somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের এই মসজিদটিই হতে পারে সাউথ ইস্ট এশিয়ার প্রথম মসজিদ ৭০০ শতাব্দিতে তৈরি

১৯ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেরশের উত্তর দিকে রংপুরের রামজাপুরের এই মসজিদটিই হতে পারে সাউথ ইস্ট এশিয়ার প্রথম মসজিদ যা কিনা ৭০০ শতাব্দিতে তৈরি। যার মানে ১৩০০ বছর আগের !!! যা বাংলাদেশের ইসলামের ইতিহাসের এক গুরুত্বপুর্ন স্থান বলে বিবেচিত হতে পারে।


টিম স্টিল একজন বৃটিশ সৌখীন প্রত্নতত্ববীদ এই মসজিদ টি পুরাতন বলে আবিস্কার করেন, মনেকরা হচ্ছে যে মসজিদ টি ৭০০ শতাব্দিতে তৈরি। যা হজরত মুহাম্মদ (সঃ) মৃত্যুর মাত্র ৫০-১০০ বছরের মধ্যে তৈরি হয়। প্রচলিত আছে যে মোহাম্মদ (সঃ) এর সময়কার দুটি মসজিদ আছে এই সাউথ ইস্ট এশিয়ায় এক কেরেলা ইন্ডিয়াতে আর একটি চায়নাতে তবে তাদের কোন প্রত্নতাত্বীক প্রমান নেই যেটা বাংলাদেশের এই মসজিদের আছে।

রংপুর থেকে মহাসড়ক ধরে কুড়িগ্রামের দিকে এক কিলোমিটার দক্ষিণে লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নে এ প্রাচীন মসজিদটির অবশিষ্টাংশ এখনো আছে। তবে এর ওপর নতুন একটি মসজিদ নির্মাণ করেছেন স্থানীয়রা। নতুন মসজিদটির ভেতরে পুরনো মসজিদের অবশিষ্টাংশ- যার অনেকটাই এখনো মাটিচাপা- তা অক্ষত রাখা হয়েছে। স্থানটির নাম ‘মজদের আড়া’। আঞ্চলিক ‘আড়া’ শব্দের অর্থ বন-জঙ্গলে ঢাকা স্থান। ৯৩’ সালেই জঙ্গল পরিষ্কার করার সময় ফুলের নকশা আঁকা কিছু পুরনো ইটের স্তুপ বেরিয়ে আসে। পরে মাটি সরালে একটি মসজিদের ভিত ও নকশা দেখা যায়। সেখানে পাওয়া যায় আরবি ভাষায় ‘লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ, হিজরী সন ৬৯’ লেখা একটি বস্তুখণ্ড।


এর আগে মনে করা হত ইসলাম এদেশে আসে ১২০০ শতাব্দির দিকে কিন্তু এই মসজিদের ধংসবাশেষ প্রমান করে যে আরবরা এ দেশে হজরত মুহাম্মদ (সঃ) মৃত্যুর মাত্র ৫০-১০০ বছরের মধ্যেই এসেছিল। এই মসজিদের পাশের ছোট নদী প্রমান করে যে এখান কার নদী গুলো ছিল আগেরকার দিনের হাইওয়ে যার মাধ্যমে আরবের ব্যবসায়িরা চায়নাতে ব্যবসার পাশাপাশি ইসলাম প্রচারের জন্য যেত।

গ্রামবাসিরা এই মসজিদটি সংস্কারের সময় পুরাতন ইট ও কোরআনের লিখা সম্বলিত পাথর পায়। তারা আরো জানান যে এর পর কর্তৃপক্ষ এগুলো নিয়ে যায় এর পর আর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কিছু জানা যায়নি। স্থানীয় যাদুঘরে খোজ নিলে কর্তৃপক্ষ কোন উত্তর দেননি এবং ভিতরেও প্রবেশ করতে দেয়নি ওয়েবে সার্চ করে বিষয় টা পরিস্কার হয় কেন , মসজিদের পুরাতন নির্দশন গুলো অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে যেমন এই ওয়েব সাইটটিতে গিয়ে বাংলাদেশ লিখে সার্চ দিন http://www.lotussculpture.com/NewArrivals.html দেখবেন আমাদের দেশ থেকে কত কিছু চুরি করে বিক্রি করছে যার একটি ছোট্ট বাটির দামও ৩০০-৪০০ ডলার যা বাংলাদেশে ২৫০০০-৩০০০ হাজার টাকার মত।

কালচার মিনিস্টারকে ফোন দিয়ে ও অনেক অনুরোধ করেও ইন্টার ভিউর জন্য পাওয়া যায়নি যাতে এবিষয়ে তাদের জানানো যায় যে জাতীয় সম্পদ কেমন করে পাচার হচ্ছে আর কেন সংরক্ষন করা হচ্ছে না।

পাচারের আরেক টি কারন হচ্ছে আমাদের দেশের লোকজন গরীব আর অশিক্ষিত বেশি তারা এসকল প্রত্নতাত্বীক পুরাতন নির্দশন গুলোর মুল্য ও কিভাবে এটি টুরিস্ট স্পট হয়ে তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হতো সে সম্পর্কে জানে না।

আশার খরব এই যে গ্রামবাসিরা আশাবাদি যে এই মসজিদের নীচে ও আশে পাশে আরো প্রত্নতাত্বীক পুরাতন নির্দশন রয়েছে তারা আর কর্তৃপক্ষকে বিশ্বাস করে না। এশিয়ান ডেভলোপমেন্ট ব্যংক বাংলাদেশকে
১২ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে এসকল প্রত্নতাত্বীক পুরাতন নির্দশনকে সংরক্ষন ও প্রচারের জন্য কিন্তু কতটাকা খরচ হচ্ছে বা কাজ কতটুকু হচ্ছে সেটা দেখার যেন কেউ নেই। গ্রামবাসিদের একটাই আশা তারা যেন জানতেপারে এই মসজিদটা কত আগের আর যেন এটাকে রক্ষা করা হয় প্রত্নতাত্বীক নির্দশন হিসেবে।

আর আমাদের ব্লগারদের কাছে একটাই অনুরোধ প্রচার করুন আর নিজ স্থান থেকে যতটুকু পারুন মানুষকে সচেতন করুন ও নিজেও এসকল দেশের গুরুত্বপূর্ন সম্পদ সংরক্ষনে সচেস্ট হোন।


সুত্র:আল জাজিরা: Click This Link
মুল রিপোর্ট নিকোলাস হক আল জাজিরা টিভি
অনুবাদ: ব্লগার মেলবোর্ন

***ঈদের নামাজ পড়ে এসে ফেইসবুকে এই ভিডিওটা চোখে পরলো তাই ভাবলাম অনুবাদ করে সবাইকে জানানো উচিৎ খবরটা একদিকে অনন্দের অন্য দিকে হতাশার, ***

ঈদ মোবারাক সবাইকে

সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১১
১৫টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাসনাতের বয়ানে সেনাবাহিনীর প্রস্তাব নিয়ে উত্তপ্ত রাজনীতি, সেনা সদরের অস্বীকার

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১:০১

হাসনাতের বয়ানে সেনাবাহিনীর প্রস্তাব নিয়ে উত্তপ্ত রাজনীতি, সেনা সদরের অস্বীকার

ছবি: অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।

জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ সম্প্রতি দাবি করেছেন যে, সেনাবাহিনী আওয়ামী লীগের একটি 'সংশোধিত' অংশকে রাজনৈতিকভাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তবু তো ফাল্গুন রাতে এ গানের বেদনাতে আঁখি তব ছলছলো....আমার দুঃখভোলা গানগুলিরে ......

লিখেছেন ইন্দ্রনীলা, ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫



মাঝে মাঝে আমার বুকের গহীনে এক ব্যথার নদী উথলে ওঠে। উথাল পাথাল ঢেউগুলো পাড়ে এসে আছড়ে পড়ে। উত্তাল বেগে ধেয়ে এসে ভেঙ্গে খান খান হয়ে পড়ে বুকের মাঝে... ...বাকিটুকু পড়ুন

"বিস্মৃতি"

লিখেছেন দি এমপেরর, ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৫


সে যে আজ কোথা হারিয়ে গিয়েছে, আঁধার ছেয়েছে ঘনঘোর কালো;
চাঁদ নেই তারকারাজিও উধাও, নেই জ্বলে কোথা টিমটিমে আলো!
সে যে জানে শত হৃদয়ের কথা, মায়াজালে ঘেরা হাজার স্মৃতি!
কত... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাথা হালকা পোষ্ট!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:০৭

অবিশ্বাস্য হলেও লেকটির অবস্থান খোদ ঢাকায়; কেউ কি এর লোকেশন বলতে পারেন?



কাটা তরমুজের ছবিটা দেবার বিশেষ মাজেজা আছে;
উটিউবে একজন কামেল বুজুর্গান পাকা সূমিষ্ট তরমুজ কেনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

এলার্ট : শেখ হাসিনা আজ রাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৪৭


বাংলাদেশের মানুষ কল্পনা করতে খুব ভালোবাসে। গুজব ও অপতথ্য শেয়ারে বাংলাদেশের মানুষ প্রথমদিকে থাকবে বলে অনেকের বিশ্বাস । দেশের মানুষের পাঠ্যবই ছাড়া অন্য কোনো বইয়ের প্রতি আগ্রহ নেই। আত্নউন্নয়ন মূলক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×