অনুমান হচ্ছে আগে থেকেই ধরে নেয়া কিংবা অনির্ধারিত ফল নির্ধারনের কাছাকাছি হিসেবে গন্য করা অথবা আন্ধাজে ঢিল ছুড়াও বলা চলে । গণিতে এরকম অনুমান নির্ভর কিছু ধরে নিয়ে অনেক গণিতই কষতে হযেছে। এখন আমাদের দেশের রাজনীতিতেও এই অনুমান নির্ভর রাজনীতি ধারার প্রত্যাবর্তন হচ্ছে এবং সেটা রাজনৈতিক কায়দায়। ইদানিং দেখা যাচ্ছে, অনুমান নির্ভর বাক্যস্ফূর্তি ব্যবহার করে ক্ষমতাসীন দল সামাজিক অস্থিরতা বাড়াতে,বিরোধী দলকে কোনঠাসা করতে,সাধারণ জনগণের মনে বিভ্রান্তি ছড়াতে এবং খবরের শিরোনামের মসলা যোগান দিচ্ছে…
(১) অর্থমন্ত্রীর রীতিমতো বোমা ফাটানো বক্তব্যে বেকায়দায় পড়ে গেছে সরকার সমর্থকরা। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই নির্বাচন কশিনের দায়িত্বটা মন্ত্রী কাধে নিয়ে বেঁফাস মন্তব্যে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করছে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে নির্বাচন কমিশন,এর স্বচ্ছতা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। নির্বাচন কমিশনকে একরকম কাঠের পুতুল বলা যায়। যে কথা নির্বাচন কমিশনের সে কথা অর্থমন্ত্রীর মুখে শুনে নির্বাচন কমিশনকে শূধু কলাগাছ,শিমুল গাছ বলে মনে না করার যৌক্তিক কোন কারণ নেই !
অর্থমন্ত্রীর অনুমান নির্ভর বক্তব্য হচ্ছে , “আগামী জাতীয় সাধারণ নির্বাচন ২৭ ডিসেম্বর হতে পারে”।
(২) বাণিজ্য মন্ত্রী তো অনুমানের সাথে জোর দিয়েই বলেই ফেললেন “বিরোধী দল ক্ষমতায় গেলে এক দিনেই ১ লাখ লোক মারা যাবে” ! ভাবা যায় তার দূরদর্শী জ্ঞান! এই অনুমানের কোন যৌক্তিক ব্যাখ্যা দাড় করানো কি আদৌ সম্ভব ? কিন্তু তারা বলে,মুখের যতটুকু শক্তি আছে তা উপেক্ষা করেও ! এটাকে বিভ্রান্তি ছড়ানোর ছাড়া আর কিভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব..?
(৩) ঘটনাই ঘটেনি,মামলা করে রেখেছে পুলিশ ! বাহ! কি অনুমান সহিত তারা তরতাজা সহিহ আইন প্রতিষ্ঠিত করছেন। এই অনুমানের উপর ভিত্তি করে তারা যেভাবে একটার পর একটা নতুন ইশ্যু,মশসা জাতীয় খবরের শিরোনাম করছেন তা শুধু বিভ্রান্তিই ছড়াচ্ছে না সামাজিক অস্থিরতা দ্বিগুন গুণে বুদ্ধি পাচ্ছে ।
মনে হচ্ছে, তাদেরে কাছে অলৌকিক কোন ক্ষমতা আছে যার মাধ্যমে তারা ভবিষৎ দেখতে পায় এবং অলৌকিক ক্ষমতা বলয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় এবং টিকে আছে। অন্যায়,অবিচার,জবরদস্থি,দূর্নীতি প্রকাশ্যে প্রমাণিত হয়ে চোখে পড়লেও আমাদের কাছে তা অলৌকিক ভাবে মনে হচ্ছে………….. !!!
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫