
কেমন হয় যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘হ্যাশট্যাগ (#)’ ব্যবহারের মধ্য দিয়ে সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা যায়? যে কোন অপরাধ সংঘটিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ‘হ্যাশট্যাগ (#)’ ট্রেন্ডিং করবে এবং তাকে মেরে ফেলা হবে। যেমন, #DeathTo_Someone লিখে আমরা আমাদের মতামত ও বিচার সবার সামনে রাখবো। যখন এই হ্যাশট্যাগ কোন সোশ্যাল মিডিয়ায় এক হাজারে পৌঁছাবে তখন রাষ্ট্র তাকে মেরে ফেলবে।
সম্ভব হলে এখানে একটি আধুনিক ও বিজ্ঞ টেকনিক্যাল টিম কাজ করবে যাতে করে ‘বট (Bot)’ বা কৃত্রিম হ্যাশট্যাগ দিয়ে কেউ মারা না যায়। অথবা, শুধুমাত্র ব্যক্তিগত অপছন্দের জন্য কাউকে হ্যাশট্যাগ প্রদান করা যাবে না; ইত্যকার নিয়মও থাকতে পারবে। এছাড়াও এক হাজার হ্যাশট্যাগের পরিবর্তে এই বিজ্ঞ টিম সঠিক মানের হ্যাশট্যাগ ও তার সংখ্যা নির্ধারণ করতে পারেন। আমি এই নিবন্ধে এক হাজার হ্যাশট্যাগ বিবেচনায় নিচ্ছি একজন মানুষকে প্রকৃত অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে বিচার করবার জন্য বা মেরে ফেলার জন্য।
প্রতিদিন রাত ৯টায় একজন মানুষকে মেরে ফেলা হবে। বিশেষ করে যিনি এই হ্যাশট্যাগের তালিকায় শীর্ষে থাকবেন। ঐ ব্যক্তির মৃত্যুর সময় তার মৃত্যু সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ সম্প্রচার করা হবে। এতে করে একটি বড় অঙ্কের মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেরা নিজের মতামত প্রকাশ করতে পারবেন এবং সবাই সবাইকে বিচার করতে পারবেন।
মনে করুন, রাস্তা দিয়ে আপনি হাঁটছেন ঠিক তখন মি. করিম সাহেব পেছন থেকে আপনাকে বাজে ভাষায় গালি দিলো। আপনি কি করবেন? আপনি শুধু আপনার প্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া খুলে লিখবেন ‘#DeathTo_মি. করিম’। এখন মি. করিম যখন দেখবেন তার বিরুদ্ধে একটি হ্যাশট্যাগ যুক্ত হয়েছে তখন তিনি ভয় পাবেন এবং এমন কাজ দ্বিতীয়বার করার ক্ষেত্রে সাবধান হয়ে যাবেন। কারণ এই হ্যাশট্যাগের সংখ্যা এক হাজার হয়ে গেলে তাকে মেরে ফেলা হবে।
এই হ্যাশট্যাগ আপনার কর্মক্ষেত্রে আপনি আপনার বসের বিরুদ্ধেও ব্যবহার করতে পারবেন। ফলে কর্মক্ষেত্র থেকে ব্যক্তিজীবন নিয়ন্ত্রিত হবে একটি হ্যাশট্যাগ দিয়ে, ‘#DeathTo_Someone’। হঠাৎ করে এই ধরণের সমাজে আর কোন হত্যাযজ্ঞ ঘটবে না, ডাকাতি ঘটবে না, দূর্নীতি ও অনিয়ম চলবে না, ধর্ষণ ঘটবে না, রাজনীতির নামে লুটপাট ও টাকা পাচার ঘটবে না। এমনকি ব্যক্তি সম্পর্কও টক্সিক পর্যায়ে কখনো পৌঁছাবে না।
এই হ্যাশট্যাগের গল্প শুনে আমাদের কারো কারো মনে ইউটোপিয়ান একটি রাষ্ট্রের ধারণাও আসতে পারে। কিন্তু এই ‘হ্যাশট্যাগ জাস্টিস’ এর সাথে ‘চাইনিজ হুইস্পার্স (Chinese Whispers)’ এর সম্পর্ক কেমন ভয়াবহ হতে পারে?
ধরে নিচ্ছি, একজন সাংবাদিক তিনি যথেষ্ট আদর্শিক সাংবাদিক। তিনি কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করেন না। ধরে নিলাম, ঐ সাংবাদিকের নাম হলো মি. রহিম। মি. রহিমের খবর সবসময় বিশ্বস্ত হয়ে থাকে এজন্য দেশের সচেতন নাগরিক তাকে অনুসরণ করে থাকেন। এবং, মি. রহিম যাকে একবার অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করেন তাকে এই রাষ্ট্রে বেঁচে থাকার আর কোনো উপায় নাই, তাকে মরতেই হবে।
মানে হলো, মি. রহিমের সংবাদ পাওয়া মাত্রই তার বিরুদ্ধে নূন্যতম ১ লাখ ‘#DeathTo_Someone’ সোশ্যাল মিডিয়ায় দৃশ্যমান হতে পারে। আর ১ লাখ #DeathTo_Someone = নির্ঘাত মৃত্যু (একইদিনে)।
একদিন মি. রহিম জানতে পারলেন প্রত্যন্ত এক গ্রামাঞ্চলে একজন নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তিনি এক সেকেন্ড সময় অপেক্ষা না করে ঐ মহিলার কাছে গেলেন। খুব মনযোগ দিয়ে ধর্ষিতার কথাগুলো রেকর্ড করলেন। মি. রহিম ও তার মত ব্যক্তিদের একটি নির্দিষ্ট সাংস্কৃতিক বিশ্বাস আছে আর সেটা হলো, গ্রামে নারীরা ধর্ষণের শিকার বেশি হোন এবং তারা ন্যায় বিচার পান না।
সুতরাং জীবনে এই প্রথমবার মি. রহিম যিনি ধর্ষক তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য রাখতে দিলেন না। খুব দ্রুত তিনি তার এই রেকর্ড অনলাইনে ছেড়ে দিলেন ‘#DeathTo_Someone’ লিখে। আবার যারা মি. রহিম কে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুসরণ করেন তাদের সাংস্কৃতিক বিশ্বাস ও অনুধাবন প্রায় কাছাকাছি। এতে করে ঐ ধর্ষকের মৃত্যু প্রদান করা হয় সেদিন-ই রাত ৯টায় সবার সামনে।
কিন্তু কিছুদিন পার হতেই জানা গেল, আসলে যে যুবককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তিনি প্রকৃত ধর্ষক নন। এই যুবক একরাতে লক্ষ্য করেন কিছু ব্যক্তি ঐ মহিলাকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করছেন। একটু দূরে থেকে খুব মনোযোগ দিয়ে তিনি সেসব শুনতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি ভয় পেয়ে যান এবং ঐ নারীকে সতর্ক করতে বাধ্য হয়ে তার বাড়ির দরজা নক করেন।
রাত বেশি হওয়ায় ঐ মহিলা দরজা না খুললে তিনি দরজার কিছু অংশ ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং হাতে সময় কম থাকায় তিনি ঐ নারীকে জোর করে তার নিজের বাসায় নিয়ে যান। এই পুরো বিষয়টি এত দ্রুত ঘটে যে, তিনি কখন ঐ মহিলাকে বাঁচাতে গিয়ে তাকে স্পর্শ করে ফেলেছেন (Good Touch অর্থে) তিনি বুঝতে পারেন নাই। এবং পরবর্তীতে তিনি ঐ মহিলাকে কোনোভাবেই বুঝাতে পারেন নাই যে, তার উদ্দেশ্য খারাপ ছিলো না। কারণ ঐ নির্দিষ্ট সন্ত্রাসী গ্রুপ ধর্ষণ শেষে ঐ সুন্দরী মহিলাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন।
এখন চারদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলো। দেশের সকল সচেতন নাগরিক নড়েচড়ে বসলেন। এই প্রথমবার মৃত্যুর বদলে আরেকটি মৃত্যুর জন্য রায় দিলেন পুরো দেশের প্রায় ১ কোটি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী। তারা সবাই সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন ‘#DeathTo_মি. রহিম’। এবং বিশাল সংখ্যক এই নেতিবাচক হ্যাশট্যাগ পেয়ে বিজ্ঞ টেকনিক্যাল টিম মি. রহিমের একটি মর্মান্তিক মৃত্যুদণ্ড প্রদান করলেন সবার সামনে।
নিবন্ধের এই অংশে এসে কিছুটা মহাত্মা গান্ধীর কথা মনে পড়ে যাচ্ছে নিশ্চয়, “চোখের বদলে চোখ নিলে পুরো পৃথিবী অন্ধ হয়ে যাবে।” কিন্তু এই গল্পে কি পটেনশিয়াল ধর্ষকের শাস্তি কি প্রদান করা গেল? না, তাদের বিচার করা গেল না। উল্টো দুইজন নিরপরাধী মানুষকে মেরে ফেললো খোদ রাষ্ট্র।
আমি এতক্ষণ ধরে যে বিষয়ে বকবক করছি সে বিষয়ে ইতোমধ্যেই একটি সিরিজ পর্যন্ত নির্মিত হয়েছে। এই গল্পের সাথে ঐ সিরিজের পুরোপুরি মিল না থাকলেও অনেকটাই মিল খুঁজে পাবেন। আমাদের মধ্যে অনেকেই এই সিরিজ দেখেছেন। আর যারা দ্যাখেননি আপনারা চাইলে একবার দেখে নিতে পারেন।
এই হ্যাশট্যাগ ‘#DeathTo_Someone’ হলো ‘ব্ল্যাক মিরর (Black Mirror)’ সিরিজের ৩য় সেশনের ৬ষ্ঠ এপিসোড — এর একটি গুরুত্বপূর্ণ হ্যাশট্যাগ। এই এপিসোডটির নাম ‘Hated in the Nation (হেটেড ইন দ্য নেশন)’। এই এপিসোডে মানুষজন জনসাধারণের নিন্দনীয় ব্যক্তিদের মৃত্যুর জন্য ভোট দেয়। এর পিছনে কাজ করে একটি ডার্ক টেকনোলজি, যেখানে স্বয়ংক্রিয় রোবোটিক মৌমাছি (অটোনমাস ড্রোনস) ভোটে নির্বাচিত ব্যক্তিকে হত্যা করে।
এপিসোডটি সাইবার-থ্রিলার ও সামাজিক বিচারের নৈতিক দ্বন্দ্বকে ফুটিয়ে তোলে। এটি ব্ল্যাক মিররের সবচেয়ে দীর্ঘ এপিসোডগুলোর মধ্যে একটি (৮৯ মিনিট)। এপিসোডটির পরিচালক James Hawes, এবং এটি ২০১৬ সালে মুক্তি পায়।
তবে এটা তো গেল ফিকশন নির্ভর একটি উদাহরণ। মানে আমার নিবন্ধের সাথে একটি ফিকশনের যোগাযোগ। কিন্তু আমি যদি বলি এরকম হ্যাশট্যাগ আমাদের চেনা পৃথিবীতেও উপস্থিত আছে। হ্যাঁ, হ্যাশট্যাগ ‘মি টু মুভমেন্ট (#MeToo)’। সময়ের সাথে সাথে এই হ্যাশট্যাগ শুধু অপ্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠেনি, হাস্যকর একটি হ্যাশট্যাগে পরিণত হয়েছে। #MeToo আমাদের নিশ্চয় ইতিবাচক কিছু উদাহরণ সামনে এনেছে কিন্তু এর নেতিবাচক দিকও উন্মোচিত হয়েছে।
আগামীতে ব্যক্তিগত ভাবে জেন্ডার রিলেটেড কাজ করতে হতে পারে। সেসব মাথায় রেখে, আমার মতে, জনি ডেপ-অ্যাম্বার হার্ড মামলা হলো #MeToo আন্দোলনের একটি বিপর্যয়। ডেপের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরুষদের যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার প্রসঙ্গটি আলোচনায় আসে, যা #MeToo-এর সমালোচকদের যুক্তি (পুরুষরাও ভুক্তভোগী হতে পারেন) শক্তিশালী করে।
এতে করে ডেপের ক্যারিয়ারে মারাত্মক জটিলতা দেখা দেয়। এর পেছনে ইলন মাস্কের মত আরো শক্তিশালী ও ধনী ব্যক্তির উপস্থিতি আমাদের সবাইকে চিন্তায় ফেলে দেয়।
আবার সকল মানুষ ন্যায়ের বিচারক হতে পারে কি না, তা নির্ভর করে ব্যক্তির নৈতিক চেতনা, শিক্ষা, অভিজ্ঞতা, এবং পক্ষপাতমুক্ত বিচার করার সামর্থ্যের উপর। আইনগত বিচারকের ভূমিকা পালনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান, আইনের ব্যাখ্যা করার দক্ষতা, এবং সমাজের মূল্যবোধের গভীর বোঝাপড়া প্রয়োজন।
তবে সাধারণভাবে ন্যায়বিচারের প্রতি সচেতনতা ও নৈতিক দৃঢ়তা থাকলে মানুষ তাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে ন্যায়সঙ্গত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু পেশাদার বিচারকের ভূমিকা বিশেষায়িত দক্ষতা দাবি করে, যা সবার থাকে না। এখন চিন্তা করুন, বাংলাদেশের মত রাষ্ট্রে এই চিত্র কেমন? ভয়ানক নয় কি?
পুনরায়, যদি কোনো রাষ্ট্রে খুনের সংখ্যা অন্যান্য সকল খুনের সমষ্টির দ্বিগুণ হয় সেক্ষেত্রে এটি একটি অস্থিতিশীল, সহিংসতাপূর্ণ রাষ্ট্রের ইঙ্গিত দেবে, যেখানে আইনের শাসন ভেঙে পড়েছে, অপরাধ দমনে রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে, বা গভীর সামাজিক-রাজনৈতিক সংকেত বিদ্যমান। এমন রাষ্ট্রে নাগরিক নিরাপত্তাহীনতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন, এবং ন্যায়বিচার ব্যবস্থার সম্পূর্ণ বিপর্যয় ঘটতে পারে। এটি একটি ‘ব্যর্থ রাষ্ট্র' (Failed State)’-এর লক্ষণ হতে পারে, যেখানে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণযোগ্য নয় এবং জনজীবন অরাজকতায় পূর্ণ।
একটি সফল রাষ্ট্রের অন্যতম লক্ষ্য হলো অপরাধীকে সমাজে পুনর্বাসিত করা, যার সাফল্য নির্ভর করে সংশোধনমূলক নীতির উপর। নরওয়ে, ফিনল্যান্ডের মতো দেশে ৬০-৭০% অপরাধী পুনর্বাসিত হোন, কারণ সেখানে শাস্তির চেয়ে শিক্ষা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হয়।
নরওয়ের পুনরায় অপরাধের হার মাত্র ২০%—এটা প্রমাণ করে যে কারাগারকে শুধু শাস্তির স্থান না ভেবে সংশোধনের কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা গেলে অপরাধ কমে। পুনর্বাসনের মূল উপায় হলো অপরাধের সামাজিক কারণ—যেমন দারিদ্র্য, শিক্ষার অভাব, বা বৈষম্য—দূর করা। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা বলছেন, অপরাধীকে ‘সংশোধন’ করতে সমাজকেই প্রথমে ন্যায়সঙ্গত করতে হয়।
ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট বা মৃত্যুদণ্ডকে অনেকেই চূড়ান্ত সমাধান মনে করলেও বাস্তবে এটি অপরাধ সমাধানের বদলে নতুন সমস্যা তৈরি করে। প্রথমত, ভুল বিচারের ঝুঁকি থেকেই যায়: শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই গত ৫০ বছরে ১৯০ জন নির্দোষ মানুষ মৃত্যুদণ্ড থেকে ফিরে এসেছে। দ্বিতীয়ত, মৃত্যুদণ্ড অপরাধের হার কমায় না; বরং যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে, যেখানে মৃত্যুদণ্ড আছে, সেখানে কানাডা বা নরওয়ের চেয়ে হত্যার হার অনেক বেশি। তৃতীয়ত, এটি অপরাধের গভীর সামাজিক কারণগুলো—যেমন বেকারত্ব, মানসিক অসুস্থতা, বা বৈষম্য—এড়িয়ে যায়।
দার্শনিক আইমানুয়েল কান্টের যুগের ‘প্রতিশোধমূলক ন্যায়বিচার’ আজকের সমাজে অকার্যকর, কারণ এটি সহিংসতার চক্র বাড়ায়।
এই দীর্ঘ নিবন্ধে যদি কোথাও আপনাদের ‘মিডিয়া ট্রায়াল (Media Trial)’ বা ‘সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়াল (Social Media Trial)’ এর কথা মনে আসে তবে অনেক ভালো খবর। আমাদের উন্নতি হচ্ছে!
ছবি: Grok 3
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১২:২৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




