ডাক্তারকে শুধু বলেছিলাম মারা যাবো কি না???
আর কিছু দিন পরেই এশিয়া কাপ খেলার প্রস্তুুতি।
'''''মাশরাফি বিন মুর্তজা।
গতবছরের সাফল্যের কিছু কথা।
জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে শেষ হলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম বছর। একানত সাক্ষাৎকারে সাফল্যে পরিপূর্ণ এক বছর শেষে পেছনে ফিরে তাকিয়েছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অনুপ্রেরণাদায়ী অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
জিম্বাবুয়ে সিরিজ শুরুর আগের দিনও বলেছিলেন আপনি পুরোপুরি ফিট নন, দেশের জন্য ঝুঁকি নিয়ে খেলবেন। সিরিজটা না খেলার ভাবনা আসেনি?
মাশরাফি বিন মুর্তজা: ভেবেছিলাম এটা। ডেঙ্গুর পর ডাক্তার বলেছে, শক্তি ফিরে পেতে প্রচুর খেতে হবে; বিশেষ করে কার্বোহাইড্রেট। তখনও জিমে যাওয়ার উপায় নেই। কাজেই ওজন বাড়ল। শরীর দুর্বল। সব মিলিয়ে আপনাদের বলেছিলামও যে হয়ত খেলব না। কিন্তু খেলা কাছে চলে আসলে মনকে বোঝানো কঠিন। সব সময়ই এটা হয়েছে আমার, ভেতরে কিছু একটা কাজ করে। দেশের হয়ে খেলার যে অনুভূতি, সেটার জন্য ঝুঁকিটা আমি সব সময়ই নেই; আগেও নিয়েছি।
এখনও আমার শরীর ভালো না। বিশ্রামের দরকার। কিন্তু বিপিএল শুরু হচ্ছে, বসে থাকার উপায় নেই।
কিন্তু জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলা কি সত্যি জরুরি ছিল?
মাশরাফি: দেশের হয়ে খেলা…আসলে জীবনে এত ম্যাচ মিস করেছি বাংলাদেশের, যে এখন আর একটি ম্যাচও মিস করতে ইচ্ছে করে না।
সিরিজের আগে ডাক্তারের কাছে একটা ব্যাপারই জানতে চেয়েছি যে আমি মারা যাব কিনা! সত্যি বলছি…বিসিবির ডাক্তার দেবাশিষ দা, আমিন ভাই, অ্যাপোলোর ডাক্তার রায়হান, সবার কাছে একটা কথাই জানতে চেয়েছি যে খেলতে নামলে মরে যাব কিনা। তারা বলেছিলেন, ‘মারা যাওয়ার প্রশ্ন নয়। তবে হয়ত মাথা ঘুরে পড়ে যেতে পারো; অথবা রক্তচাপ অনেক কমে যেতে পারে।’ আমি বলেছি, তাহলে সমস্যা নেই।
আমার পালস অনেক কম ছিল। স্পোর্টসপারসনদের অনেকের এমনিতেই পালস কম থাকে, ৬০-৭০ এর মধ্যে। আমার ৪৫-এ নেমে গিয়েছিল। এখানেই ডাক্তারদের ভয় ছিল, তারা বলেছিলেন একজন কার্ডিয়াক ডাক্তার দেখাতে। আমি সময় পাইনি। এজন্যই প্রশ্ন করেছিলাম যে ‘মারা যাব না তো? মারা না গেলে আমি খেলব।’
খেলতে গিয়ে মারা গেলেও সমস্যা ছিল না কিন্তু আমার ছেলে-মেয়ে দুটি ছোট এখনও…।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৪