somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শব্দ-রাজ্যে অভিযান (১৬): Chimerical!

২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গ্রিক পুরাণে, কাইমেরা (Chimera) হলো দৈত্য-দম্পতি টাইফন (Typhon) ও ইকিডনা'র (Echidna) সন্তান, অগ্নি-নিঃসরণকারী অদ্ভুত এক প্রাণী। কাইমেরার ব্যাপারে সাহিত্যের সর্বপ্রাচীন সূত্রটি পাওয়া যায় হোমারের ইলিয়াডে এক সংক্ষিপ্ত বর্ণনায়: অমর জগতের সৃষ্টি, মানুষ নয় সে—দেহের অগ্রভাগ তার সিংহ, পশ্চাৎভাগ সর্প, মধ্যভাগ ছাগল। তার নিঃশ্বাসে ঝরে উজ্জ্বল অগ্নির ভ্য়ঙ্কর শিখা।

হিসিয়ডের (Hesiod) থিয়গনি (Theogony)-তেও হোমারের অনুরূপ বর্ণনা পরিলক্ষিত হয়: ইকিনডার কন্যা কাইমেরা, যে নিঃসরণ করে জ্বলজ্বলে অগ্নিশিখা, ভয়ঙ্কর সে প্রাণী এক, বিশাল, ক্ষীপ্র-পায়ের অধিকারী এবং শক্তিশালী, যার মস্তক তিনটি, একটি নির্মম সিংহের; দেহের পশ্চাৎভাগে ড্রাগন সে এক, মধ্যভাগে ছাগল, ছুঁড়ে চলে আগুনের তীব্র হলকা নিঃশ্বাসের সাথে।

এশিয়া মাইনরের লিশিয়া (Lycia) অঞ্চলে একদা ব্যাপক আতঙ্ক জাগিয়ে তুলেছিল এই কাইমেরা—চলার পথে যাকেই পেত সে, আগুনে পুড়ে মেরে ফেলত। শহরের বাইরে পাহাড় উপত্যকায় তার ক্রমাগত তাণ্ডবে অতীষ্ঠ হয়ে উঠল লিশিয়ার মানুষ। অবশেষে করিন্থের (Corinthian) বীর বেলেরোফনকে (Bellerophon) পাঠানো হলো কাইমেরাকে দমন করতে। কিন্তু দায়িত্বটি ছিল শাস্তিস্বরূপ, রাজা ভেবেছিল কাইমেরার হাতে নিহত হবে বেলোরোফন।

তীব্র আগুনের হলকায় কাইমেরার কাছে যেতে পারত না কেউ। বেলোরোফন তাই উড়ন্ত অশ্ব প্যাগাসাসের (Pegasus) সহায়তায় শূন্য থেকে তীর নিক্ষেপ করে কাইমেরাকে দুর্বল করে ফেলল, তারপর তার মুখে নিক্ষেপ করল সীসার পিণ্ড। কাইমেরার আগুনে সীসা গলে গলে ঢুকে গেল তার শরীরের ভেতর, আর জমাট বেঁধে হয়ে গেল শক্ত। এক সময় মারা গেল কাইমেরা।


কাইমেরিক্যাল (Chimerical): যেহেতু কাইমেরার মতো অদ্ভুত, অবাস্তব প্রাণী কেবলমাত্র মানুষের অলীক, উদ্ভট কল্পনায়ই বসবাস করে, Chimerical বিশেষণটির বর্তমান মানে
অলীক, উদ্ভট, অবাস্তব, কাল্পনিক—dreamlike, wildly fanciful, hallucinatory, imaginary, unreal: "A chimerical plan."
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:০২
১৫টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×