somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এই গল্পের কি নাম দেবো?

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমি সব সময় চেয়েছি শুভ্র ভালো থাকুক। সুখী হোক। ওর সকল চাওয়া পাওয়া এবং সকল অপূর্ণতা পূর্নতা পাক। ও হোক জগতের সবচেয়ে সুখী মানুষ। আসলেইএমনটাই চেয়েছিলাম। এখনও চাই। হয়ত বাকী জীবনও এটাই চাইবো। আর তাই সারাটাজীবন ওর পা্শেই থাকতেই চেয়েছিলাম আমি। শুভ্রের চাওয়াটাও একই রকম ছিলো। কিন্তু তা হলো না । বিঁধি বাম। আসলে মানুষ চায় এক হয় আরেক। ভাবে একরকম হয় অন্যরকম। এসব তেমন অস্বাভিক কোনো কিছু নয়। জীবন নামে এই নাট্যশালায় এমনই সব নাটকের জন্ম হয় রোজ রোজ কত শত হাজারে হাজারে লাখে লাখে। শুধু সেসব কোনো মঞ্চে বা পর্দায় অভিনী্ত হয় না।

চিলেকোঠার সেই দিনগুলোকে আমার চলচ্চিত্র বা স্বপ্নে দেখা কোনো অবাস্তব দৃশ্যের মতই মনে হয় আজকাল। এসব যে আমার জীবনে কখনও ঘটেছিলো আমার তা বিশ্বাসই হতে চায় না আর। মনে হয় অনেকদিন আগে দেখা মনে গেঁথে যাওয়া কোনো এক প্রিয় ম্যুভি এর দৃশ্য বা কোনো প্রিয় গল্পের বই এর মাঝে লিখে রাখা মনে থেকে যাওয়া ঘটনাবলী। মাঝে মাঝেই কারণে অকারণে প্রায়ই আমার সেসব দিনের নানা ঘটনাগুলো মনেও পড়ে যায়। আমার মন খারাপ হয় না। যেমন কোনো নাটক বা সিনেমার দৃশ্য থেকে অতি বাস্তবের সাথে মিলিয়ে ফেলে কাঁদি আমরা বা কোনো অকারণ কোনো হাসির দৃশ্যেও হেসে ফেলি ঠিক তেমনই এই স্মৃতিগুলি আমাকে কাঁদায় হাসায়। আবার চকিতে মিলিয়েও যায়।

সেদিন সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে দেখলাম এক নতুন দম্পতি রিকশা করে শপিং সেরে বাড়ি ফিরছেন। বুঝাই যায় নতুন বিয়ে হয়েছে ওদের। হাসি হাসি সুখী চেহারার একটি অল্প বয়সী মেয়ে। হাতে মেহেদী, গলার সোনার সরু মালা, এলোখোঁপা পড়ে রয়েছে ঘাড়ের উপরে। ভারী মিষ্টি চেহারা। স্বামীটিও সুদর্শন সাদাসিদে চেহারার। বউটার হাতে মানে কোলের উপর ধরা একটি গ্যাসস্টোভ আর স্বামী বেচারা একগাদা প্লাস্টিক এলুমিনিয়ামের গামলা পাতিল নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। রিকশাটা জ্যামে আটকে ছিলো। আমার নজর পড়লো সেদিকে। এত কিছু নিয়ে হিমশিম খাবার মাঝেও কি নিয়ে যেনো হাসিতে গড়িয়ে পড়ছিলো বউটা। এই অতি সুন্দর দৃশ্যটা দেখেও আমার বুকের মাঝে অলখে একটা ছোট্ট নিশ্বাস পড়লো। নাহ ওদের সুখী দেখে নয়। নিশ্বাসটা পড়েছিলো বুঝি শঙ্কায়। এমনই কত স্বপ্ন আর সাধ নিয়ে শুরু হয় কত মানুষের নতুন জীবন কিন্তু নিয়তির করাল গ্রাসে বা নিজেদেরই চাওয়া পাওয়ার দোলাচলে ছিড়ে যায় সেই সুখের বাঁধন। মনে মনে প্রার্থনা করলাম সুখে থাকুক ওরা।

মনের ফ্লাশব্যাকে ভেসে উঠলো চিলেকোঠার সেই ছোট্ট এক কামরার একটি সন্ধ্যার কথা। সেদিন আমরাও কাওরান বাজার থেকে এমনই সব হাড়ি বালতি আর নতুন গ্যাসস্টোভ নিয়ে হিমশিম খেতে খেতে ফিরেছিলাম। সেই খেলা খেলা নতুন এক রত্তি কামরা আর সামনের ছাঁদটুকু সাঁজিয়ে তুলতে আমাদের সে কি আপ্রাণ চেষ্টা ছিলো। নানা রকম ফুলের গাছে ছাঁদটা প্রায় ভরে ফেলেছিলাম ঐ কটা দিনেই।
ঐ এক রতি কামরাটি কমদামী আসবাবে সাঁজিয়ে তুলতে আমাদের চেষ্টার ত্রুটি ছিলো না। সেই যেন ছিলো আমাদের স্বর্গরাজ্য। কোনো দুঃখ কষ্ট আর অভাবই স্পর্শ করেনি আমাদেরকে যেন সেই চিলেকোঠার দিনগুলোতে।

কিন্তু তারপর। চাওয়া আর পাওয়ার মাঝে দ্বিধা দ্বন্দের শুরু। কিন্তু সব কিছুর পর আমার আজ নিজেকেই দায়ী মনে হয়। মনে হয় শুভ্রকে তার পাশে থেকে বন্ধুর মত মন নিয়ে যে সাহায্যের হাতটুকু বাড়ানো উচিৎ ছিলো আমার, আমি মনে হয় সেটা একেবারেই করিনি। বরং দিন দিন বিরক্তই হয়ে উঠেছিলাম ওর খামখেয়ালী উদাসীন জীবন যাপনে। শুভ্রের জন্যও সে সময়টা হয়ত সঠিক ছিলো না। একজন স্ত্রী বা সন্তানের দায়িত্ব নেবার মত মানসিকতা গড়ে উঠবার আগেই সব শেষ হয়ে গিয়েছিলো।

খুব আবেগী ও বাস্তবতা বিবর্জিত আমিও ছিলাম কি তখন? মাঝে মাঝেই নিজের কাছে এ প্রশ্নটাও করি আমি। উত্তর খুঁজে পাইনা। সকলেই বলবে অবশ্যই তাই ছিলাম নইলে কথা নেই বার্তা নেই হুট করে ওমন করে কেউ চালচুলোহীন একটা ছেলের সাথে চিলেকোঠার ঐ এক কামরায় গিয়ে ওঠে? কথা ঠিক। তবে আমার মনে হয় বাস্তবতা বিবর্জিত আমি কোনোকালেই ছিলাম না। আসলে সেটা ছিলো আমার নতুন এক বাস্তবতাকে মেনে নেবো বলেই সেই পথ চলাটার শুরু। নতুন এক অন্য জীবনের হাতছানি। যাকে ভালোবাসি তার সাথে সকল দুঃখ কষ্ট ভাগাভাগি করে পাশে থেকে লড়াই এর ইচ্ছা। কিন্তু ঐ যে মানুষ ভাবে এক হয় আরেক। তাই হলো.....

তবে যাই হোক বলছিলাম সেই মহানন্দময় এডভেঞ্চার থেকে ক্রমে বিষাদে পরিনত হওয়া আমাদের সেই গল্পটা আমাকে আর এখন দুঃখ দেয় না। শুধু যেন মনে গেঁথে যাওয়া কোনো প্রিয় গল্পের বই বা কোনো ভীষন পছন্দের ম্যুভি যা অভিনীত হয়েছিলো কোনো একদিন কোনো এক আমার হারিয়ে যাওয়া জীবনে এমনই মনে হয় আমার। শুধু শেষদিনের সেই দৃশ্যটাই আমাকে মাঝে মাঝে কাঁদায়। এমনকি আমার স্বপ্নেও ফিরে ফিরে আসে। সেই পড়ন্ত বিকেলের ছায়া ছায়া ঘরটার মাঝে শুভ্র আর আমার শেষ সিদ্ধান্তের কথপোকথন। আমাদের শেষ বিদায়ী চুম্বন। ঘুমের মাঝেও ডুকরে কেঁদে উঠি আমি। ঘুম ভেঙ্গে যায়। সেইসব মাঝ রাতে আমি বারান্দায় গিয়ে বসি। সেসব রাতগুলোতে আমার ঘুমই আসেনা আর।

এত তিক্ততা নিয়ে শেষ হবে এই সম্পর্কটা কখনও ভাবিনি আমি। আমাদের কখনও ঝগড়া হয়নি। কেউ কাউকেই কটু কথাও বলিনি কখনও। তবুও আমাদের বিচ্ছেদ হলো। তিক্ততাটা আমার মনের মধ্যেই গড়ে উঠেছিলো। শুভ্র সেটা বুঝতে পেরেওছিলো। কিন্তু আমি শুভ্রের ব্যবহারে কখনও তারতম্য দেখেিনি। তবুও শেষ পর্যন্ত আমাদের একসাথে থাকা হলো না। কিন্তু শুভ্র তার কথা রেখেছে। সেই শেষদিনে বলে যাওয়া কথাটা। এই জীবনে আমাদের মাঝে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কটা শেষ হয়ে গেছে বটে তবে বন্ধুত্বটা যেন নষ্ট না হয় কখনও সেই ছিলো শুভ্রের চাওয়া। সেই বন্ধুতের জায়গাটা আজও আছে তবে কোথায় যেন একটা বাঁধা। কোথায় যেন একটা কাঁটা।

শেষ পর্যন্ত ভালো একটা চাকুরীতে ঢুকেছে শুভ্র। খুব কম হলেও যোগাযোগ হয় ওর সাথে এখনও আমার। তবে হ্যাঁ নিজে থেকে সে কখনই আমাকে আর ভালো মন্দও জিগাসা করে না। জানিনা কি ভেবে। তবে আমি কখনও মেসেজ বা ফোন দিলে উত্তর দেয়। আগের চাইতে অনেকটাই থিতু হয়েছে মনে হয় আমার ওকে। চাকুরীতে মন দিয়েছে। লাইফস্টাইলটাকে বদলাবারও চিন্তা ভাবনার করছে আজকাল। আমার সাথে খোলামেলা্য আলোচনা হয়েছে কিছুদিন আগে। বাসা থেকে ওকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে। ওর এই ছন্নছাড়া একাকী জীবনে যেন আর কোনো ভুল মানুষ না আসে সেই ব্যপারটা নিয়ে খুবই চিন্তিত ওর পরিবার পরিজন। ওদের চেনাজানার মধ্যেই মেয়ে দেখছে তারা।

আমিও এমনভাবেই ওর সাথে কথা চালিয়ে যাই যেন ব্যপারটা খুবই সহজ কিছু। একজন বন্ধু ঠিক যেভাবে আলোচনা করে এই ব্যপারে ঠিক তেমনই। মেয়ে মোটামুটি ঠিক করাই আছে। তবে শুভ্রকেই কনফিউসড লাগে আমার। মনে হয় আমাদের ঐ বিয়েটা এবং তার পরবর্তী মেয়েটার সাথে বিচ্ছেদ তাকে নিজের উপরেই কনফিডেন্স হারিয়ে ফেলতে বাধ্য করেছে। মেয়েটার নাম জলমোতী। আজকের দিনে এমন সেকেলে নামেরও মানুষ আছে জানতাম না আমি। তবে সেকেলে হোক আর যাইহোক নামটা কিন্তু দারুন। অনেক দ্বিধা ও দ্বন্দ নিয়ে খুবই স্বাভাবিকভাবে জানতে চাইলাম কেমন দেখতে মেয়েটা? ছবি দেখাবে? হা হা মাঝে মাঝে নিজের উপর হাসি পায় আমার। যত বড়াই করিনা কেনো কিছু কিছু শ্বাসত মেয়েলীপনা বা কৌতুহল ছাড়তে পারিনা আমি। ঠিকই ইচ্ছে হলো দেখি তো কেমন সেই মেয়েটা? আমার চাইতেও কি বেশি সুন্দর বা অন্য কিছু!

শুভ্র ছবি দেখালো সাথে সাথেই । কি মিষ্টি আর প্রানচাঞ্চল্যে ভরপুর মেয়েটার চোখের তারা। ভীষন আহলাদী আর আদুরে মনে হলো ওকে দেখে। ফের বুকের মাঝে সেই চাপা দীর্ঘশ্বাস চেপেই বললাম বাহ! খুব সুন্দর তো মেয়েটা। মনে হচ্ছে খুব সংসারী মেয়ে। শুভ্র কিছু বললো না। শুধু বললো, জানিনা কি করবো? আমি বললাম, একে বিয়ে করো শুভ্র । মেয়েটা অনেক ভালো মনে হচ্ছে। আর তাছাড়া অতীত অভিজ্ঞতা থেকে তোমারও নিশ্চয় কিছু অর্জন আছে। শুভ্র কোনো কথাই বললো না। নিশ্চুপ রইলো।

আমি বললাম, শুভ্র যাই বা না যাই আমাকে কিন্তু দাওয়াৎ দিতে ভুলোবে না। খুব খারাপ হবে কিন্তু তাহলে। শুভ্র হেসে উঠলো। বললো আচ্ছা দেবো।

শুভ্র আমাকে ওর বিয়ের কার্ড পাঠিয়েছে। কিন্তু জানতে চায়নি আমি যাবো কিনা। জানিনা আমি নিজে যেচে না বললে এ কার্ড সে আমাকে পাঠাতো কিনা। মনে হয় না। সে যাইহোক আমি সেই দাওয়াৎ পত্রের দিকে চেয়ে থাকি। আমার চোখ নিজের অলখে জলে ভরে ওঠে। আমার চোখে ভাসে আমার মৃত শ্বাশুড়ির মুখখানা, আমার অদেখা হারিয়ে যাওয়া সন্তানের মুখটিও। ভেবে দেখেছি খুব দুঃখের দিনে আমার এই দু,জনকে খুব মনে পড়ে যায়। শৈলীকেও মনে পড়ে আমার। ওর খুব ভালো ঘরে আর বরে বিয়ে হয়েছে। সে আজকাল গিন্নীবান্নী মানুষ। বাবাকেও তার সাথেই নিয়ে রেখেছে। আমার খুব ইচ্ছে করে শৈলীর সাথে একটু কথা বলি। ফোনটা হাতে নিয়েও স্থবির বসে থাকি আমি। আমার মনে হয় শৈলীর আমার উপরে বড় অভিমান। কখনও সে আর আমার সাথে যোগাযোগের কোনো চেষ্টাই করেনি। আমার মনে পড়ে আমার সদাই হরিস শ্বশুরমশায়ের মুখখানা।

আমার খুব ইচ্ছে করে আরেকটাবার ফিরে যাই সেই মায়াময় বাড়িটিতে। যেই বাড়িটির মৃত্তিকা উঠোনের শীতল স্পর্শ অনুভব করি পায়ের তলায়। চোখে ভাসে ফুলে ভরা শিউলী তলা আর তার ডালে বসা বউ কথা কও পাখিটার ডাক আমার কানে ভাসে। কি এক মায়া ঘিরে থাকে আমাদের চারপাশে তাইনা ! নিজেকেই প্রশ্ন করি। সেই শুনশান মায়াঘেরা বাড়িটির ক্ষনিক পাওয়া স্নেহ ভালোবাসার জন্য মন উতলা হয় আমার। কিন্তু কোনো কিছুই করা হয়ে ওঠে না। কোনোভাবেই আর ফিরে পাওয়া যায় না। শুধু আমার চোখে জল ঝরে। যেন কোনো প্রিয় চলচ্চিত্রে দেখা কোনো দৃশ্য অভিনীত হয় আমার দুচোখের পাতায়।


শুভ্রের বিয়েতে আমি যাইনি। যাওয়াটা অবশ্য খুবই অস্বাভাবিক আর অশোভন হত। ওর আত্মীয় স্বজনদের মাঝে এমবারেসিং পরিবেশের সৃষ্টিও হত এ কথা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু সেদিন সারাটাদিন আমর মন পড়েছিলো সেখানেই। ওখানে কি হচ্ছে না হচ্ছে সবই নিজের মনের কল্পনায় গড়ে চলেছিলাম আমি। শুভ্রের সাথে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি এরপর। আমি বহুরাতে শৈলীর ফেসবুকে তন্ন তন্ন করে খুঁজে বেড়াই বিয়ের ছবিগুলি । কিন্তু আমাকে হতাশ করে দিয়ে একটি ছবিও খুঁজে পাইনা সেখানে শুভ্রের বিয়ে সংক্রান্ত। শুভ্রও কোনো ছবি দেয়নি তার নিজের ফেসবুকে। শুভ্রের পাগড়ীপরা বা বর সাজা ছবি তো আমি দেখিনি। খুব দেখতে ইচ্ছে করে আমার ওকে ঐ সাজে। আর এমনটাও না আমাকে হাইড করে শুভ্র ছবি রাখবে ওর ফেসবুকে। শুভ্রের স্বভাবের সাথে এমনটা যায়ই না।

যাইহোক কয়েকদিন পর শৈলীর ফেসবুকে পেয়ে গেলাম শুভ্রের বর সাজা ছবি। সাথে নতুন বউ। ওদের দুজনকে পাশাপাশি দেখে খুব অন্যরকম এক অনুভূতি হচ্ছিলো আমার। অনুভুতিটা খুব গোলমেলে। এতদিন একভাবে চেনা ও জানা শুভ্র যেন এই বিয়েটার সাথে সাথেই বদলে গেছে। ওর চেহারা থেকে শুরু করে বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বসবার বা দাঁড়াবার ভঙ্গি, চোখের চাউনি সবই অচেনা এখন আমার কাছে। সত্যিই শুভ্র যেন সেই মূহুর্তটি থেকে আমার কাছে অচেনাই হয়ে গেলো......

কয়েক মাস কেটে গেছে। নতুন জীবন নিয়ে শুভ্র বড় ব্যাস্ত এখন। সে আমার সাথে আর যোগাযোগের কোনো চেষ্টা করেনি আগের মতই। তবুও আমি জানি আমি ডাকলেই সাড়া দেবে শুভ্র। খুব স্বাভাবিক বন্ধুর মত আচরনও করবে। কিন্তু আমি আর ওকে ডাকি না.......

একই ছাদের নীচে থেকেও চেনা হলো না যাকে....
তখন না হয় বাকী জীবনেটাতেও সে অচেনাই থেকে যাক ........
অন্য কারো ভূবনে, অন্য কারো হয়ে, অন্য কোথাও, .......
কোনো এক জলমোতীর চোখের পাতায় ......

হ্যাঁ গল্পটার নামটা হওয়া উচিৎ ছিলো হয়ত - জলমোতীর মালা...... তাই না??

এত জল ও কাজল চোখে পাষানী হানলে বল কে ???

কে দেবে তার উত্তর?

শুভ? সোনাবীজভাই? নাকি মিররডল?

নাকি খায়রুলভাই/ মা হাসানভাই/ সাড়ে চুয়াত্তরভাই/ ঢুকিচেপা / আনমোনা/ সামু পাগলা/ মাইদুলভাই/ ছবি আপু/ করুণাধারা আপু/ নুরুভাই/সাজিদ/রানারভাই/ রামিসা/রাজীব নূর/ নেওয়াজ আলী/ ভূয়াভাইয়া/ আখেনাটেনভাইয়া/ভৃগুভাইয়া/ চাঁদগাজীভাই/ হাসুভাই/
সোহানীআপু/ মনিরা আপু/জুন আপু/ সম্রাট ভাই/আহমেদ জি এসভাই/কলাবাগানভাই/ স্থিতধী/ইসিয়াকভাই/নিয়াজ সুমনভাই/ বি এম বরকতুল্লাহভাই/অধীতি/ ওমেরা এবং আরও কে কে ?

যাইহোক নিশ্চয় কামরুজ্জামানভাই জানেন......
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৪২
৩১টি মন্তব্য ৩৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?

মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×