somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নারিকেল জিঞ্জিরার ডায়েরী

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

''নারকেলের ঐ লম্বা মাথায় হঠাত দেখি কাল
ডাবের মতো চাঁদ উঠেছে ঠান্ডা গোল গাল।
ছিটকিনি’টা আস্তে খুলে পেড়িয়ে গেলেম ঘর
ঘুম ভাঙ্গা এই মস্ত শহর কাঁপছিলো থর''।
- আল-মাহমুদ

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বহু প্রতিক্ষিত ব্যাচ ট্যুরের সেই মাহেন্দ্রক্ষন এবার এলো। পাঁচদিনের কাটানো সেই সময়গুলো ডায়েরীবন্দী করে সবার সাথে শেয়ার করছি :

২৮/১১/১২ (বুধবার):
দেরী করে ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই মনে পড়ল ব্যাগতো কিছুই গোছানো হয়নি। অগত্যা তাড়াহুড়া করে ব্যাগ গুছিয়ে গন্তব্যস্থল আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডে রওনা হলাম।

আমাদের এই ট্যুরটি ছিল ভাসির্টি (আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) এর শেষ বর্ষের ডিপার্টমেন্টাল (EEE) ব্যাচ ট্যুর। সফরসূচীতে আমরা রেখেছিলাম সেন্ট মার্টিনস দ্বীপ, ছেড়া দ্বীপ, কক্সবাজার, ইনানী-হিমছড়িসহ আরো কিছু যায়গাকে। আমরা প্রথমে যাত্রা করছি সেন্ট মার্টিনস দ্বীপ এর উদ্দেশ্যে। এই দ্বীপ কে পুর্বে নারিকেল জিঞ্জিরা বলা হত দেখে এই ব্লগিং এর শিরোনাম নারিকেল জিঞ্জিরার ডায়েরী দেয়া। আরব বণিকদের দেয়া এই নামটি পরবর্তী ইংরেজ শাষনামলে সেন্ট মার্টিন্স আইল্যান্ডে পরিনত হয়।

রাজনৈতিক সমাবেশের কারনে রাস্তা ফাঁকা হওয়ায় আরামবাগের শ্যামলী বাস কাউন্টারে খুব দ্রুতই পৌছে গেলাম। আগে থেকেই আমাদের জন্য দুটি বাস রিজার্ভ করা ছিল। রাত সাড়ে আটটার দিকে আমাদের বাস টেকনাফের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করে।

বাস যেহেতু নিজেদের রিজার্ভে তাই সবাই তার সৎব্যবহারও করে ফেলল। সারারাত যখন বাসের দুই ভাগে ধুন্ধুমার গানের আসর বসেছে আমি তখন মেতেছি দিপ্ত মামা (বন্ধুবর) এর সাথে প্যারালাল ইউনিভার্স নিয়ে জটিল আলোচনায়। এভাবেই কেটে গেল রাত। একসময় ঘুমে তলিয়ে গেলাম।

২৯/১১/১২ (বৃহস্পতিবার):
ভোরবেলা ঘুম ভাঙ্গলো টেকনাফের রাস্তায় । সুপ্রভাত টেকনাফ !
এখানের আকাবাকা রাস্তায় সূর্যোদয় দেখার মধুর অভিজ্ঞতা প্রতক্ষ করলাম। সত্যিই, আমার দেশটা বড্ড বেশী সুন্দর।

একটু পরই পৌছালাম নাফ নদীর কূলে টেকনাফের সেন্ট মার্টিনগামী লঞ্চঘাটে। আমাদের লঞ্চের নাম এলসিটি কুতুবদিয়া। রুটে এ ছাড়াও কেয়ারী সিন্দাবাদ সহ আরো কিছু দ্রুতগামী লঞ্চ চলাচল করে। আমাদের লঞ্চটি কিঞ্চিত ধীরগামী। জলযোগ সেরে খানিকক্ষন অপেক্ষা করে উঠে গেলাম লঞ্চে। হুইসেল বাজিয়ে আমাদের লঞ্চ যাত্রা শুরু করলো।



এলসিটি কুতুবদিয়া এগিয়ে চলছে নাফ নদী বেয়ে, একপাশে বাংলাদেশ আরেকপাশে মিয়ানমারের পাহাড়গুলো অতিক্রম করে। অসাধারন এক দৃশ্যপট। টেকনাফের পাহাড়গুলোর রাস্তায় দূর থেকে কিছু বন্য হাতি চোখে পড়লো। খোদাই জানেন, কোন বাস-ট্রাকের সামনে হাতি পড়লে চালকেরা কিভাবে সেখান থেকে বেঁচে ফেরেন !

পাক্কা তিন ঘন্টা লঞ্চ ভ্রমনের পর আমরা অবশেষে পৌছালাম সেন্ট মার্টিনস দ্বীপের প্রধান জেটিতে। আশেপাশের যাত্রীদের ভীড় ঠেলে হোটেলে পৌছাতে বেশ বেগ পেতে হলো। শীত এসে পড়েছে, ট্যুরিস্টদের আনাগোনা বাড়ছে। চোখে পড়লো কিছু বিদেশী ট্যুরিস্টও।



আমাদের হোটেলের নাম ‘প্রিন্স হ্যাভেন’, এটির অবস্থান সেন্ট মার্টিনস সমুদ্রতটের ঠিক পাশেই। হোটেলের রূম বুঝে পেতে বেশ সময় লাগলো। রূমে ঢুকে ব্যাগটা রেখেই দিলাম সোজা ভো দৌড়। অনেকদিন সমুদ্রে প্রাণভরে দাপাদাপি করিনা !



ঘন্টা খানেক ডুবিয়ে চোখ লাল করে হোটেলে ফিরে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের লাঞ্চ সারলাম। আমাদের খাবারের জন্য প্রাসাদ প্যারাডাইস হোটেলটি ঠিক করা ছিল। এখানকার খাবার বেশ ভালো, বিশেষ করে ডাল আর কোরাল মাছ।

বিকালে বিচে হাটতে হাটতে ডাবের দোকান পেয়ে যস্মিন দেশে যদাচার সারলাম। নারিকেল জিঞ্জিরায় এসে নারিকেলের স্বাদ নেবনা তা কি হয় !
এরপর দেখলাম লেখক হুমায়ুন আহমেদের বানানো সমূদ্র বিলাস বাড়িটি। এটি বর্তমানে কটেজ হিসেবে পর্যটকদের কাছে ভাড়া দেয়া হয়। গোটা দশেক বন্ধু বান্ধব নিয়ে আসলে এখানে থাকাটা হবে মোক্ষম। তবে আমরা দলে ছিলাম প্রায় সত্তর জন।



হোটেলে ফেরার পথে আরেকটি জিনিস চোখে পড়লো। প্রত্যেকটা দোকানের সামনে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বিভিন্ন পদের জ্যান্ত মাছ। যার যেটি পছন্দ সেটিকে ভেজে দেয়া হবে। রাতের বারবিকিউ পার্টি সত্বেও ভোজনরস এড়াতে না পেরে অর্ডার করলাম কাকড়া। আহ, কটকটে ভাজা জ্যান্ত কাকড়া খেতে জুড়ি নেই।



রাতে হলো বারবিকিউ পার্টি, সাথে গানবাজনা। সেন্ট মার্টিনস এ আগত পর্যটকদের কাছে দ্বীপে রাতে ফিস বারবিকিউ এর স্বাদ নেয়াটা যেন রীতিমত ট্রেডিশন।



এরপর সি-বিচে গিয়ে শরীরে আর কুলাচ্ছিলোনা। কখন যে ঘুমে তলিয়ে গিয়েছি টেরই পাইনি। পরে বন্ধুবর রানার কল্যানে আধজাগা হয়ে হোটেলকক্ষে ঢুকে ঘুমের রাজ্যে দারূচিনি দ্বীপ দেখতে লাগলাম।

৩০/১১/১২ (শুক্রবার):

সুপ্রভাত নারিকেল জিঞ্জিরা।

ঘুম ভাংলো ভোরবেলায়। দাঁত না মেজেই সক্কাল সক্কাল সমুদ্রতটের বালীর উপর দিয়ে হাটার যে কি এক ফুরফুরে অনূভুতি তা ভাষায় বোঝানোর নয়। এজন্যই প্রিন্স হ্যাভেন হোটেলটি সেরা। এ দ্বীপে আপনি অনেক হোটেল পাবেন। কিন্তু অধিকাংশই বীচ থেকে অনেক দূরে। এখানে রাতে ১১টার পর আর কোথাও বিদ্যুত থাকেনা। তাই আপনি যে হোটেলেই থাকেননা কেন মামলা তো একই। আমরা তাও সাথে পেলাম হোটেলঘেষা সী-বিচ।

প্রাসাদ প্যারাডাইসে নাস্তা সেরে রওনা হলাম ছেড়া দ্বীপের উদ্দেশ্যে। আগে থেকে ট্রলার ঠিক করে রাখায় বেগ পেতে হলোনা। সেন্ট মার্টিন থেকে ট্রলারে ছেড়া দ্বীপে যেতে সময় লাগে আধা ঘন্টা।



ছেড়া দ্বীপটি সেন্ট মার্টিনসের মতই একটি প্রবাল দ্বীপ। তবে পার্থক্য হলো এখানে কোন হোটেল নেই। তাই মানুষজনের আনাগোনা কম থাকার ফলে যায়গাটি এখনো দূষনের কবলে পড়েনি। এককথায় ফ্রেশ একটি দ্বীপ।




ছেড়া দ্বীপে নেমে কিছুক্ষন ফটোসেশনের পর সামনের কিছু স্বচ্ছ জলের ডোবা দেখে ডিসকভারীর বেয়ার গ্রেইল হওয়ার শখ জাগলো। কয়েকজন প্যান্ট গুটিয়ে নেমে গেলাম খালি হাতে মাছ ধরতে। তবে আধ-ঘন্টার ব্যর্থ চেষ্টার পর বুঝলাম: নাহ। বেয়ার গ্রেইল হওয়া এত সোজা না।



এ দ্বীপে আরেক দফা কাঁচা মাছ ভেজে খেলাম। মাছের নাম সুন্দরী।



দুপুর ঘনিয়ে এল। আমরা ফিরে এলাম হোটেলে।

সেন্ট মার্টিনসকে বিদায় জানানোর সময় ঘনিয়ে এসেছে। এবার গন্তব্য টেকনাফ তথাপি কক্সবাজার। রিটার্ন টিকিটে এলসিটি কুতুবদিয়ায় চড়ে বসলাম। মনটা হু-হু করে উঠলো খানিকের জন্যে। আহারে, ছবির মত এই সুন্দর দ্বীপে আবার কবে আসবো।

লঞ্চের রেলিং এর পাশে চেয়ার নিয়ে বসে তন্ময় হয়ে যখন মিয়ানমারের পাহাড়গুলো দেখছি তখন নজরে পড়লো প্রায় শ-খানেক গাংচিল আমাদের লঞ্চের পিছুপিছু আসছে। পিছনে গিয়ে খোজ নিতেই দেখি এক বুদ্ধিমান লোক কাছ থেকে গাংচিল দেখার লোভে কয়েক প্যাকেট চিপস কিনে ছড়াচ্ছে, আর তার লোভে সব গাংচিলগুলো পিছুপিছু আসছে। বুদ্ধিটা মন্দ নয়, আমিও চিপস কিনে লেগে গেলাম গাংচিলের কাছে ছড়ানোর। আয় গাংচিল আয়...



টেকনাফ পৌছে কক্সবাজারের বাস ধরলাম।

এক মুঠো ককস্-বাজার

কক্সবাজার পৌছাতে রাত ১০টা। আমাদের উঠলাম ঝাউতলায় অবস্থিত হোটেল আল-হেরায়।
রাতে খেয়ে দেয়ে সোজা ম্যারমেইড ক্যাফেতে চলে গেলাম। ঢাকায় অনেক অভিজাত হোটেল দেখেছি, তবে সমুদ্রের পাশে এমন অদ্ভুত সুন্দর আমেজের হোটেল আমি আর একটি বৈকী দ্বিতীয়টি দেখিনি। মধ্যরাত পর্যন্ত আড্ডা চললো নামেমাত্র লেমোনেইড নেয়ার উছিলায়। বন্ধু-আড্ডা-লেমোনেইড। আহ, লাইফ ইজ বিউটিফুল। 



১/১২/১২ (শনিবার):
সুপ্রভাত ককস্-বাজার!

ভ্যাবাচাকা খাবেননা। বছর কয়েক আগে এটিই ছিল কক্সবাজার এলাকার সাংবিধানিক নাম !

আজকের গন্তব্য ইনানী-হিমছড়ি।
সকালে নাস্তা সারলাম হোটেল আল-হেরা সংলগ্ন হোটেল জামানে। আমারা আগে থেকেই চান্দের গাড়ি রিজার্ভ করে রেখেছিলাম। এতে করেই রওনা হলাম হিমছড়ি আর ইনানী দেখতে।



যাত্রপথে রাস্তার একপাশে সমুদ্র আর অন্যপাশে পাহাড়ের এক অদ্ভুত দ্বৌরথ দেখে খানিকের জন্য নির্বাক হয়ে গিয়েছিলাম। ছাউনি তোলা চান্দের গাড়ির উপর দাঁড়িয়ে একসাথে পাহাড়-সমুদ্র দেখার অভিজ্ঞতা এককথায় মনোমুগ্ধকর। মধু, মধু !

সাড়ে এগারোটা নাগাদ ইনানী বিচে পৌছে সবাই দিলো ভো দৌড়, অতঃপর সমুদ্রে ঝাপাঝাপি। এ যাত্রায় আমি আর সাগরে নামলাম না। সময়টা কাটালাম সাইকেলিং আর বীচে বসে ফটোসেশন করে।



বড্ড দেরী করে ফেলেছি আমরা, এখনো বাকী হিমছড়ি। ওদিকে ২টায় ডিনার টাইম। সবাই তড়িঘড়ি করে উঠে রওনা হলাম হিমছড়ির দিকে।
হিমছড়ি পিকনিক স্পটে দেখার মত আছে দুটি জিনিস। একটি ঝর্না, অপরটি ৩০০ফিট পাহাড়ের উপরে অবস্থিত ওয়াচটাওয়ার। অল্প পানির ঝর্নাটি আহামরী না লাগলেও ৩০০ ফিট পাহাড় বেয়ে একেবারে থ বনে গেলাম। এত উচ্চতা থেকে আমি আগে কখনো সমূদ্র দেখিনি। অদ্ভুত-অসাধারন-মনোমুগ্ধকর। নাহ, আর বিশেষণ খুজে পাচ্ছিনা।





সাথে দূরবীনে চোখ লাগিয়ে দেখে নিলাম দূরে পাহাড়ের কোটরে লুকিয়ে থাকা বন্য শিয়াল।

এত সুন্দর ভিউ ফেলে যেতে ইচ্ছা হচ্ছিলনা। তাও যেতে হলো, নাহয় দুপুরে না খেয়ে থাকতে হবে। চল, চল, চল। আমাদের ড্রাইভারও বিরক্ত। ৩ঘন্টার ট্রিপে আমরা ৪ ঘন্টা লাগালাম।

বিকালে বের হলাম বার্মিজ মার্কেটে। বিশাল লাইনে একের পর এক গোটা দশেকের বেশী শপিং কমপ্লেক্স আছে বার্মিজ মার্কেট নামে। কিনলাম বিভিন্ন পদের আচার আর শীতের চাদর।

বন্ধু রানা আগে থেকেই কিনে রেখেছিল কয়েক পদের আতশবাজী। সুগন্ধা বিচে নেমে একে একে সব ফুটানো আরম্ভ করলাম।
এইরে, বাজীর ঠুশ-ঠাশ শব্দে পুলিশ এসে পড়লো। বিশেষ কিছু হাই প্রোফাইল লিঙ্কআপ আর ফাপর জানা ছিল বলে এ যাত্রায় রক্ষা। আপনাদের ফাপর বিদ্যা না জানা থাকলে সমূদ্রতটে গিয়ে বাজী না ফোটানোই ভালো।
রাতে ফেরার পথে আবারো মাছ ভাজা, এবার ‘’টুনা ফিস’’।

২/১২/১২ (রবিবার):
সক্কাল সক্কাল গরম গরম ডিম খিচুড়ি ভক্ষন। বেরিয়ে পড়লাম এরপর সামুদ্রিক যাদুঘর দেখতে। এখানের নির্মানকাজ এখনো চলছে, তাই মন ভরলোনা। সেখান থেকে লাবনী বিচ। লাবনী বিচ থেকে হাটতে হাটতে সুগন্ধা পেরিয়ে কলাতলী। এক হাটায় কক্সবাজারের সবগুলো বিচ কভার। বাহ, মোক্ষম।

দুপুরে বিরিয়ানী। এরমধ্যে হোটেলে ফিরে টিভিতে চোখ রাখতেই জানলাম আমাদের টাইগারগন ওয়েষ্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয়বারের মত ওয়ানডেতে বাংলাওয়াশ দিয়ে ফেলেছে। এত আনন্দ কোথায় রাখি। :D

বিকালে অগগমেধা ক্যাং প্যাগোডা ভ্রমনে বেরোলাম। আঠারোশ শতকে বানানো এই প্রাচীন মন্দিরটি ঘুরে দেখালেন এখানকার দুই গাইড।

জানলাম কক্সবাজার শহরের কিছু ইতিকথাও। আধুনিক কক্সবাজারের নাম রাখা হয়েছে ল্যাঃ কক্স (মৃত্যু ১৭৯৮) এর নামানুসারে, যিনি ব্রিটিশ আমলে ভারতের সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন। এখানের অষ্টধাতু আর তামা ব্রোঞ্জে নির্মিত বুদ্ধমূর্তিগুলো অনায়াসেই যে কোন প্রত্নপ্রেমীদের নজর কাড়বে। টিকিট নেই বলে প্যাগোডা সাহায্যকল্পে গুনতে হলো পাক্কা আড়াইশো টাকা। নাহ, এরচেয়ে টিকিটই ভালো।



যাওয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে। ৪দিনে ট্যুর কিভাবে কেটে গেল টেরই পেলামনা। টি আর ট্রাভেলস এর বাস ধরে ঢাকায় ফেরার পথে রবার্ট ফ্রষ্টের একটা কবিতা মাথায় ঘুরছিলো :

The shattered water made a misty din.
Great waves looked over others coming in,
And thought of doing something to the shore
That water never did to land before..


সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপ, ছেড়া দ্বীপ, ককস্ বাজার (!), হিমছড়ি, ইনানী, ম্যারমেইড ক্যাফের মধ্যরাতের দলবলীয় আড্ডা, জীবন্ত কাচা মাছ ভেজে খাওয়া, অগগমেধা ক্যাং এর নীলপদ্ম, টেকনাফের আকাবাকা পাহাড়ী রাস্তায় সূর্যাস্ত দেখা, বারবিকিউ পার্টি আর সর্বোপরি দিনের ২৪টা ঘন্টা বন্ধুবান্ধব নিয়ে আনন্দে একাকার হয়ে যাওয়া...
একদিন হয়তো বুড়া হয়ে থরথরিয়ে কাঁপবো, কিন্তু এ স্মৃতিগুলো কখনো ভূলবোনা :)
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২৮
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অণু থ্রিলারঃ পরিচয়

লিখেছেন আমি তুমি আমরা, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৭


ছবিঃ Bing AI এর সাহায্যে প্রস্তুতকৃত

১৯৪৬ কিংবা ১৯৪৭ সাল।
দাবানলের মত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে।
যে যেভাবে পারছে, নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। একটাই লক্ষ্য সবার-যদি কোনভাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিরোনামহীন দুটি গল্প

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫

গল্প ১।
এখন আর দুপুরে দামী হোটেলে খাই না, দাম এবং খাদ্যমানের জন্য। মোটামুটি এক/দেড়শ টাকা প্লাস বয়দের কিছু টিপস (এটা আমার জন্য ফিক্সড হয়েছে ১০টাকা, ঈদ চাদে বেশি হয়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

এশিয়ান র‍্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:২০

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×