গ্রামের হিন্দু পরিবারের অল্প শিক্ষিত মেয়ে অর্চনা, যৌবণে ছিলো ভরপুর, অতি পুরনো কিছু ছেড়া কাপড় পরে সারা গ্রাম ঘুড়ে বেড়াতো। যদিও সে সাবলম্বী ছিলো, কিন্তু তার মন ছিলো অতি চন-চল। অর্চনার পরিবারে ছিলো মা-বাবা, ছোট ভাই, ছোট বোন, ঠাকুমা, সে’ই পরিবারে বড় মেয়ে ছিলো। অর্চনার বাবা শ্রাদ্ধের কাজ করেন, মাসে কয়েকটা শ্রাদ্ধের কাজ করে এতো মানুষের খেয়ে দেয়ে থাকা খুব কষ্টকর ছিলো তাছাড়া আবার ছোট ছেলে মেয়ের পড়াশুনার খরচ। অর্চনা সারাদিন গ্রাম ঘুড়ে বেড়াতো বলে তার বাবা-মা খুব বকাঝকা করতো আর ঠাকুমা শুধু খাওয়ার খুঠা দিতো। পরিবারটি এমন একটি অবস্থা ছিলো যে দুবেলা-দুমুঠো ভাত খাওয়ার মতো সামর্থ ছিলো না। এর মধ্যে আবার ছোট ভাইয়ের অনেক স্বপ্ন ডাক্তার হবে তাই ডাক্তারি পড়ছে, ছোট বোনের স্কুলের খরছ। সব মিলিয়ে যখন নানান সমস্যা তখন সে মন স্থির করে চিন্তা করলো সে একটা কাজ পায় কিনা। কাজ খুজতে লাগলে, একজন মহিলার কাছে গিয়ে পড়লো, মহিলাটি অর্চনাকে শহরে তার পরিচিত এক বড়লোক বাড়ীতে নিয়ে গেলো। বাড়িতে মালিক শুধু একাই তাকতো ওই বাড়িতে। মহিলাটি অর্চনার ব্যপারে সব খুলে বলল, বাড়ির লোকটি অর্চনার রূপ যৌবন দেখে পাগল হয়ে মহিলাটিকে আর্ফকে কিছু মোটা অংকের টাকা দিয়ে, মহিলাটিকে বিদায় করে দিলো। তারপর লোকটি শুরু করে দিলো অর্চনার সাথে জোড়-জবোদস্তি। অর্চনা যখন লোকটির কাছ থেকে বাচাঁর জন্য সেও জোড়-জবোদস্তি করছিলো তখন লোকটি না পেরে তাকে ছেড়ে দিয়ে মোটা অংকের কিছু টাকা ছুড়ে ফেলে বলে- তোমাকে জোড় করে কিছু করতে চাইনা তবে তুমি আমার এই ব্যপারে রাজি হউ তাহলে তোমাকে টাকা দিয়ে ঢেকে দিবো, একথা বলে লোকটি অনেকক্ষন অপেক্ষা করতে লাগলো। অর্চনা খুব অসহায় হয়ে ভাবতে লাগলো তার পরিবারের করুন অবস্থা, তার টাকা না হলো তার ছোট ভাইয়ের স্বপ্ন পূরণ হবে না, টাকা না হলে ছোট বোনের পড়াশুনা, বিয়ে আর এদিকে মা-বাবার অবস্থা। সবকিছু ভেবে যখন আর রাস্তা পেলো না তখন অর্চনা রাজি হয়ে লোকটি কাছে আত্মসর্মপণ করে । তারপর লোকটি অর্চনাকে ভোগ করতে করতে তার বন্ধুবান্ধব দেরকে নিয়ে সবাই কুকুরে মতো খেতে লাগলো আর টাকা ছড়াতে লাগলো। কুকুরের কামড় গুলো যেনো অনেক অসহ্য হলেও পরিবারের চিন্তা করে সবকিছুই সে সহ্য করে নেয়, তার জীবনটা যে কষ্টের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। আস্তে আস্তে যে অনেক লোকে সমাগম হয় আর অনেকেই যেন কুকুরের মতো তাকে ছিড়ে ছিড়ে খাচ্ছে, তার কাছে সেটা মনে হতে থাকে। এর কয়েকদিন পড় থেকে অর্চনার পরিবারের অবস্থা, একদম বদলে যায়, সবার মুখে হাসি ফুটতে থাকলো, বাড়ীতে কোন কিছুর অভাব হলো না। এই হাসি দেখে যেনো অর্চনার আনন্দে আর কিছুটা মনের কষ্টে চোখে পানি আসতো । ছোট ভাই এখন ডাক্তারি পাশ করেছে ছোট বোনের বিয়ের কথা হচ্ছে একটি ভালো ছেলে ও পরিবারে সাথে, ছেলের পরিবার থেকে অনেক কিছু দাবী করে বসে.. তখন অর্চনা সব দাবী মিটিয়ে বিয়ের কাজ এগিয়ে নিতে লাগলো। বিয়ের দিন অর্চনা যখন তার বোনের বিয়ে গেলো হঠাৎ করে শহরের কেউ একজন অর্চনাকে দেখে চিনে ফেলে। এর কিছুক্ষণ বাড়ীর সবার কাছে অর্চনার সেই করুন অবস্থা প্রকাশ হয়ে গেলো। তখনি যেনো পরিবারে সকলের মধ্যে যেনো অন্যরকম রূপ তৈরী হলো অর্চনার উপর সবাই একে দিক্কার দিয়ে কথা বলছে, ঘৃনা করে নানা রকম কষ্ট দায়ক কথা বলতে শুরু করলো এমনকি অর্চনার মুখে তার পরিবারের সবাই থু থু দিয়ে মরার জন্য বলতে লাগলো। অর্চনা নির্বাক হয়ে সবার দিকে তাকিয়ে শুধু চোখের পানি ফেলতে লাগলো, মনে মনে বলতে লাগলো যাদের জন্য আমার এ অবস্থা আজ তারাই আমার সাথে এই রকম ব্যবহার করছে!!! অর্চনা অনেক কিছইু সইয়েছে কিন্তু অনেক কিছু করার পর যে এই সব কথা আর সহ্য করতে পারলো না, হঠাৎ করে জ্ঞান হারি মাটিতে পরে গেলো..... পরিবারের সকলের মুখে হাসি ফুটিয়ে, সবাইকে খুশি রেখে আনন্দে রেখে অর্চনা আর চোখ খুলেনি। শেষ পর্যন্ত এতো কিছুর পর তাকে পরিবারের আঘাত পেয়ে পৃথিবীথেকে বিদায় নিতে হলো।
(এই রকম অনেক মেয়ে আছে অসহায় হয়ে তাদের সর্বস্ত হারাতে হয়, তাদের মানুষের কাছে ও সমাজের কাছে কোন মূল্য নেই তারা সমাজের কাছে পতিতা বলে গন্য হয়, কিন্তু কোন মেয়ে চায়না ইচ্ছে করে করে তাদের কুমারীত্ব বিসর্জন দিতে, পরিস্থিতি তাদেরকে অনেক কিছু করতে বাধ্য করে, তারা আমার কাছে পতিতা নয়, তারা আমার কাছে অনেক সম্মানিয় কেউ হয়তো )