somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অর্থপূর্ন ও বরকতময় নামাজ পর্ব ৫ / রুকু করা -- কেন রুকু করি

০৮ ই মে, ২০১২ দুপুর ১২:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


৮। আল্লহু আকবার বলে রুকু করা: এবং রুকুতে (তিন বার) বলা

রুকুর তাসবীহ্: সুবহানা রব্বিয়াল আযীম (আমার মহান প্রভু পবিত্র)

রুকু( ঝুকা/ নিচা হ্ওয়া/শ্রদ্ধায় নত করা)-: সুবহান এসেছে মুল শব্দ সাবাহা থেকে অর্থ যা ভাসে/ ভাসমান অবস্থা/ পিছলায় না, যা বুঝায় এমন কিছু যা ডুবে যায় না বা পড়ে যায় না - কিন্তু এটার স্তর বজায় রাখে/ সর্বদা নিজের উচ্চতা বজায় রাখা/ সর্বদা নিজেকে ধরে রাখে।

এজন্যই আল্লাহ বলেছেন: নিজ সর্ম্পকে 'সুবহানাল্লাহ" মানে সর্বদা নিজের উচ্চতা বজায় রাখেন ,যখন অবিশ্বাসীরা আল্লাহর সর্ম্পকে অপবাদ দেয় /কুৎসা রটনা করে যে আল্লাহর সন্তান বা মেয়ে বা অংশিদার আছে।

সুবহ=পরিপূর্ণতা/পূর্ণাঙ্গ রূপে ভাসমান বা উচ্চ অবস্থায় সকল মিথ্যা ও খারাপ হতে ও সকল অংশিদার হতে,

সুবহ-আন=অজস্র্র/আধিক্যপূর্ণ/অনেক/ পরিপূর্ণতা/পূর্ণাঙ্গ
অর্থ তিনি পরিপূর্ণ

তাই সুবহানা রাব্বি বলাতে আমরা বলি অনেক(বহু/ঢের/অজস্র্র/) পরিপূর্ণ আমার রব/ আমার কর্তা/আমার মালিক/আমারপ্রভু/আমার পরিচালক ।

রুকুর সাথে এর অর্থ হচ্ছে: আল্লাহর কাছে আমরা রুকু করে ( ঝুকা/ নিচা হয়ে) আমরা এমন অবস্থায় যাই যা আমাদের নরমাল/সাধারন অবস্থা হতে নীচে. যা বুঝায় আমরা 'সুবহ-আন' পরিপূর্ণতা/পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় নেই ( পুর্ন ব্যলেন্সড/সামঞ্জস্য বজায় রাখা/ভারসাম্যবজায় রাখা এবং দাড়ান অবস্থায় নেই) এবং আমরা রুকু করছি/নীচা হচ্ছি তার কাছে যিনি সর্বদা পরিপূর্ণতা/ পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় আছেন।

এর অপরূপ সৌন্দর্য: এই জন্যই আমরা সবাই রুকুতে বলি "সুবহানা রাব্বি" (পরিপূর্ণতায় আমার প্রভু /পূর্ণ উচ্চতায় তিনি আল্লাহ), আমরা নম্র ভাবে / নিজেকে নত করে/নিরহঙ্কার ভাবে/অবনমিত হয়ে দেখাচ্ছিযে আমরা আল্লাহর পরিপূর্ণতায় নিজেদেরকে শ্রদ্ধায় নত করছি।

আল-আযীইইম ( العظيم ) এসেছে আযম( عظم ) থেকে যার অর্থ= হাড্ডি
হাড্ডি হচ্ছে শক্ত এবং দৃঢ় মজবুত,কঠিন এবং আমাদের দেহে হাড্ডিতে সকল শক্তি ও দেহের গঠনের উপাদান বিদ্যামান

তাই আল্লাহ হচ্ছেন আযম = শক্ত,দৃঢ় , শক্তিশালী
আল-আযীইইম( العظيم ) (এখানে ঈয়া অক্ষর দ্বিতীয় মুল অক্ষরের পরে উল্লেখ করছে 'অটল/দৃঢ়/অবিচল'= তিনি সর্বদা অটল/দৃঢ়/অবিচল, শক্তিশালী =সুবহানা রব্বিয়াল আযীম হচ্ছে আমার প্রভু পরিপূর্ণ, তিনি সর্বদা অটলদৃঢ়/অবিচল, এবং শক্তিশালী

রুকু: (শ্রদ্ধায় নত করা)- আমরা আল্লাহকে প্রশংসা করি গুণগান করি যেন আমার প্রভু আল -আযীম =দৃঢ়,শক্তিশালী, এবং আমরা জানি আযম (হাড্ডি)=অটল/অবিচল তাই আল্লাহ তিনি সর্বদা অটল/দৃঢ়/অবিচল, এবং শক্তিশালী

এখন দেখুন একটা বিষয় যা আমরা চিন্তা করি না: শেখ আব্দুল নাসির জান্দা বলেছেন তার আফসিরে (মনেহয় সুরা হাক্কা ৬৯.৫২ তে) যে যখন আমরা রুকু করি(নীচা হই) আল্লাহর কাছে তখন আমরা সবচেয়ে দুর্বল/ঠিক স্বাভাবিক অবস্থায় নয় এমন /শক্তিহীন / নরম/ভঙ্গুর /অক্ষম অবস্থায় থাকি. – তাই যদি খুবই শক্তিশালী লোকও যদি রুকু রত অবস্থায় থাকে এবং একটা ছোট ছেলে/শিশুও যদি তার কাছ দিয়ে দৌরিয়ে যায় এবং ঘটনাক্রমে/অকস্মাৎ/হঠাত তাকে ধাক্কা দেয় তবে সেই শক্তিশালী লোকটাও খুব সম্ভবত পরে যাবে এবং তার স্থায়ী অবস্থা হারাবে - তার মানে এই যে আমরা সর্বদা অটল/দৃঢ়/অবিচল নই ।

এর অপরূপ সৌন্দর্য এই যে আল্লার কাছে শ্রদ্ধায় নত হওয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের দুর্বলতা এবং শক্তিহীনতা/ দৃঢ় হীনতা আল্লার কাছে প্রকাশ করছি যিনি সর্বদা অটল/দৃঢ়/অবিচল, এবং শক্তিশালী তাকেই মানছি আমাদের মালিক/প্রভু/ একমাত্র ইলাহ।


শিক্ষা: রুকুর মাঝে শ্রদ্ধায় নত হয়ে আমাদের দুর্বলতা এবংশক্তি হীনতা/ দৃঢ় হীনতা আল্লার কাছে প্রকাশ করে আমরা বুঝি আমাদের জীবন সর্বদা এক অবস্থায় থাকে না , জীবনে ভাল সময় খারাপ সময় উত্থান পত্তন আসে আর সকল সময়ে আমরা আল্লাহর উপর ভরসা রাখি তিনি যেন আমাদের সঠিক পথ দেখন।

**************************************************
৯। রুকু হইতে উঠিবার তাসবিহ্

সামিআল্লাহু লিমান হামিদা
(যে আল্লাহর প্রশংশা করে, আল্লাহ তা শোনেন)।

**************************************************
১০। রুকু হইতে উঠে সোজা হয়ে দাড়িয়ে পড়ার তাসবিহ্

রব্বানা লাকাল হাম্’দ্
(হে আমাদের রব! তোমার জন্যই সকল প্রশংসা)।

বিদ্র: আমি যথা সাধ্য চেস্টা করছি কোরআন বা সহীহ হাদিসের রেফারেন্স + ছবি ও ভিডিও সহ দিতে . যদি ভুল ভ্রন্তি হয় ক্ষমার চোখে দেখবেন এবং আমাকে অবশ্যই জানাবেন যাতে শুধরে নিতে পারি। সাথে থাকুন ইনশাআল্লাহ পযায়ক্রমে বাকি গুলোও পোস্ট করব

অর্থপূর্ন ও বরকতময় নামাজ পুর্বের পোস্ট সমুহ দেখতে
Click This Link

সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১২ দুপুর ১২:৩৭
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×