somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডায়েরী-১

২৯ শে এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৫:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১)মাঝে মাঝে মনে হয় সময়টা কেমন যেনো হুট হাট করে চলে যাচ্ছে।এই ত সেদিন বাংলাদেশের ঢাকার রাস্তায় বাদুড় ঝোলা হয়ে বাসে চড়ে বেড়িয়েছি সময়ের হিসেবে আজকে সেটা প্রায় ষোলো সতেরো বছর আগের ঘটনা।মনের ভেতরে আজো আমার সেই সতেরো বছর আগের বাংলাদেশই ভেসে আছে তাই প্রতিবার দেশে গেলে দেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে সেটা খুব প্রকটভাবে টের পাই।দেশের মানুষগুলো যেনো কেমন হয়ে যাচ্ছে সবার মধ্যে একটা অসুস্থ্য ধুম করে বড়লোক হয়ে বা কিছু একটা হয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রবনতা।
অন্তত আমার চার পাশের লোকদের মধ্যে।সারা জীবন অংকে কাচা বেকুব আমি মাঝে মধ্যে মানুষের এই মানসিক পরিবর্তনের হিসাব মেলাতে পারি না।

২)কুইন্সল্যান্ডের স্টেট ইলেকশন বা প্রাদেশিক নির্বাচন হয়ে গেলো কিছুদিন আগে তাতে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি গো-হারা হারলো। দুঃক্ষজনক বিষয় হলো তারা হেরেই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে সংসদ বয়কট করা শুরু করে নি দুই একটা হরতালও ডাকে নি উপরন্ত তাদের প্রধান আনা ব্লাই এই ব্যার্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করলেন আর বললেন এখন থেকে তিনি সংসারে বেশী মনোযোগ দিবেন বাচ্চাদের সাথে বেশী সময় কাটাবেন।
বাংলাদেশের রাজনিতীবিদরা কি কোনদিন জীবদ্দশায় রাজনিতী ছাড়তে পারবেন বা কেউ কি পেরেছেন?
তবে হ্যা এইখানে কামলা দিতে দিতে দেশের হরতালটারে বড় মিস করি। মাঝে মাঝে মনে হয় ইস এই দেশেও দুই একটা হরতাল থাকলে খুব একটা মন্দ হইতো না ।

৩)কামলার ফাকে ফাকে ছুটিতে আসলে ছেলেদের স্কুলে দিয়ে আমরা দুই আধা বুড়া বুড়ী আমাদের দেড় বছরের মেয়েকে নিয়ে উইন্ডো শপিং এ বের হই।আর নিজেদের মধ্যে আশে পাশের লোকজন আর তাদের কাজ কারবার নিয়ে ব্যাপক কমেন্টস করি যেমন ধরেন কোলস বা উলওয়ার্থের চেক আউট অপারেটর কোনটা কেমন একটা বুড়ী আছে ব্যাপক কট কট করে সুযোগ পাইলেই ব্যাপক জ্ঞ্যান দেয় সব কিছুতেই এবং সবাইরেই তার নাম দিছি কট কটি বুড়ী।তার পাশের কাউন্টারে দাঁড়ায় অসম্ভব ভেজা বেড়াল মার্কা চেহারার একটা মেয়ে তার মাথার এক পাশের চুল আর্মী কাট আরেক পাশ লম্বা তার নাম দিছি আমরা শাক চুন্নি(অবশ্যই তারে না জানায়া)।

৪)ক্যামেরাম্যানদের ও যে প্রফেশনাল ক্যারফা থাকে সেটা আমার জানা ছিলো না বা আমার কাছে অজানাই থাকতো আমার মেয়ের ছবি তোলার আগ পর্যন্ত।মেয়ে আআমার ছবি তোলার চেয়ারে বসছে বেশ ভালো ভাবেই।বেশ স্বাভাবিকও ছিলো কিন্তু যেই ক্যামেরা ম্যান ক্যামেরা নিয়ে এইম করলো তখনই আমার মেয়ে মুখ ভেংচানো শুরু করলো।ক্যামেরা ম্যান আবার ক্যামেরা রেডি করে আমার কন্যা আবার নাক বাকা করে মনের দুঃক্ষে এইবার ক্যামেরাম্যান সমানে শাটার টিপা শুরু করলো অর মায়রে বাপ যেইডা লাগে।
তারপরে আমার পালা আমি হাসি হাসি মুখ কইরা অর দিকে চাইয়া আছি আর চিন্তা করতাছি চাইনিজ হালাগো চেহারা দেইক্ষা বয়স বাইর করা ব্যাপক কঠিন কাজ , ত ক্যামারে ম্যান আমারে একবার একটু ডাইনে একটু বায়ে কইরা কয় একটু চোখ বড় বড় করতে আমি বাংলায় বললাম দেখ দেখ এক খোড়ায় আরেকটারে কয় তুই খোড়াস ক্যান আমার ছেলেরা হাসতে হাসতে শেষ।

৫)অনেকদিন পরে দেশে যাওয়ার মত করে সামুতে এসে ব্যাপক পরিবর্তন পরিবর্ধন দেখলাম।বিশাল আকারের ঝরো ক্যাচাল কইরা যাইতে দেখলাম অনেকরে।আমার কামলার যায়গার কোনো কম্পিউটারে বাংলা ফন্ট নাই আর কামালা বহির্ভুত ওয়েবসাইট হওয়ার কারনে বাইপাস কইরা সামুতে ঢুকলেও এক দুই মিনিটের বেশী থাকা যায় না ।তবে সেইখানে একদিন মেজাজ খারাপ কইরা গুগলি মাইরা সামুর ভিডিও দেখতে চাইলাম ত সেইখানে রাগইমন বা রাগিমন নামের এক ব্লগারের টেস্ট ভি-লগ পাইলাম সেইটা দেইখা মনে হইলো একজেক্টলি এইভাবেই মনে হয় এভারেজ ব্লগার রা ব্লগিং করেন অন্তত আমি নিজে এই কাজটা মনের আনন্দে করি সাথে আরো কিছু মজার মজার কমেন্ট করি যেগুলি লিখলে আরেকটা ব্লগ যুদ্ধ শুরু হওয়াটা সেকেন্ডের ব্যাপার মাত্র।
বাসার কম্পু থেইকা ভিডিওটা পাইলাম না দেইখা লিঙ্কু দিতারলামনা।
তয় লুলদের লইয়া ব্যপক মজার একখান গান বানছিলেন একজনে সেইটা দেইখা আইজো হাসি কাইলো হাসি।

২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মৃত্যু কাছে, অথবা দূরেও নয়=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



©কাজী ফাতেমা ছবি
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে বলি, আমারও সময় হবে যাবার
কি করে চলে যায় মানুষ হুটহাট, না বলে কয়ে,
মৃত্যু কী খুব কাছে নয়, অথবা খুব দূরে!
দূরে তবু ধরে নেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের চার খলিফার ধারাবাহিকতা কে নির্ধারণ করেছেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৭




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব)... ...বাকিটুকু পড়ুন

×