somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হাউ মাউ খাউ ভূতের গন্ধ পাও - ভূতেদের দিনরাত্রী

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সেই ভর সন্ধ্যা থেকেই পুতলীপুরের জংলা পুকুরের পুব দিকটার শেকড় বাকড় ছড়িয়ে শেকড় গেড়ে বসে যাওয়া শেঁওড়া গাছটার সরু ঝিলঝিলে মগডালটার সাথেরই লাগোয়া ডালে পা ঝুলিয়ে হেলান দিয়ে উদাস বসে আছে সুপ্তি। তার কিছুদূরেই লিকলিকে হাত পাওয়ালা অপুষ্টিতে ভোগা কিছু ভূতের ছানারা অবিশ্রান্ত অক্লান্ত মারামারি ঢুসিঢুসি করে চলেছে। একটা খামচি দেয় তো আরেকজন থাবড়া লাগিয়ে দেয়, আরেকজন চিমটি কাঁটে তো আরেকজন কষে লাথি মেরে ডাল থেকে ফেলে দেয়। তাও কি ফেলার জোঁ আছে? একটু টলে গিয়েই লিকলিকে হাতগুলো আরও লিকলিকে লম্বা করে ধরে ফেলে ছাল বাকল বা ডালটাই নয়তো শূন্যে বোঁ করে উড়ে এসে জুড়ে বসে আরেকটার পিঠেই, তারপর দমাদম কিল লাথি গুঁতো আর তারস্বরে চিল চিৎকার। ওদের হুড়োহুড়ি হুজ্জতিতে সুপ্তির কোনোই ব্যাঘাৎ ঘটছে না। সে যেন এক আনমোনা উদাসী ভাবুক। রাতদিন সাত সমুদ্দুর বা সাত পাঁচের হিসেবটা কেনো মিললো না তা ভেবেই চলেছে।

দিন রাত্রীর ২৪ ঘন্টার বলতে গেলে পুরোটা সময় সে বসে থাকে এখানেই, এভাবেই, এক মনে, এক ধ্যানে। একটু আগেই মোটা সোটা এক চন্দ্রবোড়া সড়সড় করে নেমে গেলো ওর গা ঘেষেই। সেদিকে নির্লিপ্ত চোখে তাকিয়ে ভাবে সুপ্তি। আজ সে ভয় ভীতি, ভালো মন্দ সকল কিছুর উর্ধে। অথচ সাপকে কি ভীষনই ভয় না পেত সে একদিন। একবার টি এস সি এর সামনে এক বেঁদের মেয়ে সবুজ হলুদে মেশানো বিচিত্র বর্ণের এক ছোট্ট সাপ এনে দাঁড়িয়েছিলো ওর সামনে। সেই সাপ দেখেই সুপ্তি ভয়ে প্রায় অজ্ঞান অবস্থা। ওর অবস্থা দেখে খুব হেসেছিলো অর্ক। সাথে লাল হলুদ রঙ্গিন ফিতায় দুই বেনী করা মিষ্টি মুখের বেঁদেকন্যাটিও। মনে হতে হেসে ফেলে সুপ্তি। হায়রে জীবন। বেঁচে থাকতে সে হাসি কান্না আনন্দ বেদনার মূল্য ছিলো। এই অশরিরী জীবনে সব কিছুই আজ মূল্যহীন। অর্ককে মনে পড়ে। একবার দেখে আসা দরকার। কেমন আছে অর্ক?

হঠাৎ ভাবনায় ছেদ পড়ে খোনা গলার কুসমী মাসীর খনখনে গলা শুনে। কি ল্লোঁ অঁনন্ত জেঁবন কিঁ এঁই এঁকখানেই বঁইসা কাঁটাইবি? এঁই কাঁচা বঁয়সে কঁই এঁকটু আঁমোদ ফূঁর্তি কঁরবি। উঁড়াউড়ি কঁরবি। প্রেঁম ধ্রেম কঁরবি। তাঁনা সাঁরাক্ষন মুঁখপুড়ি হুঁনুমাননীডির মঁতন বঁইসা আঁছস। আঁশে পাশে কঁত শঁত রুঁপকুমার প্রেঁমকুমার ভূঁতকুমার প্রেঁতকুমার দেঁও দাঁনোরা তোঁর প্রেঁমে দিঁও্যানা রইছে একটারেও কি মনে ধরে না তোর লা? কুসমী মাসীর কথা শুনে গা জ্বলে মাঝে মাঝে ওর। বেঁচে থাকতে ছিলো কমলাপুর রেইল স্টেশনের ফকিরনী। ট্রেনে কাটা পড়ে ৮০ বছর বয়সে এইখানে এসে উঠেছে। তাও নাকি ৫০/৬০ বছর আগের কথা। সত্যি বলতে উনিই এই শেওড়া রাজ্য মানে আশে পাশে যতগুলি ভূতেদের আস্তানা আছে সবকটির সবচাইতে প্রবীন বাসিন্দা। ভূত প্রেত দত্যি দানোদেরকাছে দারুন সন্মানীয়া। ভূতরাজ্যে যখন গন্ডগোল লাগে। আবাসস্থল বা প্রেমিক প্রেমিকা নিয়ে তখন সালিশ বিচারের সভা বসে। সেই সভায় মাথায় হাড্ডিগুড্ডি নরমুন্ডুর মুকুট পড়ে বসেন এই কুসমী মাসীই। বিচার করে দেন। কোন ডালে কোন ভূত থাকবে কোন কুঠুরে কোন প্রেত। মাঝে মাঝে প্রেম ভালোবাসা নিয়ে এখানেও রক্তারক্তি বেঁধে যায় সেসব বিচার আচারেও কুসমী মাসীকে বেশ মান্যিগন্যি করে সকলে। হাসি পায় সুপ্তির।

হায়রে বেঁচে থাকতে ছিলো রেলস্টেশনের ভিখারী আর মরে গিয়ে ভূত হয়ে হয়েছেন ভূত সর্দার্নী রাণী মাতা। যখন তখন মাতবরী করতে সুপ্তির উপরেও চড়াও হয় বুড়িটা। সুপ্তির কাছে অবশ্য দুই পয়সাও দাম নেই তার। সে নির্লিপ্ত বসে থাকে। খনা গলায় প্যান প্যান করে এক সময় ক্লান্ত হয়ে পাঁক খেতে খেতে শূন্যে অদৃশ্য হয় কুসমী মাসী মানে ভূতপ্রেতেদের রাণী মাতা। সুপ্তির মাঝে মাঝে রাণী এলিজাবেথকে মনে পড়ে। তার মাথায় হীরার মুকুট আর ভূতরাণীর মাথায় হাড়ের মুকুট। দুজনের মুকুট অদল বদল করে ভেবে নিজেই হাসতে থাকে সে। এভাবেই কাটে সুপ্তির দিন। অনন্তকাল অনন্ত প্রহর। ভূত রাজ্যেও দিন আসে, রাত নামে। বেঁচে থাকতেও মানুষগুলো যেমন ভূসম্পত্তি নিয়ে মারামারি করত এখানেও একখান ডাল বা গাছের কোটর নিয়ে বিবাদে জড়ায় তারা। নাহ মানুষ বড়ই আজিব প্রাণী! মরে গিয়েও স্বভাব ছাড়তে পারে না।


রাত গড়ায়। চারিদিকে বনাঞ্চলে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক আর অজানা সব পোকামাকড়ের শব্দরাও যেন নিভে এসেছে। দিনরাত অষ্টপ্রহর কিউ কিউ চিউ চিউ করা ভূতের ছানারাও সব ঘুমিয়ে পড়েছে। সুপ্তির চোখেও তন্দ্রা মতন এসে গিয়েছিলো। ঢুলছিলো সে। হঠাৎ পাশের ডালে ঝটপট হুড়মুড় শব্দে চোখ মেলে চমকে তাকালো সুপ্তি। একজন উস্কোখুস্ক চুলের বছর ২৫/২৬ এর তরুণ এসে বসেছে ঠিক তার পাশের ডালটায়। ক্লান্ত শ্রান্ত চোখ তুলে তাকালো সুপ্তির দিকে। তারপরই আটোসাটো হয়ে বেশ ভালো করে বসেও সন্দিহান দৃষ্টিতে একবার নীচে আরেকবার উপরে ওর দিকে তাকিয়ে বললো, পড়ে যাবো না তো ? ওর কথা শুনে হেসে উঠলো সুপ্তি। ওর হাসি দেখে অবাক হয়ে জানতে চাইলো ছেলেটি হাসির কারণ? সুপ্তি বললো, পড়বে না। আর পড়লেও কোনো ভয় নেই। ছেলেটি বললো ভয় নেই মানে? এইখান থেকে পড়লে তো হাত পা মাথা কিছুই অবশিষ্ঠ থাকবে না আর। সুপ্তির মন খারাপ হয়ে গেলো। বললো, কিছুই কি আর অবশিষ্ঠ আছে? আজ প্রায় ৩ বছর ৭ মাস পর কথা বললো সুপ্তি। মনে পড়লো প্রথম প্রথম তারও মনে থাকতো না যে সে ভয় ভীতি, ভালো মন্দ প্রেম ভালোবাসা সব কিছুর উর্ধে চলে গেছে।

ভালোবাসার কথা মনে পড়তেই ফের উদাস হয়ে গেলো সুপ্তি। মনে পড়লো অর্ককে। অর্ক, এই পৃথিবী ছিলো একদিকে আর অর্ক আরেকদিকে। একটা দিনও ওকে না দেখে থাকতেই পারতো না সে।আর অর্কও বলেছিলো ওকে ছাড়াও একটা দিনও বেঁচে থাকা সম্ভব নয় তার। অথচ আজ অর্ক তাকে ছাড়া ভালোই আছে। হয়ত ঐ মেয়েটার সাথেই আছে। যার জন্য দারুন এক অভিমানে জীবন থেকেই বিদায় নিয়েছিলো সুপ্তি। মনে পড়ে যেদিন সে জানতে পেরেছিলো অর্কের জীবনে সেই মেয়েটির কথা। সারা রাত ঘুমাতেই পারেনি সে। কেঁদে কেঁদে চোখ ফুলিয়েছিলো। অর্ক সে কথা জেনে খুব সাধারণ ভঙ্গিতেই বলেছিলো। এতে অবাক হবার কিছু নেই। হ্যাঁ আমি ওর সাথে কয়েকঘন্টা কাঁটিয়েছি কিছুদিন। কিন্তু তুমিই আমার সব! বিয়ে আমি তোমাকেই করবো। ও তো টাইম পাস। এ কথা শোনার পর আর সইতেই পারেনি সুপ্তি। মায়ের স্লিপিং পিল এর কয়েকপাতা গিলে চির দিনের জন্য বিদায় নিয়েছিলো অর্ক তথা সমগ্র পৃথিবী থেকে। সে আজ থেকে প্রায় বছর চারেক আগের কথা। তারপর উড়ে উড়ে একদিন অনেক দূরের এই জঙ্গলে চলে আসা। ভাবতে ভাবতে চোখের কোনে বুঝি জল এসে যায়। হাত দিয়ে মুছতে গিয়ে দেখে কোথায় জল? সবই শুধু মনের ভুল....

এই যে কি ভাবছেন বসে বসে? চোখ মেলে দেখে সেই ছেলেটা ওর মুখের সামনে শূন্যে ভেসে হাত নেড়ে জানতে চাইছে। আমার না পানির তেষ্টা পেয়েছে। আবার হাসি পায় সুপ্তির। সে জানতে চায়? সত্যিই কি পানির তেষ্টা পেয়েছে? সে বলে হ্যাঁ। হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ে সুপ্তি। সে জানে এসবও ছেলেটার মনের ভুল। অশরিরীদের পানির তেষ্টা পায় না। ক্ষুধা তৃষ্ণা কিছুই থাকে না তাদের। ছেলেটা তাগাদা দিয়েই চলে, পানি কোথা পাই বলেন তো? সুপ্তি বলে কেনো সামনে ঐ যে মজা পুকুর দেখতে পাচ্ছো না? যাও পানি খেয়ে আসো। ছেলেটা বলে ওয়াক ওয়াক এই পানি কেমনে আমি খাবো? সুপ্তি হাসতে হাসতে শূন্যে পাখা মেলে। ছেলেটার চোখ গোল গোল হয়ে যায়। আরে আরে আপনি উড়ছেন কি করে? সুপ্তি বলে তুমিও ওড়ো। তুমিও উড়তে পারো। একটু চেষ্টা করো। এইযে আমার মত দুদিকে হাত মেলো। ছেলেটা ভয়ে হাত মেলতেই পারে না। সুপ্তি উড়ে এসে ওর হাত ধরে টান দিতেই দুজনেই শূন্যে ভেসে যায়। ছেলেটা ভয় আর আতংকে চিৎকার দিয়েই চুপ করে যায় এবং আনন্দে হাসতে থাকে। স্যুপারম্যানের মত ওড়ার অনাবিল আনন্দে।

ওরা এসে বসে পুকুরের ধারে ফুটে থাকা বুনো কামিনী গাছটার পাশে। তুষার বলে জানো, প্রায় ৩ মাস পর আজ আমার হাল্কা ফুরফুরে লাগছে। মনটাও ভালো হয়ে গেছে। সুপ্তি জানতে চায় তিনমাস কোথায় ছিলো সে? তুষার বলে তার প্রেমিকা যখন তাকে ছেড়ে অন্যের গলায় মালা দিলো সেই কষ্টটাই সইতে পারেনি সে। তাই জীবনটাই শেষ করে দিলো। সুপ্তির দীর্ঘশ্বাস পড়ে। তবে কি পৃথিবীতে ভালোবাসা আসলেই মিথ্যে? ভোর হয়ে আসছে। হঠাৎ পুকুরের ওপার থেকে ভেসে আসে কুসমী মাসীর খনা গলা?? কিঁরে সুঁপ্তি এই নঁতুন মাঁলটা কই থেইঁকে এসে জুঁটলোরে? ঐ তোঁর নাঁম কিঁরে ছোঁটকা? কঁই থেকে উঁদয় হঁয়েছস। ফুড়ুৎ করে উড়ে এসে বসে বুড়িটা ওদের দুজনের মাঝে। হাতে একখানা নিম গাছের ডাল দিয়ে দন্তহীন দন্ত মার্জন চলছিলো তার। সঁর সরে বস। ভূঁতলোক বঁলেই ভাঁবিস না এত ঘেঁসাঘেসি চঁলবে এঁইখানে হেঁ। সুপ্তি হাসতে থাকে। চারিদিকে সকাল জাগতে থাকে। পাখপাখালীরা গাইতে শুরু করেছে। বুড়ি খনা গলায় গান ধরে-
ডাকে পাখি খোলো আঁখি
দেখো সোনালী আকাশ
বহে ভোরেরও বাতাস ......
বুড়ির গান শুনে ওরা দু'জন হাসতে হাসতে লুটিয়ে পড়ে। ভূতরাজ্যে কারো আসলে দুঃখ বেদনা নেই। নেই হা হুতাশ। এখানে কেউ পুরানো জীবন নিয়ে আর ভাবে না। শুধু সুপ্তির মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে। একটাবার ঘুরে আসতে, দেখে আসতে কেমন আছে অর্ক?


সুপ্তিআর তুষারের এখন দারুণ বন্ধুত্ব। ওরা একদিন ঠিক করে দুজনে মিলে ফিরে যাবে তাদের পুরোনো শহরে। চুপচাপ দূর থেকে দেখে আসবে ওদেরকে যাদের জন্য তাদেরকে হারিয়ে যেতে হয়েছে এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে। সেদিন ছুটির দিন। খুব ভোরে উড়তে শুরু করে তারা। জংলা পুকুর পেরিয়ে, ঘন বন ছাড়িয়ে ধুলো আর ধোঁয়ার শহরে পৌছে যেন দম বন্ধ হয়ে আসে তাদের। তারপরও না থেমেই অর্কের বাসার খোলা জানালায় ফুড়ুৎ করে ঢুকে পড়ে তারা। চুপটি করে বসে এসে বড় আলমারীটার উপরে।

শীতের মিষ্টি ভোরে অর্ক বারান্দার রোদে বসে খবরের কাগজ পড়ছিলো। ওর এক পাশ ফেরানো মুখটা দেখা যাচ্ছে। দেখে মন খারাপ হয়ে পড়ে সুপ্তির। এই মুখে কত আদর মাখা স্মৃতি আছে ওর। হঠাৎ রান্নাঘর থেকে সুমিষ্ট কন্ঠে ডেকে ওঠে কেউ। সকালের নাস্তা খেতে ডাকছে কেউ অর্ককে। চমকে ওঠে সুপ্তি। সেই মেয়েটা, যার ছবি দেখে ভীষন অভিমানে পৃথিবী ছেড়েছিলো সুপ্তি। চমকে ওঠে তুষারও। চিৎকার করে ওঠে- বন্যা! ওরা কেউই ভ্রুক্ষেপও করে না। কারণ ওদেরকে কেউ শুনতেই পায় না। সুপ্তি অবাক চোখে তাকায় ওর দিকে। তুষার বলে দেখো এই বন্যা যে আমাকে ছেড়ে... গলা ধরে আসে ওর। হঠাৎ উড়ে গিয়ে বেষম জোরে চড় কষিয়ে দেয় ও বন্যার গালে। বন্যার হাত থেকে রুটি আর ভাঁজির প্লেট পড়ে যায়।ভয়ে কেঁদে ফেলে ও । তাই দেখে দৌড়ে আসতে যায় অর্ক আর ওকে ল্যাং মেরে ফেলে দেয় সুপ্তি! তারা দু'জনে এই সব ভূতুড়ে কান্ডে ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে যখন চেঁচাতে থাকে। তখন সুপ্তি আর তুষার তাদের আনন্দের খেলায় মেতেছে। বারান্দার ফুলের টব শূন্যে উড়িয়ে ছুড়ে মারে দেওয়ালে, নীল নীল ফুলছোঁপ জানালার পর্দাটা ডান্ডিসহ ঠেলে দেয় কার্পেটের নীচে। বিয়ের যুগল ছবিটা টুকরো হয়ে আছড়ে পড়ে মাটিতে। বিছানার চাঁদর কুটি কুটি হয়ে ছিঁড়ে যায়।
এইভাবে পুরো সকালটা লন্ডভন্ড তুলকালাম ঘটিয়ে রাইটিং প্যাডটা টেনে সিগনেচার দিয়ে ওদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বিদায় নেবার সময় ধুপধাপ শব্দে ওদের দু'জনকে ফিট হয়ে পড়তে দেখে হেসে গড়িয়ে পড়ে ওরা।




গভীর রাত! চারিদিকে শুনশাান নীরবতা। কামিনী ফুল গাছটার পাশে বসে আছে ওরা দু'জন। কামিনী গাছটা ঘিরে জোনাকীদের ঝিকিমিকি। অনেক হেসেছে ওরা আজ। তুষারের কাঁধে মাথা রেখে গুন গুন গাইছে সুপ্তি.......

কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে
জোনাকী আলো নেভে আর জ্বলে শাল মহুয়ার বনে...



অনন্তকাল, অনন্ত প্রহর দু'জনে একে অন্যের সাথে থাকার কথা দিয়েছে আজ তারা। এর শেষ কোথায়, কবে কখন কোন অজানায়? জানা নেই তাদের দু'জনের কারোরই....


বিঃ দ্রঃ এটা কোনো গাঁজাখুরি গল্প না। সত্যিকারের অপঘাতে মরা দু দুজন মানুষের ভূত আর পেত্নী হবার পরের গল্প। বিশ্বাস না হয় অর্ক আর তার বউ এর কাছে শুনে দেখেন...
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৮
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×