somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পর্ণ সাইট ব্যবহারকারীদের নাম প্রকাশের সাথে অবৈধ ভিওআইপি চোরদের তালিকাটাও প্রকাশ করুন

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তারানা হালিম ছাত্র জীবনে অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। তাঁর শিক্ষাজীবনের সময়কাল নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত সংবাদ মোতাবেক জানতে পারা যায় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে খুব ভালো ফলাফলের সাথে পাশ করেছেন।পেশাগত জীবনে বিচারিক পেশায় চাকুরী হলেও তিনি অভিনয়কেই পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। এবং অত্যন্ত সফল অভিনেত্রী হিসেবে দর্শকপ্রিয়তা লাভ করেন।এক অর্থে কিন্তু তিনি সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন বলা যায়।কারণ অভিনয় পেশায় না আসলে হয়ত তিনি এখন বড় জোর দেশের সর্বোচ্চ আদালতের একজন মাননীয় বিচারপতি থাকতেন ! কিন্ত কোটি কোটি মানুষের মাঝে আলোচনায় উঠে আসতে পারতেন না! সেলিব্রেটিরা খুব সাধারণভাবে দর্শক-শ্রোতাদের মাঝে নিজেকে নিয়ে আলোচনা খুউব উপভোগ করেন।তাই দেখা যায় সেলিব্রিটিরা জেনে বুঝেই বিভিন্ন সময় বিতর্কিত কাজ করে থাকেন যাতে তাঁকে নিয়ে আলোচনা হয়, সেটা পজেটিভ -নেগেটিভ যাই হোক না কেন! যদিও দর্শক শ্রোতাদের মাঝে নিজেকে নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা, প্রশংসা শোনা , দেখা ইত্যাদি একধরনের নেশার মতো। তাই দেখা যায় সেলিব্রিটিরা সময়ের সাথে যদি কখনো পেশা পরিবর্তন করেন ,তখনো সাধারণের মাঝে আলোচনায় থাকার এই নেশা থেকে মুক্ত হতে পারেন না।

সেলিব্রিটিদের ক্ষেত্রে এই ধারণাটি ব্যক্তিগতভাবে পাকাপোক্ত হয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের গত বছর কয়েকের কর্মকান্ড দেখে।মন্ত্রণালয়ের মৌলিক কোন কাজে তাঁর সফলতা বা তেমন কোন আগ্রহ তাঁর কর্মকান্ড চোখে পড়েনি। বায়োমেট্রিক নিয়ে তাঁকে যতটা আকাশ-পাতাল এক করে ফেলতে ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে তাঁর ৫% তৎপরতা কিন্তু আমরা দেখি মোবাইল কোম্পানি গুলোর সেবার মান নিয়ে কথা বলতে। অথচ এটাই তাঁর অন্যতম দায়িত্ব হওয়া উচিৎ ছিল। রাষ্ট্রের নাগরিকদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত কড়ায়গন্ডায় ভ্যাট আদায় করছেন অথচ তারা সঠিকভাবে সেবা পাচ্ছে কিনা সে বিষয় উদাসীন থাকবেন সেটা নিশ্চয়ই দায়িত্বশীল আচরণ হতে পারে না। রাষ্ট্র বা সরকার পরিচালিত হয় প্রায়োরিটি বেসিস ।সরকারের যে কোন মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ জনস্বার্থকে প্রাধান্য দেয়া হয়। কিন্তু মাননীয় মন্ত্রী তারানা হালিম সম্ভবত তাঁর তারকা ইমেজের গন্ডি থেকে মুক্ত করতে পারেননি। তাই ঘুরে ফিরে স্বস্তা ইস্যুগুলোকে সামনে নিয়ে আসেন। যেমন ,তিনি গতকাল ঘোষণা দিয়েছেন যারা ইন্টারনেটে পর্ণ সাইট ভিসিট করেন তাদের নাম প্রকাশ করবেন।( যদিও আজ দুপুরে তিনি তাঁর ফেসবুক অফিসিয়াল পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে 'পর্নো সাইটে প্রবেশকারীদের নামের তালিকা হবে না' বলে মন্তব্য করেছেন। যদিও গতকাল সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা বাসসের সঙ্গে আলাপকালে গতকাল সোমবার বিকেলে তারানা হালিম বলেন, ইন্টারনেট সেবাদানকারীদের দেশের ভেতরে পরিচালিত পর্নো সাইটগুলো বন্ধ করতে হবে।
কিন্তু আন্তর্জাতিক সাইটগুলোর ক্ষেত্রে আমরা এমন একটি কৌশল গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি, যাতে ওই সব সাইটে প্রবেশকারীদের পরিচয় আমাদের কাছে প্রকাশ পাবে'' বলে ঘোষনা দিয়েছিলেন।) সাদা চোখে দেখলে মনে হবে এটা খুবই যুগান্তকারী পদক্ষেপ! কিন্তু আগেই উল্লেখ করেছি , মন্ত্রণালয় পরিচালিত হওয়া উচিৎ প্রায়োরিটি বেসিস। সেক্ষেত্রে তাঁর মন্ত্রণালয়ের প্রধান ও প্রধানতম সমস্যা হচ্ছে দুর্নীতি। আর এই মুহূর্তে পাওয়ার সেক্টরের পর সবচেয়ে বড় দুর্নীতির অভয়ারন্য হচ্ছে টেলিযোগাযোগ সেক্টর। বছর কয়েক আগে প্রথম আলোতে প্রকাশিত সংবাদে দেখা যায় প্রতিদিন দুই কোটি পঞ্চাশ লাখ মিনিট ব্যবহৃত ইউনিট মুছে ফেলা হয় বিটিআরসি সার্ভার থেকে । আর এটা করা হয় ভিওআইপি ব্যবসায়ীদের যোগসাজশে ! যার ফলে প্রতিদিন দেশ বিপুল পরমান রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অথচ মন্ত্রী হিসেবে সবাই আশা করেছিল তারানা হালিমের মত সৎ ও যোগ্য মানুষের ছোয়াঁয় এবার দেশের বিপুল পরিমান অর্থ লুটপাটকারীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে!অথচ কি দেখল দেশের মানুষ , মাননীয় মন্ত্রী বায়োমেট্রিক ও পর্ণ সাইট নিয়ে তাঁকে যতটা উচ্চকিত মনে হয় ,দেশের বিরাট বিরাট অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ী নামের চোর ধরার বিষয়ে সেই পরিমান আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।অবশ্যই পর্ণ সাইটের বিরুদ্ধে আপনার যুদ্ধ ঘোষণা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার কিন্তু প্রশংসা তখই পূর্ণতা পাবে যখন দেখবে বাস্তবিক অর্থে আপনার মন্ত্রণালয়ের প্রধান সমস্যা নিরসনে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়েছে। অন্যথ্যায় সাধারণ মানুষ ভাববে সত্যিকার অর্থে আপনার মন্ত্রণালয়ের মৌলিক সমস্যা দূরীকরনে আপনি ব্যর্থ! আরো পরিস্কার বললে , দোর্দন্ড প্রতাপশালী অবৈধ ভিওআইপি চোরদের টিঁকিটি ধরা বা নাম প্রকাশ করার ক্ষমতা আপনার নেই !

তাই পর্ণ সাইট ব্যবহারকারীদের নাম প্রকাশ( যদিও নাম প্রকাশের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন বা সরে আসতে বাধ্য হয়েছে) বা প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা যাই হোক না কেন সাথে অবৈধ ভিওআইপি চোরদের তালিকাটাও প্রকাশ করুন।দেখা যাক আপনার সাহস কত ! দেশের মানুষ মন্ত্রী হিসেবে সাহসটা একটু দেখতে চায়! আশা করি আপনি তাদেরকে বিমুখ করবেন না!!
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×