somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাতকাহন

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১)এই দেশে মানে অস্ট্রেলিয়াতে সমুদ্রের ধারে বা বিচে যাওয়া একটা ব্যপক কালচারাল ঝামেলার ব্যাপার।গরমের সময়ে রিতিমত মহা ব্যাপক সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় কারন ওদের জন্য যেইটা স্বাভিক আমাদের জন্য সেইটা অস্বস্তিকর ত এই জন্য আমার মনে হয় প্রায় মুসলিম ফ্যামিলিই একটু নিরিবিলি বিচ খোজেন।এইটা মনে হওয়ার অন্যতম কারন হইলো কম লোকজন আছে এমন বিচে সাধারনত বোরখাওয়ালী লোকজন বেশী দেখা যায়।
ত একবার আমরা সানশাইন কোস্টে গাড়ী দিয়ে হাটতে হাটতে একটা নিরিবিলি বিচের সন্ধান পাইলাম ।আমি সহ আমার ছেলেরা মহা আনন্দে পানিতে দাপাদাপি করলাম তারপরে বিচ থেকে উপরে এসে গোসল সেরে খাওয়া সেরে চা খাচ্ছি এমন সময় পাশের টেবিলের আরেক পরিবারের ভদ্রলোকের সাথে কথা শুরু হলো তাদের বাসা পাশেই , বাচ্চারা সেই পার্কে খেলতে পছন্দ করে বলে সেখানে গিয়েছেন আরো অনেক কথার মাঝে একসময় বললাম যে তোমাদের বাড়ী ত সমুদ্রের কাছেই তাই সমুদ্র তোমাদের টানে না আর আমরা দূরে থাকি বলেই সমুদ্র দেখতে চলে আসি তোমাদের এলাকায় এই কথা শুনে ভদ্রলোক বললেন আরে নাহ তা কেনো হবে আমিও ত সমদ্রের টানেই ব্রিসবেন ছেড়ে সানশাইন কোস্টে বাড়ী নিয়েছি এটা আসলে ডগ বিচ এখান থেকে চার পাচ কিলোমিটার দূরে আরেকটা বিচ আছে (যা রিতিমত ভরপুর দেখেই আমরা সেখানে গিয়েছি) আমরা সেখানে যাই ,আর আমাদের ডগ নিয়ে আসলে এখানে নামি। ভদ্রলোক কথা শেষ করতে করতে আরেকটা মুসলিম ফ্যামিলির গাড়ী এসে থামলো পার্কিং এ সেটা দেখে আমার দিকে তাকিয়ে মিস্টি একটা হাসি দিয়ে বললেন অনেক টুরিস্ট আসে অবশ্য এইদিকে।
২)কুইন্সল্যান্ডে এসে প্রথম দিকে হালাল গোশত কিনতে তিন'শ কিলোমিটার পাড়ী দিয়ে ব্রিসবেনে আসতাম।একটা ফ্যামিলি ডে ট্রীপ হয়ে যেতো সেই সময়।তারপরে খেয়াল হলো আশে পাশে এত এত গরু ছাগলের ফার্ম সেখানে যেয়ে দেশী স্টাইলে জবাই করে আনলেই ত হয়ে যায় এই সেই খোজ খবর নিতে নিতে আবিস্কার করলাম এবেটিওর বা কসাইখানা সেইখানে যেয়ে তাদের ভাষায় একটু মুসলিম ব্লেসিং করে দিলেই গোশত হালাল হয়ে যায়।ফার্মওয়ালারাও ক্যাশে ঝামেলা ছাড়া ল্যাম্ব গোট বেচতে পেরে মহা খুশি।একবার এক গরুর ফার্মে গেছি আমরা কয়েক জন , উদ্দেশ্য গরু জবাই। কয়েকটা গরু দেখে মালিক শুধু বলে একটা পছন্দ করতে তার চাপাচাপিতে আমরা পছন্দ করলাম এইবার বলাল দাম কতো ব্যাটা গরুর মালিক গরুর দিকে একবারও না তাকিয়ে উলটা আমার/আমাদের পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে গরুর দাম হাকলো ৬৫০ ডলার।মনে হইলো যেনো আমরাই গরু আর সে মানুষ।

৩)আমরা গরীব বাংলাদেশের মানুষ বইলা আমাদের নাম নিয়ে ব্যাপক রকমের টানা হেচড়া হয় এই দেশে। তারা অবশ্য আদর করে আমাদের মোহাম্মদ কে মো ডাকে মতিন কে ম্যাট বা ম্যাডি ডাকে।অতি সম্প্রতি আমাদের এক বাঘা বাংগালী ভাইকে পাইলাম যিনি এই ধারার উল্টা টা শুরু করলেন।কাজের সূত্রে আমরা এক যায়গায় গিয়েছি সেইখানে রাসেল নামের এক অস্ট্রেলিয়ান আছে তারে উনি ডাকেন রাসুল বলে (সাথে ফতোয়া যদি নামের বদৌলতে হেদায়েত পাইয়া যায়) সেই ধারাবাহিকতায় দেখলাম জন রে বানায় দিছেন জনি সবচাইতে মজা লাগছে অফিসের রেসেপশনিস্ট জর্জিনারে বানায় দিছেন জরিনা। তারাও দেখলাম বেশ রেসপন্স করে।তবে ভাইয়ের নিজের নামখানাও ইল্লা মাশাল্লাহ প্রায়শই দেখা যায় নামের ঘর শেষ হইয়া যায় কিন্তু ভাইয়ের নাম শেষ হয় না(সংগত কারনে উহ্য রাখলাম)।একটা জিনিস আমি কনক্লুশনে আসলাম যে চিটাগাং এর লোকজন আসলেই বস।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:৩৩
৭টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মৃত্যু কাছে, অথবা দূরেও নয়=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



©কাজী ফাতেমা ছবি
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে বলি, আমারও সময় হবে যাবার
কি করে চলে যায় মানুষ হুটহাট, না বলে কয়ে,
মৃত্যু কী খুব কাছে নয়, অথবা খুব দূরে!
দূরে তবু ধরে নেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×