somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মুজিব রহমান
সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

বাঙালির যৌন তাড়না পর্ব- এক

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



নারীদের সম্পর্কে ধারণা রাখেন না এমন পুরুষ নারীর পায়ের গোড়ালি দেখেও যৌনকাতরতা বোধ করতে পারেন। আমাদের এক বন্ধু স্কুল জীবনে জানিয়েছিল, টিনের চালের ছিদ্র দেখেই সে যৌনকাতর হয়ে পড়েছে। সম্পূর্ণ পর্দা অনুসরণ করেও ফেনির নুসরাত তারই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কর্তৃক যৌন হয়রানীর শিকার হন এবং প্রতিবাদ করায় তাকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। গত রমজান মাসেও প্রচুর সংখ্যক শিশুকে বলাৎকার বা ধর্ষিতা হতে দেখি। ঘটনাগুলোর অনেকগুলোই ঘটিয়েছেন ইমাম ও মাদ্রাসার শিক্ষকগণ। বিশেষ করে ধর্ম শিক্ষা গ্রহণ করতে গিয়েই ওই শিশুরা আক্রান্ত হন। এই শিশুকন্যারা পর্দানশীন হয়েই গিয়েছিল। রমজান সিয়াম সাধনার মাস। আত্মসংযমের সময়েও তাহলে কেন এমন ঘটনা ঘটলো?
ইউরোপে দেখি ভিন্ন চিত্র। মিনি স্কাট পরে মেয়েরা গটগট করে চোখের সামনা দিয়ে হেঁটে গেলেও পুরুষদের চোখ নির্লিপ্তই থাকে। আমাদের সমাজে মিনিস্কাট পরে কোন মেয়ে হেঁটে গেলে মনে হয় সর্বনাশ হয়ে যাবে পুরুষদের। উত্তরবঙ্গে দেখেছি অসংখ্য মেয়ে সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যায়। কেউ এ নিয়ে এখন আর ঝামেলা করে না। এক স্কুলে গিয়ে মেয়েদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম তারা কিভাবে এমন বিপ্লব ঘটালো?
খুবই সহজ উত্তর ছিল, সে তার বোনকে দেখেই সাইকেল চালাচ্ছে। আর বোন চালাচ্ছে এনজিওতে চাকরি করার কারণে।
জানতে চেয়েছিলাম, কোন সামাজিক চাপ আছে কি না? অর্থাৎ কেউ কিছু বলে কি না?
মেয়েটি নির্লিপ্তভাবে বলেছিল, নাহ, কে কি বলবে?
কেউ কিছু বলবে সেটা তার ভাবনাতেই নাই। সেই অনুপ্রেরণা থেকেই আমার মেয়েকেও সাইকেল কিনে দিলাম বাড়ি স্কুলের কাছাকাছি থাকা সত্ত্বেও। কিন' আমাদের গ্রামের পুরুষদের অনভ্যস্ত চোখ সেটা সহ্য করেনি। বহু মানুষই তাকে কটুকথা বলতো। সে সাইকেল চালানো ছেড়ে দেয়।
তাহলে নারীদের নিয়ে সমস্যাটা কোথায়?
তাদের নিয়ে পুরুষদের এবং পুরুষদের নিয়ে নারীদের ধারণা না থাকাই প্রধান সমস্যা। আজ মেয়েরা অধিকাংশই সাধারণ সেলোয়ার কামিজ ওড়না পড়েই চলাফেরা করেন। এটা সমাজ গ্রহণ করে নিয়েছে। আমাদের তরুণরা ইউরোপ-আমেরিকায় গিয়ে হঠাৎ স্বল্পবসনা নারীদের দেখে বিচলিত বোধ করেন। কয়েক বছরের মধ্যেই তারাও স্বাভাবিক আচরণ করা শুরু করেন। মিনিস্কাট তাদের আর যৌন তাড়িত করে না, তারা বিচলিত বোধ করেন না।
সাধারণত শাড়িতে মেয়েদের পেট/নাভি দেখা যায়। স্কার্ট শার্টে পেট/নাভি দেখা যায় না। দেখা যায় হাটুসহ পা। আমাদের চোখ শাড়ি দেখে অভ্যস্ত কিন' স্কার্ট দেখে অভ্যস্ত নয়।



বাঙালি তরুণ তাবৎ পৃথিবীর তরুণদের মতোই যথাসময়েই যৌন তাড়না বোধ করে। অধিকাংশ তরুণই শুরু করে সমেহন। কিন' তাদের যাবতীয় শিক্ষা জীবনে সমেহন নিয়ে একটি বাক্যও পড়তে হয় না। শুধু বাংলাদেশেই নয় পৃথিবীর কোন মুসলিম দেশেই তা পাঠযোগ্য নয় বলেই বিবেচনা করা হয়। একবার নাকি ইন্দোনেশিয়ার পাঠ্যবইতে সমেহন নিয়ে লেখা হয়েছিল। তীব্র প্রতিবাদের মুখে তা সরিয়ে নেয়া হয়। আমরা যখন ছোট তখন হঠাৎ করেই আসে নীল ছরি আগ্রাসন। লোকজন ভিসিপি ভাড়া করতো সারা রাতের জন্য। পরিবারের লোকজন নিয়ে সন্ধ্যা থেকেই সাধারণ হিন্দি বা বাংলা ছবি দেখতো গোটা তিনেক। এরপর তারা দেখতো নীল ছবি। শুনেছি খাটের উপর বসে বড় ভাইরা নীল ছবি দেখতো আর ছোট ভাইরা দেখতো খাটের তলায় গোপনে ঢুকে থেকে। এসবই শুনেছি একজন নীল ছবির ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। এই নীল ছবি দেখে অন্তত যুবকরা শিখতো কিভাবে সেক্স করতে হয়।
আমাদের এলাকায় এক বিয়ে পাগলা ছিল। তিনি তার নতুন বউকে নিয়ে আসলেন। এলাকার কিছু তরুণের খায়েস হলো দেখা, তিনি কিভাবে কি করেন? তরুণরা ঘাপটি মেরে থাকতো। যখনই লোকটি ঘরে ঢুকতো ওরা ভাঙ্গা বেড়ার ছিদ্র দিয়ে তাদের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়টি অবলোকন করতো। নীল ছবি নিয়ে আলোচনা করার সময়ই জানলাম ঘটনাটি। ওরা জানালো লোকটি স্ত্রীকে কোন ভাবে প্রস'ত করতো না। গিয়েই স্রেফ স্ত্রীকে ধর্ষণই করতো। সম্ভবত স্ত্রীও ভাবতো স্বামীর সাথে সেক্স করা এমনই কঠিন ও বিরক্তকর। মানে হলো ভদ্রলোক এতোগুলো বিয়ে করেও শিখেনি বিষয়টি।
যেসব দম্পতি সন্তান না হওয়ার জন্য ডাক্তারের কাছে যান তাদের একটা সমস্যা থাকে স্বামী স্ত্রী যথাযথভাবে মিলিত হতে পারেন না। ডাক্তার স্বামী বা স্ত্রীর সাথে কথা বলেই বুঝে ফেলেন এবং সঠিকভাবে শারীরিক সম্পর্ক করার পরামর্শ দেন।
বিজ্ঞানের ছাত্ররা প্রাণিবিজ্ঞানে শুধু পরুষ ও স্ত্রী জননাঙ্গ সম্পর্কে একটা ধারণা পান। ডক্টর হুমায়ুন আজাদ তার নারী বইতেও এমন বিষয়ে একটু বিস্তারিত লিখেছিলেন বলে বইটিই নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে বইটি আলোর মুখ দেখে। সমরেশ বসুর প্রজাপতি উপন্যাসটি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, একেবারেই খামোখা। বুদ্ধদেব গুহর বাবলীসহ দুএকটি উপন্যাসে সামান্য যৌনতা আছে। তবে নিশ্চিত বলতে পারি আমাদের লেখকগণও এ নিয়ে লিখতে অভ্যস্ত নন আবার সামাজিক ভয়ও পান। অথচ ভারতেই লেখা হয়েছে ‘কামসূত্র’।



বছর পঞ্চাশেক আগেও আমাদের মেয়েদের শিশু কালেই বিয়ে হতো। তারা স্বামীর ঘরে গিয়েই পড়তো স্বামীর ধর্ষণের মুখে। একজন পৌঢ়া নারীর মুখে শুনেছি যৌনতায় যে সুখ আছে এটা তিনি কোনদিনও বুঝতে পারেন নি অথচ ততদিনে তিনি ৩৫/৩৬ বছর স্বামীর সাথে সহবাস করেছেন। শিশু বধূরা স্বামীর ধর্ষণ থেকে বাঁচার জন্য পালিয়ে পিতার বাড়ি চলে যেতো। শুনেছি তারা শ্বাশুড়ীর আঁচলের নিচে লুকিয়ে থাকতে চাইতো। এমনকি সন্ধ্যা হলে তিনি ঘরের পেছনে লুকিয়ে থাকতেন। স্বামী তাকে খুঁজে ঘরে নিয়ে আসতো ধর্ষণ করার জন্য। শিশুটির পরিবারও ঠেলে দিতো ধর্ষণের মুখে। এভাবে বহু নারীরই যৌন জীবন থাকতো স্রেফ আতঙ্কের। এরা বয়ষ্কা হলে কষ্টটা হতো না কিন' থাকতো নিরানন্দময়।
পুরুষদের জন্য সমস্যাটা এখনকার মতো প্রকট ছিল না। কদিন আগে আমার একজন ২৬ বছর বয়সী জুনিয়র বন্ধু এক আড্ডায় খুবই উচ্ছ্বাসের সাথে জানালো, একটি মেয়ে তাকে এই প্রথম চুমু খেয়েছে। চুমু খাওয়াটা তার ভাল লেগেছে, ভালোইতো! আগে বাংলাদেশ জুড়ে পতিতালয় ছিল। অনেক যুবকই প্রথম যৌন অভিজ্ঞতা অর্জন করতো ওখান থেকেই। একজন নারীর জন্য পতিতাবৃত্তি অবমাননাকর বলেই যৌনকর্মীর পেশাটা সমর্থন করি না। তবে শেখার জন্য এমন একটি সুযোগ মন্দ ছিল না। আমাদের অধিকাংশ তরুণেরই প্রথম যৌন অভিজ্ঞতা হয় বিয়ের পরেই এবং তা সারাজীবন চলে ওই একজনের সাথেই।
বিবিসির একটা জরিপ দেখলাম। ইউরোপের একজন নারী যৌনতার ভিন্ন স্বাদের জন্য স্বামী ছাড়াও আরো পুরুষের সাথে সেক্স করে। পুরুষরাও একইভাবে অন্য নারীর সাথে সেক্স করে। বিবিসির সাক্ষাৎকারে একটি মেয়ে বলেছিল, সে অন্তত নয়টি ছেলের সাথে সেক্স করেছে। আমেরিকার একজন নারী জানিয়েছিল, সংখ্যাটা তিন হাজার হবে। আমাদের নারী-পুরুষ ধর্মীয় কারণেই স্বামী স্ত্রীর বাইরে কারো সাথে সাধারণত সম্পর্কে জড়ায় না। এটা খুবই নিন্দার চোখে দেখা হয়। গোপনে কেউ নয়ছয় করলেও ধরা পড়লেই বিপদ। সিলেটে নূরজাহানকে স্বামীকে তালাক না দিয়ে আরেকটি বিয়ে করার মিথ্যা অভিযোগে পাথর মেরে হত্যা করা হয়েছিল।


আমাদের এলাকায় দশের বেশি বিয়ে করেছেন এমন দুজনকে চিনি। একজন বহু আগেই গত হয়েছেন বলে কথা হয়নি। আরেকজনের কাছ থেকে জেনেছি তার জীবনবোধ। তিনি ওলামা মাশায়েখদের একজন নেতা। তাঁর কাছে থেকেই জানতে পারি, ফরিদপুর সিএন্ডবি ঘাট পতিতাপল্লিরি সাথে তাঁর নিবিড় সম্পর্কের কথা। আমাদের এলাকার বহু প্রভাবশালী ফেরেস্তাতুল্যকেই দেখেছেন ওখানে গমন করতে। প্রমাণ চাইলাম। এক ফেরেস্তা তুল্য আসছিলেন। আগুন'ককে দেখেই হাসতে হাসতে বলল, কি আরতো দেখি না ওখানে!
জবাবে মুচকি হেসে আগত ব্যক্তি বললেন, তুই এখনো ভাল হোসনি।
ওনি বিভিন্ন জেলায় ফেলে আসা স্ত্রীদের খোঁজ খবর রাখেন না। তার সৌম্য দর্শন দেখেই মেয়েদের পিতারা বিশ্বাস করে বিয়ে দিতেন তার কাছে। অবশ্য তিনি দাবি করলেন স্রেফ কদিন থাকা ও খাওয়ার জন্যই এমন প্রতারণা করতেন। তাঁর কথায় মনে হয়েছে, বহুগামীতাও একটা বড় কারণ।
অন্য ব্যক্তি খুবই প্রভাবশালী ছিলেন। নারীঘটিত বিচারে বসে শেষ পর্যন্ত নিজেই বিয়ে করে ফেলেছেন কয়েকজনকে। এ কাজ আমাদের এলাকার কয়েকজন মেম্বারও করেছেন। দরিদ্র ঘরের মেয়ে প্রেম করে পালিয়ে গেছে। ছেলের বাবা মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছে। বিভিন্ন কৌশল করে মেম্বার সাহেব নিজেই বিয়ে করে ফেলেন। অনেকেই কাজের মেয়েকেও বিয়ে করেন যৌন তাড়না থেকেই।
যৌনতার ক্ষেত্রে বাছবিচার করেন না অনেকে। আমাদের এলাকার এক সুন্দরী পাগলি বারবার গর্ভবতী হতেন। খোঁজ নিতেই কেঁচো খুঁড়তো বের হলো ডাইনোসর। কে নেই? বড় ব্যবসায়ী, মুক্তিযোদ্ধা, তরুণ, পাহারাদার, বিবাহিত, অবিবাহিত .. .. ..। ফলে সবাই মিলেই ধামাচাপা দিতো। বেঁদে সম্পদ্রায়ের মেয়েরা একটু খোলামেলা। নিজেরা আয় করে। তাদের সাথে যৌনতা করার বিপুল ঘটনাই ঘটে। কারো আপত্তি নেই এখানেও।
ঘরে আটপৌড়ে স্ত্রী তাদের যৌনসুখ দিতো না। তারা দৌড়াতেন তাদের চোখে নষ্ট মেয়েদের সাথে যৌনতা করতে। একটা ট্রেডিশন যেনো, ঘরে সতী স্ত্রী থাকবেন এক বা বহু। তারা থাকবেন পরপুরুষের সান্নিধ্যের বাইরে। আর নিজে ভোগ করবেন ঘাটে অঘাটে এমন নারীকে যারা স্ত্রী হওয়ার যোগ্য নন। এরাও স্ত্রী কন্যাকে অবরোধ করে রাখতে চান পোষাকে। পর নারীর সঙ্গ নিতে চলে যান দেশ দেশান্তরে। নগ্নমূর্তি দেখতে যান গ্রীসে আর ময়মনসিংগের ট্রেনিং সেন্টারের ভাষ্কর্যের নিন্দা করেন। হাইকোর্টের সামনা থেকে ন্যায় বিচারের প্রতীক জাস্টিসিয়াকে সরিয়ে দিতে বাধ্য করেন। আবার তাদের অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে শিশু বলাৎকারের।


বাঙালির যৌন সমস্যা শুরু হয় শৈশব থেকেই। শিশু যখন কৌতুলহ নিয়ে মায়ের কাছে জানতে চায়, কোথা থেকে এলাম?
মাত আঁতকে উঠেন। বলেন, ঈগল পাখি তোমাকে ছাদে রেখে গেছে। অথবা বাগানে কুড়িয়ে পেয়েছি। অথবা ধমক দেন অথবা বলেন, তোমার বাবার কাছে জিজ্ঞাসা কর। অথবা বলে দেন, এসব জিজ্ঞাসা করবে না। কখনো সন্তানকে চড়-থাপ্পরও দেন এজন।
গাছের ফুল থেকে ফল হয়।
মুরগির ডিম থেকে বাচ্চা হয়।
কত উদাহরণ দেয়া যায়।
পিতার শুক্রাণু মায়ের জরায়ুতে আসলে ডিম্বাণু নিষিক্ত হয়। পেটে সেই বাচ্চা দশ মাস যাবৎ বড় হয় এবং ভূমিষ্ঠ হয়। এতটুকু জানতে আদিম মানুষের বহু বছর লেগেছে। কিছু উপজাতি মানুষের ধারণা, কোন দেবতা বা প্রেত যোনি পথে ক্ষুদ্র সন্তান পেটে ঢুকিয়ে দেয়। বিয়ের পরে সতিচ্ছেদ পর্দা ছিন্ন হওয়ার কারণে নারীর পেটে সন্তান ঢুকানো যায়। অবিবাহিত কন্যার সতিচ্ছেদ পর্দা কোন কারণে ছিন্ন হলে তারাও গর্ভবতী হতে পারে। স্বামী কয়েক বছর বাইরে থেকে এসে যদি দেখে স্ত্রী গর্ভবতী, তবুও তারা খুশি হয়ে উঠে।
কুমারী মাতা মেরির ঈশ্বর কর্তৃক গর্ভবতী হওয়াকে, অস্বাভাবিক মনে করেনি ওখানকার মানুষ। শিশুদের যৌন শিক্ষা না পাওয়ার পরিণতি ভয়ঙ্কর হয়। তারা অহরহ যৌন হয়রাণির শিকার হন।
প্রাথমিক স্কুলের এক ছাত্রীকে গর্ভবতী করার ঘটনাও সাম্প্রতি পত্রিকায় দেখলাম। শিশুটিকে ডাক্তারের কাছে নেওয়ার পরেই প্রকৃত রহস্য ফাঁস হয়। বহু কন্যা শিশুকেই টকলেট বা খেলনার লোভ দেখিয়ে নির্জন স'ানে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। মায়েরা শিশুদের এসব বিষয়ে সচেতন করে না। শিশুরা জানে না তাদের শীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সম্পর্কে। যৌন হয়রানির শিকার হলে মাকে জানাতে হবে এটাও শিশুকে জানানো হয় না।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ধর্ষণের শিকার একজন নারী জানালেন, তিনি মনে করেছিলেন তার নিজের দায় আছে। এরকমই আমাদের শিশুরা বা নারীরা ধর্ষণের শিকার হলে, তাদের পরিবার পর্যন্ত ভেবে বসে, মেয়েদের দায় আছে। অনেক পুরুষই ধর্ষকের পক্ষে দাঁড়ায়। নুসরাতের বিপক্ষে অনেকেই দাঁড়িয়েছিলেন। বরগুণায় কুপিয়ে হত্যার পরে রিফাতের স্ত্রী সম্পর্কে অনেক লম্পট বাজে কথা বলে আসছে। আমাদের বিক্রমপুরের কয়েক লম্পটকে দেখলাম মিথ্যা প্রচার করতে।
পরিবার থেকে কোনরকম যৌন শিক্ষা না নিয়েই বাঙালি বড় হয়। স্কুলেও কোন যৌন শিক্ষা দেয়া হয় না। বাসর রাতেই বাঙালি যৌন বিষয়ে মাস্টার্স করে। এই বিকলাঙ্গ মানসিকতা চলছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।
চলবে . . .

সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩০
৯টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এশিয়ান র‍্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:২০

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা শহর ইতিমধ্যে পচে গেছে।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



স্থান: গুলিস্থান, ঢাকা।

ঢাকার মধ্যে গুলিস্থান কোন লেভেলের নোংড়া সেটার বিবরন আপনাদের দেয়া লাগবে না। সেটা আপনারা জানেন। যেখানে সেখানে প্রসাবের গন্ধ। কোথাও কোথাও গু/পায়খানার গন্ধ। ড্রেন থেকে আসছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজত্ব আল্লাহ দিলে রাষ্ট্রে দ্বীন কায়েম আমাদেরকে করতে হবে কেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:০৬



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) কেড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তির কোরাস দল

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৫



ঘুমিয়ে যেও না !
দরজা বন্ধ করো না -
বিশ্বাস রাখো বিপ্লবীরা ফিরে আসবেই
বন্যা ঝড় তুফান , বজ্র কণ্ঠে কোরাস করে
একদিন তারা ঠিক ফিরবে তোমার শহরে।
-
হয়তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাইডেন ইহুদী চক্তান্ত থেকে বের হয়েছে, মনে হয়!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮



নেতানিয়াহু ও তার ওয়ার-ক্যাবিনেট বাইডেনকে ইরান আক্রমণের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো; বাইডেন সেই চক্রান্ত থেকে বের হয়েছে; ইহুদীরা ষড়যন্ত্রকারী, কিন্তু আমেরিকানরা বুদ্ধিমান। নেতানিয়াহু রাফাতে বোমা ফেলাতে, আজকে সকাল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×