somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শুধুই আমি...

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ঢাকা শহলে বসবাস। প্রায় ঢাকার সব পার্ক, স্থাপনা দেখা বা ঘোরা হয়েছে । কিন্তু কখনো জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান (বোটানীক্যাল গার্ডেন) যাওয়া হয়নি। সেদিন একা মটর বাইক নিয়ে অফিসের কাজে ঢাকার চিড়িয়াখানা রোডে দিয়ে ফিরতেই বোটানীক্যাল গার্ডেন চোখে পড়ল...তাই আর লোভ সামলাতে না পেরে ভিতরে প্রবেশ করলাম। সত্যি ইট পাথরের এই নগরীতে বিশাল সবুজে ঘেরা উদ্যানটি এদিক ওদিক উদ্ভুত চোখে তাকিয়ে দেখে মনটা ভরে গেল। শীতের সকাল পার্কে তাই দর্শণার্থী নাই বললেই চলে। চারদিকে সুন্দর মনোরম দৃশ্য দেখে কিছু ছবি তুলতে ইচ্ছা করলো। সাথে পকেটে আছে কম দামের একটা স্মার্ট ফোন কিন্তু আমিতো একা! মোবাইল ক্যামেরায় ছবি ক্লিক করতে একজন মানুষ প্রয়োজন। আশে পাশে তেমন কাউকে খুজতেই ১০-১২ বছরের একজন শিশুকে পেলাম। যাকে আমরা পধশিশু বলে থাকি। প্রথমে তার নাম জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম তার নাম রুবেল। বাবা নেই, মা এবং ছোট বোনকে নিয়ে চিড়িয়াখানা রোডের ফুটপাতে তাদের বসবাস। তাকে আমার ছবি তুলে দিতে প্রস্তাব দিতেই সে সাদরে রাজি হয়ে গেল। মোবাইলে কিভাবে ছবি তুলতে হবে, কখন, কোথায় ক্লিক করতে হবে বুঝিয়ে দিয়ে ছবি তুলতে শুরু করলাম। ক্যামারা ফাংশন বোঝাতে গিয়ে বুঝলাম ক্যামারা বা মোবাইল চালানোর অভিজ্ঞতা বা অভ্যাস না থাকলেও সেইরাম জ্ঞান, বুদ্ধি ও সহজাত দক্ষতা আছে। কিছু ছবি উঠানোর পর সে আমাকে জিজ্ঞেস করল, স্যার আপনি ফটক মানে ছবি উঠাতে পছন্দ করেন! হেসে বললাম, হুম খুব পছন্দ করি। ছবি উঠানো শেষে ওর সাথে গল্প গল্প করতে করতে ওকে বলালম তুমি লেখাপড়া করো? জবাবে সে বলল, করি না স্যার। আগে ব্রাক স্কুলে লেখাপড়া করতাম, এখন অভাবের কারনে করি না। এরপর রুবেলকে আবার প্রশ্ন করলাম, তুমি আমাদের স্কুলে পড়বে? তোমাকে বই, খাতা, কলম সব দেয়া হবে, কোনো টাকা পয়সা লাগবে না এবং তুমি নিয়মিত স্কুলে আসলে, ভালভাবে লেখাপড়া করলে, তোমাকে প্রতিমাসে টাকা (শিক্ষা বৃত্তি) দেয়া হবে। সে রাজি হয় এবং উত্তেজিত হয়ে খুশিতে বলে, হ্যা স্যার, পড়মু। ওর মাথায় হাত রেখে বললাম, ঠিক আছে আমরা তোমরর সাথে পরে যোগাযোগ করবো এবং আমাদের স্কুলে ভর্তী করে দিবো। এরপর ওকে বললাম, চলো আমরা কিছু খাই, কিন্তু সে খেতে রাজি হল না। পরিশেষে ওকে ধন্যবাদ দিয়ে পঞ্চাশ (৫০) টাকা হাতে দিলাম...সে হাসিমুখে চলে গেল।
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ঢাকা শহলে বসবাস। প্রায় ঢাকার সব পার্ক, স্থাপনা দেখা বা ঘোরা হয়েছে । কিন্তু কখনো জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান (বোটানীক্যাল গার্ডেন) যাওয়া হয়নি। সেদিন একা মটর বাইক নিয়ে অফিসের কাজে ঢাকার চিড়িয়াখানা রোডে দিয়ে ফিরতেই বোটানীক্যাল গার্ডেন চোখে পড়ল...তাই আর লোভ সামলাতে না পেরে ভিতরে প্রবেশ করলাম। সত্যি ইট পাথরের এই নগরীতে বিশাল সবুজে ঘেরা উদ্যানটি এদিক ওদিক উদ্ভুত চোখে তাকিয়ে দেখে মনটা ভরে গেল। শীতের সকাল পার্কে তাই দর্শণার্থী নাই বললেই চলে। চারদিকে সুন্দর মনোরম দৃশ্য দেখে কিছু ছবি তুলতে ইচ্ছা করলো। সাথে পকেটে আছে কম দামের একটা স্মার্ট ফোন কিন্তু আমিতো একা! মোবাইল ক্যামেরায় ছবি ক্লিক করতে একজন মানুষ প্রয়োজন। আশে পাশে তেমন কাউকে খুজতেই ১০-১২ বছরের একজন শিশুকে পেলাম। যাকে আমরা পধশিশু বলে থাকি। প্রথমে তার নাম জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম তার নাম রুবেল। বাবা নেই, মা এবং ছোট বোনকে নিয়ে চিড়িয়াখানা রোডের ফুটপাতে তাদের বসবাস। তাকে আমার ছবি তুলে দিতে প্রস্তাব দিতেই সে সাদরে রাজি হয়ে গেল। মোবাইলে কিভাবে ছবি তুলতে হবে, কখন, কোথায় ক্লিক করতে হবে বুঝিয়ে দিয়ে ছবি তুলতে শুরু করলাম। ক্যামারা ফাংশন বোঝাতে গিয়ে বুঝলাম ক্যামারা বা মোবাইল চালানোর অভিজ্ঞতা বা অভ্যাস না থাকলেও সেইরাম জ্ঞান, বুদ্ধি ও সহজাত দক্ষতা আছে। কিছু ছবি উঠানোর পর সে আমাকে জিজ্ঞেস করল, স্যার আপনি ফটক মানে ছবি উঠাতে পছন্দ করেন! হেসে বললাম, হুম খুব পছন্দ করি। ছবি উঠানো শেষে ওর সাথে গল্প গল্প করতে করতে ওকে বলালম তুমি লেখাপড়া করো? জবাবে সে বলল, করি না স্যার। আগে ব্রাক স্কুলে লেখাপড়া করতাম, এখন অভাবের কারনে করি না। এরপর রুবেলকে আবার প্রশ্ন করলাম, তুমি আমাদের স্কুলে পড়বে? তোমাকে বই, খাতা, কলম সব দেয়া হবে, কোনো টাকা পয়সা লাগবে না এবং তুমি নিয়মিত স্কুলে আসলে, ভালভাবে লেখাপড়া করলে, তোমাকে প্রতিমাসে টাকা (শিক্ষা বৃত্তি) দেয়া হবে। সে রাজি হয় এবং উত্তেজিত হয়ে খুশিতে বলে, হ্যা স্যার, পড়মু। ওর মাথায় হাত রেখে বললাম, ঠিক আছে আমরা তোমরর সাথে পরে যোগাযোগ করবো এবং আমাদের স্কুলে ভর্তী করে দিবো। এরপর ওকে বললাম, চলো আমরা কিছু খাই, কিন্তু সে খেতে রাজি হল না। পরিশেষে ওকে ধন্যবাদ দিয়ে পঞ্চাশ (৫০) টাকা হাতে দিলাম...সে হাসিমুখে চলে গেল।
ফটো ক্রেডিটঃ রুবেল (অপেশাদার ফটোগ্রাফার ওরফে পথশিশু)
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×