেছি এক নিঃশব্দ ভালোবাসা।
কল্যাণীর মতো কেউ দূর থেকে হাসে না,
আজও আমার দরজায় কেউ দাঁড়িয়ে বলে না—
“জায়গা আছে?”
কেনই বা কেউ সেই 'অপরিচিতা' হয়ে আসে না।
আশালতাও যদি আসতো একবার,
একবুক আশা নিয়ে মায়া আর ভালোবাসা নিয়ে!
বিনোদিনী হয়েও কেউ কখনও জেদ করলো না আমাকে ভালোবাসার।
নন্দিনী কোথায় আজ? সে কি বন্দী হয়েছে
কারখানার ইঞ্জিনে, জীবনের হিসেব-নিকাশে?
যে বলতো, “আমি অন্ধকার ভেদ করে আসব”—
সে কি আলো দেখতে পায় এখনো?
আমি লিখছি, কাটছি, গড়ছি, ভাঙছি
আমার ভিতরের ছায়া-পুরুষের মুখ—
যে চেয়ে থাকে চারুলতার জানালার দিকে,
যেখানে প্রেম এক বিকেলবেলা, আর প্রত্যাশা এক চিরন্তন নীরবতা।
লাবণ্য আসে না বই হাতে, জলের পাশে,
সে কি ব্যস্ত প্রেজেন্টেশন আর স্ক্রিন-টাইমে?
সে কি জানে না, আজও আমি তার চিঠির জন্য
একটা ঠিকানা বানিয়ে রেখেছি মনের কোনো গোপন ঘরে।
আমি আজও পরিণীতা পড়ে রাত জাগি,
রবীন্দ্রনাথের গানে প্রেম খুঁজি—
খুঁজে চলি সেই অভিমানিনী নারীর স্পর্শ,
যে চুপ করে থেকেও বলে ফেলে সমস্ত কিছু।
আমি আজও ভীষণ অগোছালো—
এখনও জীবনে কোনো ললিতা এলো না বলে।
অপেক্ষায় আছি— কখন কল্যাণী এসে বলবে,
“তোমার পৃথিবীতে জায়গা আছে?”
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:২৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



