স্কুলে শিশুর লেখাপড়ার ফল দিন দিন খারাপ হচ্ছে৷ অমনোযোগী ও খারাপ ছাত্রের তকমা লেগে যাচ্ছে গায়ে৷ বিষয়টা নিশ্চয় চিিন্তত হওয়ার মতো৷ কিন্তু ভেবে দেখুন, এ জন্য স্কুল বা বাড়ির পরিবেশ কোনোভাবে দায়ী কি না৷ আপনার, মানে অভিভাবক এবং শিক্ষকের কোনো ভুল আচরণ, অজানা সমস্যা শিশুকে নিভিয়ে দিচ্ছে কি না৷
আমরা কি ভুল করছি?
শিক্ষক বা শিক্ষিকা যদি ছাত্র বা ছাত্রীকে পছন্দ না করেন অথবা শিশুটিই যদি শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে অপছন্দের তালিকায় ফেলে দেয়, তবে শিশুর পড়াশোনায় চোরাবালির স্তূপ পড়ে যাবে৷ কোনো কোনো শিক্ষকের এবং অভিভাবকেরও পাঠদানের অভ্যাসে থাকে মারাত্মক ভুল পদ্ধতি৷ যেমন—
ভয় দেখানো
শারীরিক শাস্তি
কখনোই প্রশংসা না করা বা উৎসাহ না দিয়ে কেবল সমালোচনা
ভালো না করার জন্য শিশুকে দোষারোপ করা
শিশু কি যথাযথভাবে উজ্জীবিত?
স্কুলে শিশুর আগ্রহ হারিয়ে ফেলার অন্যতম কারণ হলো শিশুকে যথাযথভাবে উজ্জীবিত করতে না পারা—তার আগ্রহ জন্মানোর পথ খুলে না দেওয়া৷ যেকোনো বিষয় খেলাচ্ছলে, মজা করে পড়ানোর রীতি রপ্ত করা শিক্ষকের দায়িত্ব৷ গৎবাঁধা মুখস্থ রীতি থেকে বেরিয়ে ছবি-গল্প-গানসংবলিত পাঠদান আকর্ষণীয় হতে পারে৷ পড়া ধরা বা পরীক্ষার নিয়মটাও এমন হওয়া উচিত, যাতে শিশু একে ভয় না পায়৷
নিয়মিত উপস্থিতি চাই
শিশুর দীর্ঘদিন বা প্রায়ই স্কুলে অনুপস্থিতি অনেক সময় মনোযোগ হারিয়ে ফেলার কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷ বাড়ির বা অভিভাবকদের নানা সমস্যার কারণে যেসব শিশু ঘন ঘন স্কুল কামাই করে, তাদের মনোযোগ অন্য শিশুদের তুলনায় কমে যেতে পারে৷ অনেক সময় স্কুলে যেতে অনীহা প্রকাশও করতে পারে৷ গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, কয়েক দিনের জন্য ঘন ঘন স্কুল কামাই দীর্ঘ সময়ের একবার কামাইয়ের তুলনায় অনেক বেশি ক্ষতিকর৷
বারবার কি স্কুল বদল হচ্ছে?
ঘন ঘন স্কুল বদলও শিশুর আবেগ-আচরণে প্রভাব ফেলে৷ শিশু হতভম্ব হয়ে যায় এই দেখে যে এখানে আর ওখানে পড়ানোর পদ্ধতি ভিন্ন রকমের৷ তার ওপর পরিচিত শিক্ষক ও বন্ধুদের হারিয়ে খানিকটা অসহায়ও বোধ করে৷