পুরনো প্রেমিকাদের সাথে একটি সবুজ বৃত্তে শুয়ে পড়তে যদিও ইচ্ছা করে,
ইচ্ছা করে, স্তনের মধ্যে এক গভীর রহস্যময় ঘুমে যেতে।
ইচ্ছে করে, শরীরের সীমানা ছাড়িয়ে ও হেঁটে আসি দুই পা।
সন্ধ্যে হলেই ঝুকে পড়ি প্রাচুর্যদায়িনী নদীতে।
কিন্তু তা স্বত্বেও,
তোমার সাথে দ্যাখা হওয়াটা পূর্ব পরিকল্পিত ছিলোনা।
পুরনো যশোর রোডে এভাবেই স্মৃতি শুকিয়ে যায়।
তবুও,
তোমার সাথে দেখা হওয়াটা পূর্ব পরিকলল্পিত ছিলনা।
যেই তুমি চোখের পাতার নিচে ঘুম পাড়িয়ে রাখো অন্তহীন জীবন।
যেই তুমি শুকনো ঝরনার পথ ধরেই এনে দাও আমার দ্বাদশ জীবন।
যেই তুমি একাই হেঁটে যেতে ছায়াতলে শুকিয়ে থাকা অশ্রুগ্রামে।
সেই তোমাকে,
আর তোমার নরম আঙুল ধরে থাকা আধোবোলের দেবতা দেখে আমার বেশ দুশ্চিন্তা হয়।
মনে হয়,
নেই কোন সবুজ বৃত্ত।
নগ্ন ঘাস,
জীবন যেন অগ্রগতির বিরুদ্ধে,
দাড়িয়েছি প্রত্যাখ্যানের ভিতরে,
নেই শুয়ে পড়ার ইচ্ছা বা নিখুঁত মুহূর্ত বা পৃষ্ঠাগুলো উলটে দেখার সদিচ্ছা।
বেশ দুশ্চিন্তা হয় প্রিয়,
ঈশ্বর যে বলেছিলেন, ঈশ্বরীর অনুপস্থিতির বরননা কোথাও লেখেননি তিনি।