পৃথিবীতে যারা আজ বরণীয়
কর্মই করিয়াছে তাদের চিরস্মরণীয়।
আজি নারী-পুরুষ হাতে-হাত রাখিয়া
গড়িয়াছে সুন্দর ধরণী নিজের মত করিয়া।
শ্রম দিয়াছে যে জাতি যত বেশী বেশী
ইতিহাস তাদের স্মরিয়াছে যুগ যুগ ধরি।
আমিও রচিব সেই ইতিহাস
যাহা যুগ যুগ ধরি পাথেয় হবে সকলের
যত দিন ধরণী রইবে অবিনাশ।
আজি জানিয়াছি মোর অম্তিস্ত্বকে
যারে ভাবিয়াছি এতদিন এক বোঝা হিসেবে।
আমার সমস্ত বন্ধন পিছুটান
সবকিছুকে করিব আজ খান খান।
আমি যে এক জীবিত আত্না
কেন করিব তারে হত্যা!
আমি চিনিয়াছি মোরে জানিয়াছি মোর শক্তি
আমারি উপরে ভর করিয়া আছে
পৃখিবীর কোন কোন ব্যক্তি।
আমি কারো সন্তান কারো স্বামী
কারো বা আবার পিতা
তাইতো ছুটে চলেছি
মনে এ সাহস নিয়ে- শ্রম যাবে না বৃথা!
আজ আমি ঘোষণা দিব স্বগর্বে
সমস্ত দ্বিধা-দ্বন্ধ ঝেড়ে ফেলে-
আমি এক স্বামী এক পিতা এক সন্তান
তাই তুলিয়াছি আজ কর্মের নিশান।
ধরণীতে যারা করিবে কর্মের শ্রেণী বিন্যাস
কিছুতেই তারা রুখতে পারিবে না জীবনের বিনাশ!
কেন করিব ভয়, কেন করিব লাজ
করিতেছি কি কোন অপরাধ?
যদিও করিতেছি কারো চোখে ছোট কাজ!
আমি আজ চিৎকার করে বলিতে চাই-
আমি সৎ পথে করিয়া আয়
মোর পরিবার চালায়।
কেন করিব ভয়-
”পাছে লোকে কিছু কয়।”