somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ চাই, জামায়াতের প্রতিষ্ঠা চাই না

১৪ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৫:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গোলাম মোর্তোজা
সন্দেহ নেই যে আমরা একটি দুর্নীতিমুক্ত দেশ চাই। আমরা এও জানি যে, সেটা সম্ভব নয়। সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত সম্ভব না হলেও অনেকখানি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব সেটা বিশ্বাস করি। এও বিশ্বাস করি যে, বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। সামরিক বাহিনী সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
কিছু দিন ধরে খুব জোরেসোরে আলোচনা হচ্ছে দুই নেত্রী খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে হবে। বলছি বহুল আলোচিত-সমালোচিত ‘মাইনাস টু তত্ত্বের’ কথা। এতদিন আমরা বলতাম দুই নেত্রী যদি অপরাধ করে থাকেন তবে তাদেরও বিচার করতে হবে। কিন্তু বর্তমান সময়ে এসে ‘যদি’ শব্দটি ব্যবহারের আর কোনো সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। বিশেষ করে গত পাঁচ বছরের দুর্নীতির যে চিত্র বাবর, জলিল, মিন্টু, মামুন, সেলিমের মুখ থেকে জানা যাচ্ছে, তাতে আর ‘যদি’ ব্যবহার করা সম্ভব নয়।
তাই বলি দেশের মঙ্গলের জন্যে দুর্নীতিবাজদের শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বিদেশে পাঠিয়ে দেয়াটা কোনো শাস্তি হওয়া উচিত নয়। মনে রাখতে হবে খালেদা জিয়ার প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ তত্ত্বাবধানে দুর্নীতি করেছে বাবররা ...। বাবর বা মামুনের বিচার হবে, খালেদা জিয়ার হবে নাÑ এটা হতে পারে না। হাসিনার ক্ষেত্রেও একই কথা। যদিও খালেদা, হাসিনার বিষয়টি একভাবে দেখলে মনে হয় না সুবিচার করা হবে। ৫০০ কোটি টাকার ফ্রিগেট কেনা থেকে হাসিনা নিয়েছেন এক কোটি টাকা। আর খালেদা জিয়া হত্যাকারীকে বাঁচানোর জন্যে ৫০ কোটি টাকার চুক্তি করেছেন। হাসিনার সময়ে দুর্নীতিরও একটা সীমাবদ্ধতা ছিল, খালেদার সময়ে তা ছিল না। বিষয়টি ভুলে গেলে চলবে না।
২.
দুর্নীতিমুক্ত বা হ্রাস করার কার্যক্রমকে নীরবে-সরবে সমর্থন করি। কিন্তু যখন বিশেষ কারো বা বিশেষ কোনো দলের প্রতি ভিন্ন আচরণ লক্ষ্য করা যায়, তখন আর নীরবে-সরবে সমর্থন তো করা যায়-ই না। পারা যায় না প্রশ্ন না তুলেও। হাসিনা-খালেদাসহ দুর্নীতিবাজ রাজনীতিকদের শাস্তি দিতে হবেÑ খুবই ভালো কথা। কিন্তু তার পরিবর্তে কী চাইছি? কাদেরকে প্রতিষ্ঠিত করছি? জামায়াতে ইসলামীকে প্রতিষ্ঠিত করা কি বর্তমান সরকারের বিশেষ কোনো লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য? এটা কি সরকার জেনে বুঝে করছে না অজান্তে হয়ে যাচ্ছে?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে। জামায়াতে ইসলামীর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কথা গত সংখ্যায় লিখেছি। লিখেছি জঙ্গিবাদের সঙ্গে জামায়াতের ইসলামী ব্যাংকের সম্পর্কের কথাও। সে বিষয়ে আরো দু-একটি কথা বলা প্রয়োজন মনে করছি।
জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের মুখপত্র মাসিক ‘জাগো মুজাহিদ’। এই পত্রিকার মাধ্যমে তারা তালেবানি প্রচারণা চালিয়েছে। সশস্ত্র সংগ্রামের কথা বলেছে। মানুষকে জিহাদে উদ্বুদ্ধ করতে চেয়েছে। করেছেও। বোমা মেরে মানুষ হত্যা তার প্রমাণ। মাসিক ‘জাগো মুজাহিদ’-এর অর্থ লেনদেন হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ইসলামী ব্যাংক মতিঝিল শাখায় চলতি হিসাব নং ৫৩১৯ মাসিক ‘জাগো মুজাহিদ’-এর। শুধু তাই নয়, এই পত্রিকাটি খুব কম মানুষই প্রকাশ্যে দেখেছেন। একটি প্রতিষ্ঠান সেই পত্রিকায়ই বিজ্ঞাপন দেয়, যে পত্রিকার ভালো প্রচার সংখ্যা থাকে, প্রকাশ্যে পাওয়া যায়। যেহেতু ‘জাগো মুজাহিদ’ প্রকাশ্যে পাওয়া যায় না, জেহাদের নামে মানুষকে বিভ্রান্ত করে জঙ্গি বানানো যাদের উদ্দেশ্য, তাদেরকে কারা বিজ্ঞাপন দেয়? নিশ্চিত করেই বলা যায় তাদের এসব কার্জকর্ম যারা সমর্থন করে তারা। দেখা যায় ‘জাগো মুজাহিদ’-এর প্রায় প্রতিটি সংখ্যায় বিজ্ঞাপন দিয়েছে জামায়াতের ইসলামী ব্যাংক। এর থেকে কি কিছু প্রমাণ হয়?
এটাই প্রমাণ হয় যে, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে হরকাতুল জিহাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। প্রমাণ হয় যে, হরকাতুল জিহাদের জঙ্গি কার্যক্রমে উৎসাহ এবং পৃষ্ঠপোষকতা করেছে জামায়াতে ইসলামী।

সাপ্তাহিক ২০০০ এর বর্তমান সংখ্যায় এই মন্তব্য প্রেতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। পুরোটা পড়তে চাইলে ক্লিক করুন এখানে
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×