সুদীর্ঘ্য চার ঘন্টার ম্যারাথন আড্ডায় "দ্বীন ইসলামের প্রচার এবং প্রসারে নাস্তিকের ভুমিকা"-শীর্ষক আলোচনায় সকল নাস্তিক অংশ গ্রহন করেন। মেহফিলের বিশেষ আকর্ষন ছিলেন বাংলা ব্লগের কুখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ ... মাওলানা আরিফুর রহমান।
ইহা মূলতঃ ব্লগ'নাস্তিকদের একটা গেট'টুগেদার ছাড়াও দ্বীনের সেবায় নাস্তিকেরা কিভাবে নিজেদের আরও নিয়োজিত করতে পারেন ... সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
আলোচক'বৃন্দের মধ্যে জনাব পারভেজ আলম ... তার সুদীর্ঘ্য বক্তব্যে নাস্তিক'দের কর্ম পন্থা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। ক্রমে আসিফ, মনির, আরিফ এবং শয়তান সে আলোচনায় নতুন নতুন তথ্য উপাত্ত যোগ করেন। মাওলানা আরিফুর রহমান রহমান ব্লগে অনেক খাতর'নাক হলেও ... বাস্তবে উনার মত ভদ্র লোক আর হয়না। মেহফিলের তবারক হিসেবে তিনি সুদুর ইংল্যান্ড থেকে চকোলেট নিয়ে আসেন। আলহামদুলিল্লাহ।
মেহফিলের আলোচনায় আর্থ-সমাজিক প্রেক্ষাপটে ধর্মের শেকড় অনুসন্ধান, ধর্মের রাজনৈতিক ব্যাবহার, রাজনীতির ধর্ম ব্যাবহার, ধর্ম'ভুত দুরীকরণ ইত্যাদি বিষয় প্রাধান্য পায়। পারভেজ আলম অসাম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অতীত, এবং বর্তমানের সাম্প্রদায়িক রাজনীতির নিয়ে আলোচনা করেন। স্টাডি ইটি মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে বয়ান দেন। তার বস্তুনিষ্ঠ পর্যালোচনায় দেখা যায় সমাজের অনালোকিত একটা অংশে কি করে ধর্ম'ভুত আছর করে। মনির, আসিফ বর্তমান রাজনৈতিক এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটে কি কি করা যায় সে বিষয়ে আলোকপাত করেন। মাওলানা আরিফুর আর মহামান্য শয়তান ভবিষ্যতে বাংলা ইন্টারনেট, ব্লগ ইত্যাদি মাধম্যে নাস্তিকতা প্রচার এবং প্রসার বিষয়ে আলোচনা করেন। রাতমজুর এবং বৃত্তবন্দী নাস্তিকদের কর্মপরিকল্পনা, "পন্থা নিয়ে আলোচনা করেন।
বাংলা ইন্টারনেট, বাংলাব্লগ-সমূহ ইত্যাদিতে নাস্তিক্যবাদ প্রচারের পাশাপাশি নাস্তিকদের সমাজ উন্নয়ন, সচেতনতা তৈরী ইত্যাদি কর্মে সংশ্লিষ্ঠ হবার তাগিদ দেন ব্লগার পারভেজ আলম। দায়িত্বে'র আয়তন দেখে অনেক নাস্তিক সেদিকে আগ্রহ না দেখালে'ও পারভেজের বক্তব্যে দ্বিমত কেউ করেনি।
এদিকে আরিফুর রহমানের মতামত হচ্ছে রাজনৈতিক নাস্তিকতা এবং অ'রাজনৈতিক নাস্তিকতার মধ্যে স্বতন্ত্রতা তুলে ধরে এই দুই পন্থার স্পষ্ট'তা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা।
আলোচনায় নাস্তিকদের কর্মপন্থা নিয়েও বেশ তর্ক'বিতর্ক হয়। নাস্তিকেরা কি রক্ষন'ভাগে খেলবে নাকি আক্রমন'ভাগে খেলবে তা নিয়ে আলোচনা হয়। দুইভাগেই পক্ষে'বিপক্ষে যথেষ্ঠ যুক্তি আছে, তবে উপস্থিত নাস্তিকেরা রক্ষনাত্মক তথা পজেটিভ আপ্রোচ, সুগার কোটিং, হজমসাধ্য প্রচার'পন্থাকেই শ্রেয়'তর মনে করেন। আশ্চর্যজনকভাবে স্বয়ং আরিফুর রহমানও এমন'টাই ভাবেন।
মেহফিলের শেষভাগে কেবলা নির্ধারণের বিষয় আসলে বক্তারা বিনাবাক্যে স্বীকার করেন যে, বিজ্ঞান'কে কেবলা ধরে আগালে নাস্তিক্যবাদে ব্যাপক ফজিলত আসতে বাধ্য।
মেহফিলের মধ্যভাগে সুদুর জাপান হতে টেলি'কনফারেন্সে যোগ দেন মাওলানা দুরের পাখি। মনির হাসানের চাইনিজ মোবাইলে দ্বীনি ব্লগার রাতমজুর বহুকষ্টে কিছু ছবি তুলতে সার্থক হন।
বাম দিক থেকে ক্রমান্বয়েঃ মনির হাসান, স্টাডিইটি, আসিফ মহিউদ্দিন, পারভেজ আলম, শয়তান, আরিফুর রহমান এবং বৃত্তবন্দী।
তীব্র শীতের মধ্যেও আল্লাহ'র অশেষ মেহেরবানিতে মেহফিল শেষ হয় রাত দশটার কিছু পরে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



