আজ সকাল ১০ টায় বিদ্যুৎ চলে যায় বাসায় । তবে লোডশিডিং না , বাসায় প্রি -পেইড লাইন করা তাই টাকা শেষ হলে কারেন্ট ও চলে যায় সাথে সাথে । আমি গেলাম ডেসকো অফিস এ টাকা রিচারজ করতে । যেয়ে দেখি গেট এর বাহির পর্যন্ত বিশাল বড় লাইন । মাথায় নষ্ট লাইন দেখে !!! আমি আবার আমার পিছনে যে লোক দাঁড়ানো ছিল ওনাকে বললাম ভাই আমি চা খেতে গেলাম আমার লাইন টা একটু রাখিয়েন ।
শেষ পর্যন্ত অনেক কাছা কাছি গেলাম বিল সেকশন এর , তাও আমার সামনে তখন ও ২০ জন লোক তো হবেই । এমন সময় একটা মেয়ে এসে সোজা বিল সেকশন এর কাছে গেল , লাইন কে তোয়াক্কা না করেই । তবে যেয়ে কোন লাভ হল না । বিল সেকশন এ যিনি আছেন উনি লাইন ব্যতিত , টাকা রিচারজ করে দিবেনা ।
মেয়ে টা অসহায় এর মত দাড়ায় আছে । লাইন এ ও এসে দারাইতেছেনা , বিল সেকশন এর লোক ও লাইন ব্যতিত , টাকা রিচারজ করে দিসছেনা ।আর এত লোকের মাঝে একটা মেয়ে লাইন এ দাড়ানোটা একটু বেমানান এই মনে হসছিল আমার কাছে । আমি আবার বলতে চাসছিলাম বিল সেকশন এর ভাইকে , এক ফাকে যেন মেয়ে টা কে বিদায় দেয় । কিন্তু এটাও ভাবছিলাম অনেক আমজনতা আছে আমার কথার বিপক্ষে চলে যাইতে পারে ।তাই বলার সাহস পাইতেছিলাম না । আসলে কোন কাজ এ লাইন এ দারালে , সে সময় সবার মেজাজ টা কেন জানি অনেক হট এই থাকে ।
হঠাৎ এক ভাই পিছন থেকে বললো , বিল সেকশন এর লোকের উদ্দেশে ভাই ওই আপুর টাকাটা রিচারজ করে ছেড়ে দেন । তখন সাথে সাথেই অনেক আমজনতা বলে উঠলো , , , কেন ছাড়বে ওনাকে । উনি লাইন এ দাড়াতে পারেনা । আমরা এক ঘণ্টা লাইন এ দারিয়ে সিরিয়াল পাইনা । আর উনি এসেই পেয়ে যাবে । মেয়ে মানুষ দেখলে দরদ উথলাই পড়ে আপনাদের না । অনেক এ অনেক কথাই বলতে থাকলো । ওই ছেলে টার উদ্দেশে । । আমি চুপ চাপ ।
ভাবছিলাম আমি যদি কথা টা বলতাম , তা হলে আমিও এমন অপমান হয় তো হতাম । আমি ধারনা করেছিলা্ম , , বললে কিছু পাবলিক এমন কথা বলবেই ।
আসলে আমরা যেমন সন্মান কাউ কে দিতেও পারিনা , তাই সন্মান কার ও কাছ থেকে নিতেও পারিনা ।