somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অনুসন্ধানঃ ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় বিদ্যুতায়িত বাঁশের বেড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সেলিমের মৃত্যু হয়

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ছবিঃ (১) মোঃ সেলিম উদ্দীন, (২) সীমান্তে বাঁশের এই বেড়ার সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়।

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পিলার থেকে সাধারনত ২০০ গজ-ভেতরে ভারতের কাঁটা তারের বেড়া থাকে। কাঁটা তারের বেড়ার ওপারে ভারতীয় ভূখন্ডে থেকে বিএসএফ সদসশুা সীমান্তে টহল দেয়। সীমান্তের যে সব এলাকায় ভারত সরকার কাঁটা তারের বেড়া এখনও পর্যন্ত দেয়নি, সেই সব সীমান্তে বাঁশের বেড়া দিয়েছে। চোরাচালান রোধের অজুহাতে বিএসএফ সদসশুা রাত ৮.০০টা থেকে ভোর ৫.০০টা পর্যন্ত বাঁশের বেড়ায় ১১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক সংযোগ চালু করে। ফলে কেউ বেড়ায় স্পর্শ
করলেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়।

২২ জুলাই ২০১১ ভোর আনুমানিক ৫.০০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা থানার ঠাকুরপুর গ্রামের লিয়াকত হোসেন ও মোছাম্মত সুফিয়া খাতুনের ছেলে মোঃ সেলিম উদ্দীন (২২) ভারতের রাঙ্গিয়ারপোতা থেকে ৯০ নং পিলারের পাশ দিয়ে দেশে আসার পথে সীমান্তে বাঁশের বেড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান বলে অভিযোগে প্রকাশ।

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে এবং তাদের জন্য সরকারী উদ্যোগে তেমন কোন শিক্ষার বা কাজের বল্টস্থা না থাকায় দরিদ্র লোকগুলো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেক সময় অবৈধ পথে গরু আনা নেয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়।

অধিকার ঘটনাটি সরেজমিনে তথ্যানুসন্ধান করে। তথ্যানুসন্ধানকালে অধিকার কথা বলে-
=> নিহতের আত্মীয় স্বজন
=> প্রত্যক্ষদর্শী এবং
=> আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের সঙ্গে।

মোছাম্মত সুফিয়া বেগম (৪০), সেলিমের মা মোছাম্মত সুফিয়া বেগম অধিকারকে জানান, ২১ জুলাই ২০১১ বিকাল আনুমানিক ৫.০০টায় সেলিম কিছু না বলে বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়। কিন্তু রাতে বাসায় না ফেরায় তিনি গ্রামের পরিচিত লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন, তাজমুল হোসেন, সামাদ হোসেন এবং মহসীন মিয়ার সঙ্গে সেলিম ভারতে গিয়েছে গরু আনতে। সীমান্তের ৯০ ন¤ল্ফ পিলারের কাছে কাঁটা তারের পরিবর্তে বাঁশের বেড়া দেয়া রয়েছে। সেই বেড়া অতিক্রম করেই গরু বল্টসায়ীল্ডে বাংলাদেশে আসতে হয়। ২২ জুলাই ২০১১ রাত আনুমানিক ৩.০০টায় মহসীন মিয়া তাঁকে মোবাইল ফোনে জানায়, ভারত থেকে তারা কয়েকজন এক সঙ্গে সীমান্তের বাঁশের বেড়া অতিক্রম করে বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করছিল। বেড়ার সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া ছিল। সেলিম যখন সীমান্ত পার হতে বেড়ার বাঁশে হাত দেয়, সঙ্গে সঙ্গে সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। অনশুা তাকে বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে, কিন্তু বিএসএফ সদস্যরা সীমান্ত এলাকা ঘিরে ফেলায় নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য সেলিমকে রেখেই তার সঙ্গের লোকেরা বিভিন্নভাবে বাংলাদেশে ফিরে আসে।

মোছাম্মত সুফিয়া বেগম আরো জানান, তিনি তাঁর èের ফকির মোহাম্মদকে দিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর ঠাকুরপুর বর্ডার অপারেশন পোষ্ট (বিওপি) এবং দামুড়হুদা থানায় এ মৃতুশু খবর পাঠান। ফকির মোহাম্মদ থানার মাধ্যমে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির আইসি (ক্যাম্প ইনচার্জ) জুবায়ের আহমেদসহ বিজিবির সদস্যল্ডে সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বিজিবির সদসশুা ভারতের বিএসএফ সদস্যল্ডে সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে ২৩ জুলাই ২০১১ বিকাল আনুমানিক ৩.০০টায় সেলিমের লাশ বিএসএফ এর কাছ থেকে বুঝে নেয়। বিকাল ৩.২০ মিনিটে ফকির মোহাম্মদ দামুড়হুদা থানার পুলিশ সদস্যল্ডে কাছ থেকে
লাশ গ্রহণ করে বাড়ীতে ফেরেন। বিকাল ৫.০০টায় পারিবারিক কবর স্থানে সেলিমের লাশ দাফন করা হয়।

সামাদ হোসেন (২৪), সেলিমের সঙ্গে থাকা গরু বল্টসায়ী সামাদ হোসেন অধিকারকে বলেন, সংসারের অভাব অনটনের কারণে গরুর বল্টসা করার জন্য ভারতের নদীয়া জেলার চাপড়া থানার শিমুলিয়া গ্রামের গোবিন্দ সাহার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেন। গোবিন্দ সাহা তাঁকে জানিয়েছিলেন যে, সামাল্ডে কোন নগদ্মাকা দিতে হবে না, শুধু গরু নিয়ে বাংলাদেশে বিক্রি করে দিলে প্রতিটির জন্য সামাদকে তিন হাজার টাকা
মজুরী দেয়া হবে। সেই মোতাবেক তিনি আরো কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ২১ জুলাই ২০১১ সন্ধ্যার দিকে লুকিয়ে সীমান্ত পার হয়ে গোবিন্দ সাহার বাড়ীতে যান। সেখানে গিয়ে প্রায় ৭ জন বাংলাদেশী একত্র হন এবং ২২ জুলাই ২০১১ রাত আনুমানিক ১২.৩০টায় গরু নিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে রওনা হন। ঐ রাতেই আনুমানিক ৩.০০টায় তাঁরা গরু নিয়ে সীমান্তের বাঁশের বেড়া পার হওয়ার উদ্যোগ নিলে সেলিম গিয়ে বেড়ার বাঁশ ধরেই একটি চিৎকার দেন। তারপর সেলিম আর নড়াচড়া না করায়
তাঁরা সেলিমের কাছে যান এবং দেখতে পান, বাঁশের সঙ্গে বিদ্যুতের তার ঝুলে আছে আর সেলিম বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে গেছে। তাঁরা অনেক চেষ্টা করেও সেলিমকে বেড়ার বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে ছাড়াতে পারেননি। তাঁল্ডে তখন মনে হয়েছে সেলিম মারা গেছে। ভারতীয় বিএসএফ তাঁল্ডে দিকে এগিয়ে আসতে থাকলে তাঁরা গরু ছেড়ে দিয়ে লুকিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন।

মোঃ আসাদুজ্জামান মুন্সী, অফিসার ইনচার্জ, দামুড়হুদা থানা, চুয়াডাঙ্গা
মোঃ আসাদুজ্জামান মুন্সী অধিকারকে জানান, ২২ জুলাই ২০১১ সকাল আনুমানিক ৬.০০টায় ঠাকুরপুর গ্রামের এক লোক তাঁকে মোবাইল ফোনে জানান, সেলিম নামে এক লোক ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার পথে মারা গেছে। তিনি তখন কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির আইসি জুবায়ের আহমেদকে বিষয়টি জানিয়ে বল্টস্থা নিতে বলেন। তাঁর নির্দেশ মোতাবেক আইসি জুবায়ের আহমেদ ঠাকুরপুর বিজিবির ক্যাম্পে এবং সীমান্তের ৯০ ন¤ল্ফ পিলার এলাকায় খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। পরে তিনি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার নুর আলমের সঙ্গে সেলিমের মারা যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। ২২ জুলাই ২০১১ সকাল আনুমানিক ১১.০০টায় সুবেদার নুর আলম ভারতের রাঙ্গিয়ারপোতা বিএসএফ ৪২ ব্যাটালিয়নে চিঠি পাঠান।

বিএসএফ সদসশুা পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সেলিমের লাশ ফেরত দেয়ার বিষয়টি জানান। উভয় দেশের চিঠি মোতাবেক ২৩ জুলাই ২০১১ বিকাল আনুমানিক ৩.০০টায় ভারতের রাঙ্গিয়ারপোতা বিএসএফ ৪২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মৃনাল সিং, চাপড়া সার্কেল ইন্সপেক্টর দত্ত এবং চাপড়া থানার ওসি মানস চৌধুরী সুরতহাল প্রতিবেদন এবং ময়না তদন্ত প্রতিবেদনসহ সেলিমের লাশ নোম্যান্স ল্যান্ড থেকে ২০০গজ ভারতের ভেতরে রাখেন। তিনি এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় আইসি জুবায়ের আহমেদকে নিয়ে সেখানে যান এবং সেলিমের লাশ নিয়ে বাংলাদেশে ফেরেন।

তিনি জানান, লাশ বুঝে নেয়ার সময় চাপড়া থানার ওসি মানস চৌধুরী তাঁকে জানান, সেলিম সীমান্তের বাঁশের বেড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়ার কারণে তিনি একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন। চাপড়া থানার অপমৃত্যু মামলাটির নাম্বার-২৬; তারিখঃ ২২/০৭/২০১১।

ভারতের চাপড়া সার্কেল ইন্সপেক্টর দত্ত তাঁকে জানান, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম রোধ করার জন্য সীমান্তের যে সব জায়গায় কাঁটা তারের বেড়া নেই, সেই সব জায়গায় বাঁশ দিয়ে বেড়া দেয়া হয়েছে। তবে রাত ৮.০০টা বাজলে বিএসএফ সদস্যরা বাঁশের বেড়ার সঙ্গে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়, আবার ভোর বেলা তা খুলে ফেলে। যার ফলে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারকারীরা সীমান্ত পার হওয়ার সময় বিদ্যুৎপিষ্ঠ হয়ে মারা যায়। তিনি আইসি জুবায়ের আহমেদকে দিয়ে পুনরায় সেলিমের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করান। বিকাল ৩.২০টায় সেলিমের আত্মীয়ের কাছে সেলিমের লাশ বুঝিয়ে দেয়া হয়। তিনি সুরতহাল প্রতিবেদনে দেখেন, লাশের বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গলী ও তর্জনী আঙ্গুলের মাঝ খানে এবং গলার বামপাশে পোড়া দাগ রয়েছে, যা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার কারণেই হয়েছে বলে ভারতের নদীয়া হাসপাতালে প্রস্তুত করা ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।

সুবেদার নূর আলম, ক্যাম্প কমান্ডার, ঠাকুরপুর বিজিবি ক্যাম্প, ৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন, চুয়াডাঙ্গা সুবেদার নূর আলম অধিকারকে জানান, ২২ জুলাই ২০১১ ভোরের দিকে এলাকার লোকজনের কাছে জানতে পারেন যে, ঠাকুরপুর গ্রামের সেলিম ভারত থেকে গরু আনতে গিয়ে সীমান্তে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে। তিনি সকাল আনুমানিক ১১.০০টায় ভারতের রাঙ্গিয়ারপোতা বিএসএফ ৪২ ব্যাটালিয়নে চিঠি পাঠান।সেই মোতাবেক ২৩ জুলাই ২০১১ বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সেলিমের লাশ ফেরতের ব্যাপারে উত্তর পাঠান।

২৩ জুলাই ২০১১ বিকাল ৩.০০টায় চাপড়া থানার পুলিশ সদসশুা সেলিমের লাশ নিয়ে এলে বিএসএফ-বিজিবি এবং উভয় দেশের পুলিশ সদস্যল্ডে উপস্থিতিতে তিনি লাশ বুঝে নিয়ে আসেন। তিনি জানান, প্রায়ই সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সীমান্ত হত্যা বন্ধের ব্যাপারে আলোচনা করলেও বিএসএফ সদসশুা দিন দিন কৌশল পাল্টে বাংলাদেশীল্ডে হত্যা করছে। বিজিবির ক্যাম্পে সদস্য সংখ্যা কম থাকায় ক্যাম্পের অধীনে সমস্ত সীমান্তবর্তী এলাকা পাহারা দেয় সম্ভব হয় না।

আব্দুল মান্নান, গ্রাম পুলিশ, ঠাকুরপুর, চুয়াডাঙ্গা আব্দুল মান্নান অধিকারকে জানান, ২৩ জুলাই ২০১১ সেলিমের লাশ বিএসএফ সদসশুা বিজিবির সদস্যল্ডে হস্তান্তরের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। তিনি লাশ বহন করে সেলিমের বাড়ী পৌঁছে দেন। তিনি জানান, মাঝে মাঝেই সীমান্তবর্তী ঠাকুরপুর এলাকায় মাইকিং করে জনসাধারণকে বলে দেয়া হয়, যেন তারা গরু আনতে ভারতে না যায়। কিন্তু তারপরও লোকজন অভাবের তাড়নায় বল্টসায়ীল্ডে গরু এনে দেয়ার জন্য ভারতে যায়।

ফকির মোহাম্মদ (৩২), লাশের গোসলদানকারী ফকির মোহাম্মদ অধিকারকে জানান, সেলিম তাঁর ভাতিজা। ২৩ জুলাই ২০১১ কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির সদসশুা বিকাল ৩.২০ মিনিটে সেলিমের লাশ নিয়ে এসে দিলে তিনি লাশ সেলিমের বাড়ীতে নিয়ে যান এবং লাশের গোসল দেন। তিনি জানান, সেলিমের বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গলী ও তর্জনী আঙ্গুলের মাঝখানে বিদ্যুতের তার পুড়ে যেয়ে ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল। এছাড়াও গলার বামপাশে পুরো প্রায় ১ ইঞ্চি পরিমান ক্ষত হয়ে গিয়ে ছিল। লাশের শরীরে আর কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

অধিকারের বক্তব্য:

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী এলাকার ভারতীয় অংশে বিএসএফ সদসশুা নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকে। সীমান্ত নিরাপত্তার নামে বিএসএফ সদসশুা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের নিরস্ত্র জনগণকে গুলি করে হত্যা করে চলেছে। গুলি করে হত্যা করার বিষয়টি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা তা বন্ধ করার ব্যাপারে আলোচনাও করেছেন।

ভারত সরকার সীমান্ত হত্যা বন্ধ করার ব্যাপারে প্রতিশ্রতি দেয়ার পরও বিএসএফ সদস্যরা তাদের কৌশল পরিবর্তন করে হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছে।

বিজিবির সদস্য সংখ্যা বিএসএফ এর তুলনায় কম এবং বাংলাদেশ অংশে কাঁচা রাস্তা হওয়ায় সীমান্তের পুরো এলাকায় বিজিবির নজর রাখা সম্ভব হয় না বলেও অনুসন্ধানে জানা যায়।

অধিকার এই মৃত্যুর ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের হস্তক্ষেপ এবং ভারতের কাছ থেকে ক্ষতিপুরণ আদায়ের দাবী জানাচ্ছে।

সুত্র- তথ্যানুসন্ধানী প্রতিবেদন @ অধিকার(http://www.odhikar.org)
১২টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×