নীল সাগরের আক্ষেপকে রান্নাঘরের কার্নিশে ঝুলিয়ে আমি বের হই -
সমস্ত শহরের ছাদ ভেসে যাচ্ছে প্রখর রোদের বৃষ্টিতে
আমি ভিজতে ভিজতে হাঁটতে থাকি গলিত পিচ ধরে - আমার তৃষ্ণারা গলতে থাকে
আকাশ আরো উপরে উঠতে থাকে আরো সুনীল ডানায় -
কোবরার বিষ নীল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে আরো মহাশূন্যের অন্ধকারে
আমি হেঁটে চলি
একটা শুভ্রডানার পায়রা আমার মাথার রোদে নির্লোভ ইচ্ছের মতো ভাসতে থাকে
তার খসে পড়া পালকের শুভ্রতায় চমকে উঠি - কোবরার ব্যাভিচারের দাগ
আমি ব্যাভিচার মুছতে মুছতে এগিয়ে যাই - সে নেমে এসে বসে কাঁধ বেয়ে বুকে
আমি পালকটি তুলে দিই তার ডানায় - সে উড়ে যায় ভেজা হৃদয়ের মতো রোদের পালকে
আমি হেঁটে চলি
আমি হাঁটতে থাকি নগরের উত্তপ্ত রাস্তা ধরে
আমি এগুতে থাকি সামনের দিকে যদি পেয়ে যাই সেরকম নদী একটা...
কতদিন পালক ভিজিয়ে স্নান হয় না