আজ কেন যেন ভাবছি
জীবনের একটি চরম সত্য
যা কোন না কোন ভাবে
কোন কালে
মানুষ তার মনের অজান্তে
অনুভব করে।
আজ আমি
নিমগ্ন
আত্নহত্যায়!
নির্জনে, নিভৃতে, নিরালয়ে
একান্ত আপন মনে
মনের অজান্তে
জীবনের আকাশে
যেখানটা নীল কষ্টে
নীল বেদনায় মেঘের
রং বদলায়।
আর যেন
বেদনার রঙের
মহাকাব্যের মহারাজ্যে,
যার সমাপ্তি শুরু হয় কালো মেঘে, আর
তার অন্তিম সমাধি ঘটে
মুক্ত বর্ষার ফোঁটায়
আচ্ছা, তোমাকেই বলি,
এই আত্নহত্যা কি
কেবল,
ব্যর্থতা, না কি বঞ্চিত হওয়া
না কি,
আপনাকে আপনি হারিয়ে ফেরা
না কি,
আকাশের আজকের দৃশ্যটা
যেটি আর দ্বিতীয় কোন দিন
আঁকাশের বুকে আঁকা হবে না।
জানো, আমার কি মনে হয়?
মনে হয়
একটা অরণ্য,
মানুষের বিষাক্ত নি:শা¦সে কালের
বিবর্তনে আাজ
পত্রশূন্য নগ্ন ডাল-পালায়
শুকনো পাতার বিছানায়
জীবিত আত্নার কোলাহোল মুক্ত
একটা অসীম নিস্তব্ধতায়
কিন্তু নীরব কান্নায়
নানা রঙে আচ্ছাদিত।
যাদের
কান্না অব্যক্ত,
চিরকাল বুকের ভিতরে
শীতল বরফে আচ্ছাদিত।
কখনো সুযোগ পায়নি
তা গলে মহাসমুদ্রের ঢেউয়ের বেগে
মুখের অব্যক্ত ভাষায় আর
চোখের পানিতে প্রকাশিত হওয়ার।
আজ
এই অসীম নিস্তব্ধতায়
তারা সমবেত হচ্ছে
সেই
প্রথম হতে
আজও।
যখন
আর একটি প্রাণীও রবে না,
রবে না কোন আত্নহত্যাকারী
এই ধরণীতে,
তখন
তারা এই নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে
তাদের জমাট বরফের ন্যায় ব্যথাকে
পরস্পরের আলিঙ্গনে
উত্তাপে গলিয়ে তা
চোখের স্রোত ধারায়
মহাসাগর রচনা করবে।
আর আমি সেই মহাসাগরে
বৈঠাহীন এক মাঝি,
একটা অনিশ্চিত গন্তব্যেও পথে।
বহু বছর পর
কালের বিবর্তনে
সেই মহাসাগর আজ
উদ্যানহীন, আত্নাহীন
এক মরুভূমি।
কিন্তু
আজও আমি সেই
অনির্দিষ্ট গন্তব্যে
খুজি-ফিরি,
কোথায় সেই পল্লববহীন
স্বপ্নের রঙহীন দৃশ্যের মত
সেই অরণ্য।
আমি আজও সেই
দিকহীন মরুভূমির মাঝে
হেঁটে চলেছি সেই
অরণ্যের খোঁজে।