সায়েম দাঁড়িয়েছিল রিমার সামনে। কিন্তু রিমা ওর ভালোবাসার মূল্য দিতে পারেনি। "সায়েম, আমার বাবা-মা কখনও তোকে মেনে নিবে না। ওরা জানলে খুব কষ্ট পাবে। আমি তোকে শুধুই বন্ধু হিসেবেই চাই।" রিমার এই কথাগুলোই যথেষ্ট ছিল সায়েমের ভিতরের সবটুকু ভেংগে দিতে। ও পারেনি সহ্য করতে। নিজেকে কিছুতেই সামলাতে পারেনি ও। মিতুর সাথে তখনই ওর যোগাযোগটা আরো বেড়ে যায়। মিতুকে আঁকড়ে একটু নিজের জগতটা ভুলতে চায় সায়েম। কিন্তু হয়তো ভাগ্য সহায় ছিল না মিতুর। রিমা ফিরে আসে। আর পাল্টে যায় সায়েমের জগতটাও। বুঝেই পায় না কি করবে ও?? কি করবে?? এখন মিতুকে কি বলবে? দু একবার বলার চেষ্টা করে ও। তারপর হাল ছেড়ে দেয় ও। মিতুকে কোনো কথা বলার প্রয়োজনীয়তা মনে করে না ও। চলে যায় নিশ্চুপে ওর ভালোবাসার কাছে।
হঠাৎ করেই সায়েমের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় মিতুর। ওর মোবাইলটা মাঝে মাঝে একটা বোঝা লাগে ওর। যার জন্য বাসায় এতটা ফাইট করে ও মোবাইল নিয়েছে সেই মানুষটাই তার কোনো খোঁজ নেয় না। এমন মানুষকে আর কি বলবে ও?? নিজেকে বুঝাতে পারে না কি এমন করেছিল সে যে এতটা কষ্ট পেল ও? কাকে বলবে? কি বলবে?
সায়েম কি আর ফিরেছিল মিতুর কাছে?? হ্যা, ফিরেছিল। ছয় মাস পরে ফিরেছিল তো ও। রিমার বাসায় জানাজানি হয়ে গিয়েছিল ওদের ভালোবাসার কথাটা। রিমার ভাই রিমাকে আর ওকে ডেকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিল এটা ওরা কখনও মেনে নিবে না। রিমার সাথে ওর ভালোবাসার মৃত্যু ওখানেই। হতাশাগ্রস্ত এক যুবক নেশার ঘোরে আর সিগারেটের ধুয়ায় হঠাৎ খুঁজে পেল একটা নাম্বার। বড় পরিচিত একটা নাম্বার। মায়াবতী একটা মেয়ের নাম্বার। তার মায়ায় বেঁধে রাখতে পারেনি একটা হতভাগা ছেলেকে। হ্যা, মিতু। মিতুই তো ......