শাড়ি, শাঁখা, সিঁদুর, ব্লাউজ পরিহিত ঢাকার এক হিন্দু ভন্ড গুরুজির কাহিনী শুনুন।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
হিন্দুধর্মে তো আর গুরুজির অভাব নাই, এবার এক নতুন গুরুজির আবির্ভাব হল, যার নাম “শ্রীমৎ আচার্য বিবেকানন্দ গোস্বামী এম.এ ট্রিপল (সপ্ততীর্থ)” । পরনে তার শাড়ি, শাঁখা, সিঁদুর, ব্লাউজ। তাকে মেয়ে ভাব্লে ভুল করে বসবেন। তার দৃষ্টি দেখে, এসব বেশ পোশাকের কারণ কী, তা যে যার মতো অনুমান করে নিন। তবে আমার ধারণা, এর কারণ - আমাদের মা-বোনের উপর এসব গুরুজির লোলুপ যৌনদৃষ্টি ছিল। কত মা-বোন যে এদের শিকার হয়েছে, তার সংখ্যা হয়তো নির্ণয় করা কঠিন। মা-বোনেরা হয়ত লজ্জায় কিছু বলেন নি।
একটা কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম। কেন সেই আশ্রমে গিয়েছিলাম। আসলে গিয়েছিলাম দুটো কারণে।
১. ঐ অনির্দিষ্ট লিঙ্গের গুরুজিকে দেখতে।
২. তার অনুষ্ঠানসূচী দেখে:
৩.০১ মিনিট:পরমাধ্য গুরুজির শ্রী বিগ্রহ স্থাপন। (ভগবানের বিগ্রহের দেখা নাই)
৩.১৫ মিনিট:গীতা পাঠ
৩.৩১ মিনিট:অতিথি বরণ
৩.৪৫ মিনিট: গুরুদেবের গুণকীর্তন (গুরুর কীর্তন!!!! আগে তো জানতাম রামের কীর্তন হত। আর কারো না।)
৫.০১ মিনিট: সঙ্গীতানুষ্ঠান (বেতার ও টিভি শিল্পীবৃন্দ) (সঙ্গীতানুষ্ঠান)
৬.০১ মিনিট: সন্ধ্যার আরতি
৬.১৫ মিনিট:গায়িত্রি জপ ও গুরুবন্দনা
৬.৪৫ মিনিট: শ্রীগুরু পূজা
৭.৩০ মিনিট: পরমারাধ্য গুরুদেবের জীবনী আলোচনা (গুরুদেবের জীবনী!!! ধর্ম কই?)
৮.০০ মিনিট: রাস আরতি কীর্তন
৯.০১ মিনিট: প্রসাদ বিতরণ
আচ্ছা উপরের আলোচনা থেকে বলুন তো, ভগবান কে? তিনি? আর কত তাঁর বন্দনা করা হবে? মানুষরূপী দেবতা।
এই সমস্ত অনুষ্ঠানের খরচ কত হবে বলতে পারবেন? আবার দেখলাম সঙ্গীতানুষ্ঠানের জন্য টিভি বেতারের শিল্পী নিয়ে আসা হয়েছিল। এ যেন কনসার্টধর্মী বিনোদন। সামান্য এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য এতো খরচ! টাকাগুলো আসে তো বলদ ভক্তদের পকেট থেকেই।
আবার তার স্লোগান:
সাধন ভজন করে অচল
বিগ্রহ সচল করা যায়,
ফটো দিয়ে কথা বলান যায়
তা না পারলে পূজার
সার্থকতা কোথায়?
মাঝে একটা লাইন দেখুন। ফটো দিয়ে নাকি কথা বলা যায়। আহা! কি হাস্যকর!
“ কৃষ্ণস্তু ভগবান স্বয়ম”।
এ কথা লেখার সার্থকতা বুঝতাম, যদি তার অনুষ্ঠানসূচীতে নিজের গুণকীর্তন না করে কৃষ্ণের গুণকীর্তন করতেন।
শুনেছি, জগন্নাথ হলে বাংলাদেশ সেবাশ্রমের কমিটি করার প্রয়াস চলছে। বোকা হিন্দু! ওদের বোঝালেই হয়, এ দেশ তোমার না, তোমার ধর্ম বাঁচাতে এগিয়ে এসো এই আশ্রমে ইত্যাদি ইত্যাদি। ধর্মরক্ষামূলক কথা আর এই কথা শুনে মুসলিম ছাগুদের মত হিন্দু পাঁঠারা এগিয়ে আসে আর ফাঁদে পা দেয় ঐ সব ভণ্ড ধর্মগুরুর। ফলে যা হওয়ার তা-ই হয়। লাভ হয় সব ধর্মগুরুর। ধর্মব্যবসা সেরা ব্যবসা প্রমাণিত হয়।
..................................................................................................
বিঃদ্রঃ লেখাটি একজন হিন্দু-লেখকের থেকে সংকলিত।
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না
নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা
সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১
নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়
সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।
হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন
আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই
সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন