আমার এক বন্ধু,নাম শান্ত । ফেবুতে না দেইখা প্রেম হইছে। মেয়ের নাম ঈশিতা।
এখন দেখা করতে আসছে, আমারে সাথে নিয়া। মেয়ের ড্রেস কোড নীল শাড়ি,বন্ধুর নীল পাঞ্জাবী।
মেয়ে দেখা করতে আসছে ঠিকই
কিন্তু একা না, এরা ৫ বান্ধবী একই সাঁজে একই রকম নীল শাড়ি পড়া।
এর মধ্যে এক মেয়ে বন্ধুরে কয়,
-- আমাদের মধ্যে যদি ঈশিতা কোনটা চিনতে না পারেন তাইলে বুঝবো আপনি রিয়েল লাভ করেননি। না চিনতে পারলে, মিথ্যা প্রেমের সাজা,কান ধরে উঠবস করাবো।
আরেক মেয়ে কয়,
--রিয়েল লাভ মানে, না দেখেই মানুষটাকে চিনে ফেলা। না চিনতে পারলে প্রেম শেষ।
কইলাম,
--সর্ব্বনাশ!! ভাইরে দোআ ইউনুস পড়।
-- কি বিপদ!!
ঈশিতা কোনডা চিনার দরকার নাই। চল ঝাইরা দৌড় মারি।
--পাগল হইছস??
--তাইলে,তুই আন্দাজ করতো ঈশিতা কোনডা??
-- প্রেম করছস তুই আর আন্দাজ করমু আমি!!! আইয়া পড়ছি বিপদে, এখন না জানি আমারেও কানে ধরায়!!! হুহহ
এর মধ্যে ১মেয়ে ডাকলো,
--আপনাদের কথা শেষ হলে আসুন। বলুন আমাদের মধ্যে ঈশিতা কে?? সময় ৫মিনিট!!!ভালোবাসার পরীক্ষা দিন।
মিথ্যা কইরা
কইলাম,
--দেখুন ঈশিতা কে, তাতো শান্ত চিনতেই পারবে। কিন্তু শান্তই তো আসেনি।
--তাইলে উনি কে ভাইয়া??
--ওর নাম আরেফিন। আমরা দুজনেই শান্তর বন্ধু। শান্তই ওকে নীল পাঞ্জাবী পড়িয়ে শান্ত সাঁজিয়ে পাঠিয়েছে।
এইবার ঈশিতা চান্দু মুখ খুলল,
--কি শান্ত আসেনি?? ঠক। মিথ্যুক! ছোটলোক!! আমার সাথে ঠাট্টা। এই চল সবাই!! এদের সাথে বসে থাকবার মানেই হয়না। আর শোনেন,শান্তকে বলবেন, আমাকে যেনো আর ফোন না দেয়।
আরেকজন কয়,বলছিলাম না সব ফেবুর ছেলেই বাটপার!! ছেলেদের আমরা হাড়ে হাড়ে চিনি।
ঈশিতা কয়, দেখছস, বদের বাচ্চা আসেইনি। ব্লা ব্লা ব্লা...
আরেকজন কয়, শালা মনে হয় দেখতে খারাপ তাই আসেনি। ব্লা ব্লা ব্লা...
উরিসসালা, আমি আর শান্ততো টাশকি। এই মুখের ভাষার ছিড়ি!! :
পলকেই "কুটো ভেংগে দুটো হয়ে গেলো"!!
হায়রে মাইয়াপান.
একটু আগেই রিয়েল লাভের ভাষণ দিলি, আরে ঈশিতা তুই নিজেই তো তোর ভালোবাসার শান্ত কে চিনলি না।