somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আহ! এমন যদি হত!

০৭ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ধরুন, সকালবেলা ঘুম থেকে উঠলাম। দাঁত ব্রাশ করতে যাবো। ওহ! ঠান্ডা পানি মুখে দিই কিভাবে? যাই-water heater টা on করি। Electricity আছে কি?- চিন্তা করার দরকার নেই। Water heater is solar powered.

গোসলের পানিও গরম করা হল Solar Water Heater দিয়ে। গোসল শেষে Breakfast সারব। Breakfast'র প্রতিটি Item-ই তৈরী হয়েছে Solar Cooker'র মাধ্যমে। গতকালের সুজিটা Solar Fridge-য়েই ছিল- Solar Oven-এ দিয়ে তা গরম করা হল।

অফিসে যাব। গিন্নী ব্যগটা বাড়িয়ে দিল-ব্যাগের সন্মুখভাগে ছোট্ট একটা Solar Panel বসানো। কখনো দূরে কোথাও গেলে Electricity না থাকলে ব্যাগের এ প্যানেলটার মাধ্যমেই
অনায়াসে মোবাইল, ল্যাপটপ, আইপড ইত্যাদি চার্জ দেয়া যাবে। ব্যাগে একটা সুদৃশ্য কলমও আছে-আমার বস গিফট করেছেন। উনি এটা এনেছেন ডেনমার্ক থেকে-তাও সূর্যের আলোতে চার্জ ধরে রাখে; মানে হল It's a solar pen actually. এ কলমটা দিয়ে মোবাইল চার্জ দেয়া যায়। কিছুদিন আগে কেনা ল্যাপটপটা Solar Laptop ।শুধুই সোলার তা না-এটা অনেকটা হাইব্রিড- নরমাল Electricity দিয়েও চালানো যায়। তবে আমি বেশিরভাগ সময়ই Solar Power দিয়েই চালাই-ভাল্লাগে ব্যাপারটা। মনের মধ্যে একটা তৃপ্তি অনুভব করি এ ভেবে যে আমি অন্তত কোন কার্বন ছড়াচ্ছি না পরিবেশে।

গ্রাউন্ড ফ্লোরে Solar Car টা রাখা। কার Start দিয়ে রওনা হলাম অফিসের দিকে। আজকের রোদটা খুবই স্নিগ্ধ ও উজ্জ্বল মনে হচ্ছে। হালকা ঠান্ডা একটা বাতাসও বয়ে যাচ্ছে- ভালোই লাগছে; আজ গাড়ীর এসি ছাড়লাম না- বাইরের বাতাসটা বেশ লাগছে। রোডের পাশের মাঠে Cricket Team'র প্লেয়াররা প্র্যাক্টিস করছে। মাথায় ক্যাপ- তাও সোলার ক্যাপ। ক্যাপের মাথায় একটি ছোট্ট ফ্যানও আছে- মাথা ঠান্ডা রাখবার জন্যে। জিনিসটা ভালোই হয়েছে প্লেয়ারদের জন্যে- অতিরিক্ত Sweating কিছুটা হলেও কমবে।

Traffic Signal পড়ল- Red Light; থামলাম। লক্ষ্য করলাম সিগন্যাল লাইটগুলোও Solar Powered. গ্রিন লাইট দেখাল- চললাম অফিসের পথে। Street Lightগুলোও সোলার পাওয়ারড। তাই বাড়তি কোন wire বা তার টানতে হয়নি-পুরো রাস্তায় একটা শান্তি শান্তি ভাব লক্ষ্য করলাম।

অফিসে ঢুকলাম- আজ সকালেই একটা মিটিং আছে; তাই সরাসরি রুমে গিয়ে ব্যাগটা রেখেই Curtain টা তুলে দিলাম। আমার অফিসের টেবিলটা আবার সোলার টেবিল। কিছুক্ষণ এতে রোদ পরুক। তাহলে এ এনার্জি অন্য কোন কাজে লাগানো যেতে পারে। আমার অফিসটা পুরোটাই গ্লাসে ঢাকা। গ্লাসগুলো নরমাল ভাবলে ভুল করবেন-এগুলো সবই সোলার প্যানেল। দেখতে গ্লাসের মত মনে হলেও আসলে প্যানেল। অফিসের বিদ্যুত চাহিদার একটা বড় অংশ আসে এ সোলার পাওয়ার থেকে। অফিসের আশপাশের মানুষজনও আমার দেখাদেখি তাদের exterior এভাবে সাজিয়েছে।

অফিস শেষে বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে একটু টিভি দেখতে বসলাম। এ টিভিটাও কিছুদিন আগের কেনা এবং তাও সোলার। বাসার অন্য প্রায় সব ইলেক্ট্রনিক প্রোডাক্টই Solar Powered. Solar Fridge,AC, Light, Fanসহ সবই Hybrid Power এ চলে। সোলার এনার্জি না পেলেও সমস্যা নেই; Conventional Electricity দিয়ে চলে।

রাতে ঘুমাবার আগে একটু গ্রামের খোঁজ খবর নিই। গ্রামে আমি প্রায় প্রতি মাসেই যাওয়ার চেষ্টা করি; এলাকায় যে জমি আছে তার সবগুলো আমি এখনো লোকজন দিয়ে করিয়ে নিই। আমি গ্রামের ছেলে-গ্রামেই বড় হয়েছি-এসএসসি পাস করেছে সেই অজ পাড়া গা থেকে। শৈশব, কৈশোরের একটা বড় অংশ কেটেছে কৃষি কাজে। প্রায় সব ধরনের কৃষি কাজই আমি পারি। তাই ঢাকায় থাকলেও কৃষিটাকে আমার ছাড়তে ইচ্ছে করে না। কৃষির প্রতি একটা মায়া জন্মে আছে সেই ছোটকাল থেকে। শাইখ সিরাজের শনিবার ন'টা পয়ত্রিশের অনুষ্ঠানটা আমার না দেখলেই নয়। ধান, গম, ভূট্টা, মরিচ, সরিষা, পেয়াঁজ, রসুন, আদা থেকে শুরু করে সব কিছুই আমি গ্রাম থেকে নিয়ে আসি। তাই ফোন করলাম গ্রামের ছোট ভাই আমিনকে। খোঁজ নিচ্ছিলাম- এবার সেঁচ দেয়া হচ্ছে কিভাবে? আমিন জানালো- এবার সে একটি সোলার পাম্প কিনেছে, খরচ একটু বেশি হয়েছে প্রথমে কিন্তু ভবিষ্যতে আর কোন খরচ নেই ভেবে কিনেই ফেলেছে। এতে Load Shedding হলেও কি, না হলেও কি।
সূর্য থাকলেই পাম্প চলবে।

আমি অবশেষে ঘুমুতে যাই। নতুন কোন স্বপ্ন নিয়ে দেশকে এক নতুন অবস্থানে দেখব বলে। স্বপ্ন দেখতে তো নিশ্চয়ই কোন সমস্যা নেই। আমি মনে করি শত-সহস্র স্বপ্নের ফসলই এ সুন্দর পৃথিবী।

আমি বরাবরই আশাবাদীদের দলে।






৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×