Focus (2015) ২২ শে ফেব্রুয়ারি ২০১৫ মুক্তি পায়। এটা উইল স্মিথ (নিকি) এর একটা সুন্দর সামাজিক মুভিজ। পৃথিবীতে কত ভাবে মানুষের সাথে প্রতারনা ও চুরি হয় তার একটা ভালো নিদর্শন।
Focus (2015) শুরু হয় একজন সাধারন মানুষ নিকিকে দিয়ে। প্রথমে তাকে দেখা যায়, বিষন্ন ও হতাশাগ্রস্থ মানুষ। একটা রেষ্টুরেন্টে বসে ডিনার করছে একা। তার সাথে সঙ্গ দিতে আছে সুন্দরী মার্গট রুবি ( জেস)। জেস তাকে জানায় যে, সে তার বয়ফেন্ডকে নিয়ে প্রবলেমে পড়েছে। নিকিকে সামান্য হেল্প করতে হবে। কিছুক্ষনের জন্য জেস এর বয়ফেন্ড হতে হবে। শুরু হয় আলাপ পরিচয়, গল্প। জেস তাকে নিয়ে যায় তার হোটেলের কামরাতে। তখন এসে পড়ে পিস্তল হাতে জেস এর ভুয়া স্বামী। জেস ছিলো একটা প্রতারক। সে চেয়েছিলো নিকির সমস্ত কিছু টাকা পয়সা নিয়ে নিতে। সে এবং তার সাগরেত দুজনে মিয়ে এই ভাবে লোক দের ভুলিয়ে ভালিয়ে টাকা ছিনতাই করত। কিন্তু তার জানা ছিলো না যে, নিকি এই কাজে সিদ্ধহস্ত। নিকি বলে, তোমাদের সেটআপ ঠিক হয়নি। সে তাদের ত্রুটি গুলো ধরিয়ে দেয়। জেস বলে, তুমি যখন আগেই বুঝতে পেরেছিলে, এটা একটা ফাঁদ, তাহলে এলে কেন? নিকির একটাই উত্তর ছিলো। "যাষ্ট প্রোফেশনাল কিউরিসিটি" ।
এর পরে, এক সন্ধ্যায়, নিকি জেসকে তার কেরামতি দেখায়। কিভাবে হাতসাফাই করতে হয়ে। কিভাবে একজনের সাথে আলাপ জমানোর পুর্বেই তার সমস্ত কিছু খালি করে দেওয়া যায়। জেস অবাক হয়। সে বুঝতে পারে, নিকি হাতসাফাই এর গুরুর গুরু। কিন্তু তার আরো বোঝা বাকি ছিলো।
সিনেমার এক পর্যায়ে দেখা যায়। নিকি জেসকে তার দলে টানতে চায়। তার জন্য তার কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়। এই পর্য়ায়ে সামান্য দেখা যায়, পকেটমার বা স্ট্রিট চোরদের কেরামতি। চোররা একটা টিম হিসাবে কাজ করে। পরীক্ষায় পাশের পর জেস বুঝতে পারে, এদের টিম কত বড়। সাধারন ফুটপাথ থেকে এয়ার পোর্ট, ব্যাংক বুথ, খেলার মাঠ, বাজার সবখানেই এদের অবাধ বিচরন। কোন প্রমান রাখে না। কোন হতাহত, মারামারি, বা কোন কিছুই লাগে না এদের। সবই প্লান করা। এদের চুরি মাত্র হাফ সেকেন্ডে।
এক পর্যায়ে নিকি সাথে জেস এর প্রেম হয়ে যায়। নিকি জানায়, তার এই হাতসাফাই এর যোগ্যতা তার পুর্বপুরুষ থেকে এসেছে। তার বাবা অসাধারন চোর ছিলো। অবস্য এটা সিনেমার শেষে প্রমান পা্ওয়া যায়। আমি নিজেরই অবাক হয়ে যাই। নিকের মত এত বড় মাপের বুদ্ধিমান চোরের থেকেও বড় চোর থাকে। এই সিনেমা দেখে বোঝা যায়, "বাাঁশের চেয়ে কুঞ্চি মোটা হয় না"। সিনেমার শেষ পর্যন্ত না দেখলে, আপনার অনেক কিছুই অজানা থেকে যাবে। আর সবার লাস্টে বলবেন, শালা! কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না।
এই মুভিজ একটা সচেতনতা তৈরি করবে সবার মধ্যে। রাস্তায় চলার ও সর্তক থাকা যে কত আবশ্যক তা শেখাবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:০১