ইমাম হুজুর যতটা আবেগ, আকুতি নিয়ে ৮ রাকা'আত নামায আদায় করে মসজিদ ত্যাগ না করতে অনুরোধ করেন ততটা আবেগ, আকুতি নিয়ে যদি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করার জন্য বয়ান করতেন তবে রমাদানের বাইরেও অন্তত আরও জনা শতক মুসল্লি মসজিদে বাড়ত।
জুম্মা'আর নামাযে মসজিদে জায়গা দিতে না পারায় যতটা আফসোস করতে দেখি, ঠিক তার পরের দিনই যোহরের নামাযে তিন তলা মসজিদের শুধুমাত্র নিচ তলার তিন কাতার সমান মুসল্লি দেখেও ইমাম হুজুরের মুখে আফসোসের কথা শুনিনা।
এশার নামাযের পুর্ব মুহূর্তে তারাবী শেষের দিকে বিধায় দান সদকার উপর যে পরিমান সময় নিয়ে হুজুর বয়ান দেন, সেই পরিমান না হলেও যদি সামান্য সময় শেষ দশকের বেজোড় রাত্রির গুরুত্ব নিয়ে হুজুর বয়ান করতেন তবে হয়তো অনেক গুনাহগার বান্দাহ তার মোচনের জন্য উৎসাহিত হোত।
কিসে গুরুত্ব দিব আর কিসে গুরুত্ব দিবনা এটা শিখতে চাই ইমাম হুজুরের কাছে। ইমাম মানে একজন সমাজের নেতা যিনি ট্র্যাক থেকে ছুটে যাওয়া মানুষগুলোকে ট্র্যাকে তুলে দিবেন হাতে ধরে। যিনি বখে যাওয়া ছেলেটাকে আল্লাহর সামনে দাঁড় করিয়ে দিবেন নিরবে নিভৃতে। যিনি শিখাবেন আল্লাহর পায়ে মাথা ঠেকিয়ে কিভাবে কাঁদতে হয়। যিনি শিখাবেন আল্লাহকে কিভাবে ম্নের সব কথা খুলে বলতে হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০২