অনকেই বল থাকেন যারা জা-শি করে তারা অনেক মেধাবী আমি বলি বালের মেধাবী , জামাতের অনেক বই পত্র আছে জা একবার পড়লে নাকি তাদের সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা চলে আসে তেমনি তাদের একটি ছোট পুস্তিকা যেখানে তারা রাজাকারদের সাফাই সহ যুধপরাধের অভিযোগ কে উদ্দেশ প্রণীত বলে জনসমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে , তারা কিছু মহিলা জামাতিদের দিয়ে বাড়ি বাড়ি সেই সকল মিথ্যা বানোয়াট
ভুয়া যুক্তি সম্পন্ন পুস্তিকা দিয়ে বেরুছেন , তেমনি একটি পুস্তিকা দেখি আমাদের বাড়িতেও দিয়ে গেছে
পুস্তিকাটি আমি পরার পরে জা-শি সেই বলের মেধাবী ছাত্রদের প্রতি ঘৃনা আরো বেড়ে গেল
সেই পুস্তিকাটির অভিযোগের আলোকে এবং জা-শি বিজ্ঞানী-দের মত কিছু যুক্তির আড়ালে আমার বাক্তিগত
অভিমত তুল ধরছি ............
১৯৭৩ সালের ১৭ এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনীর তদন্ত স্বাপেক্ষে ১৭৫ জন যুদ্ধপরাধী চিন্হিত হয় যার সকলে ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর কর্মকর্তা , যেখানে তদন্ত হয়েছিল শুধু পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর সেখানে অন্য কারো নাম আশা করাটা বোকামি , এবার দেশের রাজাকারদের কথায় আসি, বিস্তারিত আলোচনায় না যেয়ে বুঝলাম
যে হত্যা , ধর্ষণ , লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ এই চার অপরাধ কে ক্ষমা না করে বাকি আসামী দেরকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে , পরবর্তিতে ১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সেই আইনটি সম্পূর্ণ রূপে বিলুপ্তি ঘোষণা করে , তার কারণ নাকি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর ২ বছর পার হলেও ঐ চার অপরাধের জন্য কোনো বাক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়নি , একটি দেশের যুদ্ধ পরবর্তী অবস্থা কেমন হতে পারে তাও আবার আমাদের মত দুর্বিক্ষ প্রবন এলাকাতে এটা চিন্তা করার জন্য আইনস্টাইন হওয়ার দরকার হই না , যেখানে মানুষ কে তার প্রয়োজনীয় মোলিক চাহিদা পূরণ করার জন্য নিজর সাথে নিজেকে যুদ্ধ করতে হয়েছিল সেখান কিভাবে মানুষ মামলা মোকদ্দমা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরবে , আচ্ছা কেউ মামলা করনি বলে কি আমাদের মুক্তি যুদ্ধে একটি বাড়িও আগুনে পুরেনি একজন মা-বোন ও কি ধর্ষণ হয়নি , হত্যা লুটপাট হয়নি ?
জামাতের সরল স্বীকারুক্তি আমাদের কোনো নেতার নাম যুদ্ধপরাধী তালিকায় থাকার প্রশ্নই থাকে না , কারণ
যারা যুদ্ধই করেনি তারা যুদ্ধপরাধী হয় কি করে , আমার ও একই কথা জামাতের কোনো নেতা তো যুদ্ধ করেনি তাহলে কেন তাদের কে যুদ্ধপরাধী বলা হবে , তারা শুধুমাত্র যুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল , যে সকল বাড়িতে সুন্দর সুন্দর মা-বোন ছিল জামাতের নেতারা জাস্ট পাকিস্তানি মুসলিম ভাইদের কে উপহার হিসেবে তাদের কাছে তুলে দিত যেন ফাকিস্তানিদের ক্লান্তি বা অবসাদ দূর হই এটা কি যুদ্ধপরাধ , কোন কোন বাড়ি থেকে কারা কারা যুদ্ধে গেছে সেই সব বাড়িতে আগুন দেওয়া তাদের পরিবারে অত্যাচার করা এবং বুদ্ধিজীবীদের লিস্ট ফাকিস্তানি ভাইদের কে দেওয়া কি যুদ্ধপরাধ ? আরে আমরা তো যুদ্ধই করিনি তাহলে কেন আমাদের নেতাদের যুদ্ধপরাধী বলা হবে ,
পুস্তিকাটিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ইসু নিয়ে আলোচনা আছে যা বর্তমান ছাগু দের অন্যতম হাতিয়ার তার একটি হলো ....
আজ যারা আমাদের নেতাদের রাজাকার বলছে তারাই আমাদের সেই নেতাদের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে আন্দোলন করেছে , এক মঞ্চে ভাষণ দিয়েছে তখন কি রাজাকার ছিল না , এসব বালছাল যুক্তির আমার কাছে একটাই উত্তর তারা অধম তাই বলিয়া আমরা তরুণ প্রজন্ম উত্তম হইবনা কেন ,
পরিশেষে একটা কথায় বলতে চাই
কোনো আঘাত
কোনো অপবাদ
কোনো "নষ্টামি" করে
আমাদের থামানো যাবে না,
আমাদের প্রতীবাদ চলছে চলবে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৪৪