লোকসাহিত্যে বাঙালির নিজস্বতা আর শেকড়ের দেখা মেলে। কিন্তু সমৃদ্ধ সেই সাহিত্য আমরা আজ প্রায় ভুলতে বসেছি।
আমি এখানে স্মৃতি থেকে কয়েকটি লোক ছড়া তুলে দিচ্ছি। এসব ছড়ার লেখক বা কবি কে, তা জানা নেই আমাদের।
১.
গাল ফোলা গোবিন্দের মা
চালতা তলায় যেয়ো না
চালতা তলায় গরুর ঠ্যাং
কলকে নাচে ড্যা ড্যাং ড্যাং
ড্যা ড্যাং ড্যাং
বাবারে ওরে বাবা, বাবারে
নাইরে নাইরে না হাবা গোবিন্দর মা।
২.
আনি মানি জানি না
পরের ছেলে মানি না
পরের ছেলে বাইড়শুরো
ঘুরে ঘুরে আমি বুড়ো
আনি মানি জানি না,
জানি না।
৩.
আশালতা পালঙ পাতা
আজকে তোমার বিয়ে, বিয়ে
আজকে তোমার বিয়ে
হাওড়া থেকে বর আসছে
টোপর মাথায় দিয়ে
বর দেখে যাও, বর দেখে যাও, রান্না ঘরের ঝুল
কনে দেখে যাও, কনে দেখে যাও, কনক চাঁপা ফুল
অতবড় মেয়ে আবার রাগ করেছে
মুখ পোড়া বর আবার টেরি কেটেছে।
৪.
রাঙা দিদি খোকার মা,
দিদিলো দিদি শোন সে কথা
কি কথা সই কি কথা? ব্যাঙের মাথা
কি ব্যাঙ? সোনা ব্যাঙ,
কি সোনা? কেষ্ট সোনা,
কি কেষ্ট? ধিনি কেষ্ট,
কি ধিনি? তা ধিনি,
কি তাক? কি তাক?
চুপ করে থাক।
৫.
হি হি হি
হাসি হাসবো নাতো কি
হাসির বায়না দিয়েছি
হা হা হা
হাসি ষোল টাকা মন, হাসি মাঝারী রকম
হিহি হিহি হিহি
হাসি বিবি আনা জানে হাসি গড়ুক তামাক টানে
হাহা হাহা হাহা
হাসি ঝোলা গুড়ের সেরা,
হাসি সেপাই দিয়ে ঘেরা
হাসি? কিসের হাসি
হি হি হি হাসি হাসবো নাতো কি
হাসির বায়না দিয়েছি
হি হি হি হি, হি-ই-ই-ই-ই-ই।
৬.
ওপেনটি বায়োস্কোপ, নাইনটেইন টেইস্কোপ
চুলটানা বিবিআনা লাট্টু বাবুর বৈঠকখানা
লাট বলেছে যেতে, পানসুপারি খেতে
পানের ভিতর মরিচ বাটা, ইস্প্রিং এর চাবি আটা
যার নাম রেণুবালা গলায় দিলাম মুক্তার মালা।
রাজরানী রেণুবালা গলায় দিলাম মুক্তার মালা।
৭.
খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গী এলো দেশে
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দেব কিসে
ধান ফুরালো পান ফুরালো খাজনার উপায় কি
আর কটা দিন সবুর কর রসুন বুনেছি।
৮.
হাড় কাঁপুনি শীত পড়িল, বুড়ো দাদুর দাঁত পড়িল
খোকার পিঠে কিল পড়িল, বুড়ো দাদুর দাঁত পড়িল।
বিল হাওড়ায় মাছ পড়িল, আর পড়িল কি?
এই দেখোনা আছাড় খেয়ে আমরা পড়েছি।
৯.
একে ইঁদুর, দুয়ে দাঁত
তিনে তেলি, চারে চোর
পাঁচে প্যাঁচা, ছয়ে ছুঁচো
সাতে শালিক, আটে আটকুড়ো
নয়ে নাপিত, দশে দামড়া
এগারোয় একঘরে, বারোয় বিয়ে।
১০.
আইকম বাইকম তাড়াতারি
যদু মাস্টার শ্বশুরবাড়ি
রেলগাড়ি ঝমাঝম পা-পিছলে আলুর দম।
১১.
বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদেয় এলো বান
শিব ঠাকুরের বিয়ে হলো তিন কন্যে দান
এক কন্যে রাঁধেন বাড়েন এক কন্যে খান
এক কন্যে রাগ করে বাপের বাড়ি যান।
১২.
আইকম বাইকম তাড়াতারি
যদু মাস্টার শ্বশুরবাড়ি
রেলগাড়ি ঝমাঝম পা-পিছলে আলুর দম।
১৩.
বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদেয় এলো বান
শিব ঠাকুরের বিয়ে হলো তিন কন্যে দান
এক কন্যে রাঁধেন বাড়েন এক কন্যে খান
এক কন্যে রাগ করে বাপের বাড়ি যান।
শৈশবে আমাদের সময়েও যতটুকু আনন্দ আর বৈচিত্র্য ছিল তার অনেকটাই আজকের শিশুর কাছে অচেনা জগত। কিন্তু শেকড়ের পরিচয় জানা বোধ করি সামনে এগিয়ে যেতে অপরিহার্য উপাদান। কাজেই শিশুদের পরিচিত করান আবহমান বাংলা আর বাঙালির সংস্কৃতির সঙ্গে।
আপনাদের মনে থাকা, জানা ছড়া রূপকথা বা লো সাহিত্যের যে কোন বিষয় জানান অন্যদের।
আলোচিত ব্লগ
৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…
১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন
ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)
ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন
'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'
নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ
আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা
গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন