এয়ার হোস্টেস হিসাবে যেসকল নারীগন কর্মরত আছেন, তাদের একটা গ্রুপের দায়িত্ব থাকে কেউ ওয়াশরুম ব্যবহার করলে, পরক্ষনেই কমোডের টিস্যু এক্সচেঞ্জ করে দেওয়া। অর্থাৎ যে প্যানে বসে মানুষ তার জৈবিক ক্রিয়া সম্পন্ন করে সেই প্যানের উপর প্রত্যেকবার ইউজের পরপরই নতুন টিস্যু বিছিয়ে দেওয়া।
ছোটবেলা থেকে আমার বাসায় দেখেছি, ওয়াশরুম পরিষ্কারের দরকার হলে আম্মা আব্বাকে বলে, "আজ বা কালকের ভিতর ওয়াশরুমটা হারপিক দিয়ে পরিষ্কার করে ফেইলো।" আব্বা বিনা বাক্যব্যায়ে হারপিক কিনে এনে ওয়াশরুম ঝকঝকা তকতকা করে ফেলতেন।
আমি বাসায় থাকাকালীন এবং আব্বা সুস্থ্য থাকাকালীন কখনও দেখিনি আমার আব্বা ছাড়া অন্য কেউ এই কাজ করেছে। আমি ব্যাক্তিগতভাবে বাসায় গেলেও নিজ থেকে বেসিন, ওয়াশরুম পরিষ্কার করার চেষ্টা করি, যদিও দুই তিনদিনের জন্য যাই। আমরা শিক্ষা
ইসলামের এবং পরিবারের মাধ্যমে পেয়েছি আমাদের জীবনের নারীরা কোমল ফুল, তাদেরকে অত্যান্ত যত্নে রাখতে হয়। তারা আমাদের ঘরের রানী। মা উঁচু আসনের কর্ত্রী, বোন আদরের এবং আবদারের প্রতিরুপ, কন্যা মানেই রাজকন্যা, স্ত্রী কর্ত্রীর ডানহাত।
সম্মান কিসে পায় নারীরা আমি বুঝিনা। টয়লেট পরিষ্কার করে, মদ সার্ভ করে, মাঝেমাঝে পরপুরুষের মনোরঞ্জন করে কয়টা টাকা পাওয়াকে স্বাধীনতা বলে নাকি যখন যেটা দরকার, তখন সেটা বিনা বাক্যব্যায়ে পেয়ে যাওয়াকে সম্মান বলে! আমি সম্মান বুঝি আমার ঘরের নারীরা আমার জীবনের সবচেয়ে মুল্যবান মুক্তা। যাকে রাখতে হবে পরিষ্কার জায়গায়, আলমারির একেবারে উঁচু তাকে, নোংড়া মানুষের নজরের আড়ালে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩