somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কন্যার সঙ্গে কথোপকথন: এলগোরিদম

২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

“কিন্তু, বাবা, এলগোরিদম জিনিটা কী?” ফারিন জানতে চায়।
“এই যে ব্যাখ্যা করলাম, গাণিতিক (mathematical) ও যৌক্তিক (logical) নিয়মকানুন মেনে কোনো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নামই এলগোরিদম। আরেকটু সহজ করে বলছি। 5, 7, 3, 29, 13 সংখ্যাগুলোর মধ্যে কোনটি সবচেয়ে বড়. বলো তো দেখি?”
“29,” দ্রুতই জবাব দেয় ফারিন।
“তুমি সবগুলো সংখ্যা পর্যবেক্ষণ করে একবারেই বড় সংখ্যাটি শনাক্ত করে ফেললে। কিন্তু একটি শিশুর কথা কল্পনা করো, যে সবে মোটামুটি সংখ্যা চিনেছে। একসঙ্গে অনেকগুলো সংখ্যা সে তুলনা করতে পারে না, পারে কেবল দুটো করে তুলনা করতে। সে কীভাবে বড় সংখ্যাটি নির্ণয় করবে?”
কিছুক্ষণ চিন্তা করে ফারিন। তারপর বলে, “বুঝেছি, বাবা। আমি প্রথমে দুটো কাগজে 5 আর 7 লিখে তার হাতে দিয়ে বলব, বলো তো, বাবু, কোনটি বড়? সে বলবে, 7। আমি তাকে বলব, 5 ফেলে দাও, আর আমার কাছ থেকে নতুন করে 3 নাও। আবার ছোট সংখ্যাটি ফেলে দাও। সে এবার 3 ফেলে দিবে। এভাবে সবশেষে তার হাতে থাকবে 29 সংখ্যাটি।”
“চমৎকার বর্ণনা করেছ। তার মানে শিশুটি একটি এলগোরিদম সম্পন্ন করল। এখানে এলগোরিদমটি হচ্ছে: দুটো সংখ্যা নাও, তাদের তুলনা করো, ছোটটি বাদ দাও, নতুন আরেকটি সংখ্যা নাও, আবার তুলনা করো, …। এ নিয়মগুলো যখন বিশদভাবে লিখা হয় কোনো যন্ত্রকে নির্দেশ দেয়ার জন্য, তখন তাকে বলা হয় প্রোগ্রাম কোড। বুঝেছ?”
“জ্বি, বাবা, এলগোরিদম সহজ জিনিস!”
“তাহলে শব্দটির ইতিহাসটিও জানা যাক। আল-খোয়ারিজমির কথা মনে আছে?”
“বায়তুল হিকমার মহান গণিতবিদ, বীজগণিতের জনক বলা হয়ে থাকে ওনাকে,” মানহা বলে, মাথা দোলায় ফারিন।
“তাঁর গণিতবিষয়ক গ্রন্থসমূহ, সুশৃঙ্খল গাণিতিক নিয়মকানুন ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টি করে পরবর্তী গণিতবিদদের উপর। সেগুলো যখন ল্যাটিন ভাষায় অনুবাদ শুরু হয়, ভাষার কারণে তাঁর নাম পরিবির্তিত হয়ে যায়, খোয়ারিজমি থেকে আলগোরিজমি বা আলগোরিদমি। মধ্যুযগে অনেক লেখক আল-খোয়ারিজমির নিয়ম আলোচনা করার সময় এভাবে শুরু করতেন: dixit algorizmi, বাংলায় যার অর্থ, এরকমই বলে গেছেন আল-খোয়ারিজমি। কাজেই বুঝতেই পারছ, মহান এই গণিতবিদের নাম থেকেই এলগোরিদম শব্দটির উৎপত্তি।”
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৫
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×