সাধারণভাবে আমাদের শিক্ষার্থীদের ইংরেজী ভাষায় পারঙ্গমতা আশাব্যঞ্জক নয়। এটি আমরা প্রায় সকলেই জানি। বেসিক এবং কমিউনিকেটিভ ইংরেজী - দুটোতেই আমাদের সহজাত ব্যর্থতা রয়েছে। গেল কয়েকদিন ধরে এ নিয়ে আমরা কয়েকজন আলাপ করছি। ড. আবেদ চৌধুরীর অভিমত হলো ১২ বছর স্কুলিং-এর পরও আমাদের ইংরেজী জ্ঞান তথৈবচ। তিনি বলেছেন সম্প্রতি একজন urgent কে argent লিখেছে! এটিকে আমরা প্রতীকী অর্থেই ধরতে পারি। আবেদ স্যারের মতো আমিও জানি যে, ইংরেজী জ্ঞানের অভাবে আমাদের প্রবাসীদের একটি বড় অংশ তাদের সত্যিকারের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হোন। কী দুর্ভাগ্য! আবেদ স্যার অবশ্য আর একটি বিষয় বলেন সেটা হলো আমাদের মধ্যে ইংরেজী বা সাধারণ অর্থে জ্ঞানের প্রতি আগ্রহ কম। আমি কিছুটা একমত পোষন করি কারণ আমাদের স্বেচ্ছাসেবকদের আমি বলেছিলাম যে আমি তাদের জন্য একটি ইংরেজী কোর্স চালাতে পারি। আমার যেটুক সম্বল তা আমি তাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারি। কিন্তু কোন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না!!!
শুধু দেশের বাইরে নয়, দেশের মধ্যেও নানান ক্ষেত্রে ইংরেজী জ্ঞানের অভাবে অনেককে পিছিয়ে পরতে হয়। সে ব্যাপারে কারো কোন মাথা ব্যাথা আছে কীনা কে জানে?
আজ প্রথম আলোতে একটি খবর ছাপা হয়েছে এই ইংরেজী নিয়ে । সারকথা হল ইংরেজী জানা লোকবলের অভাবে সম্ভাবনাময় কলসেন্টার ব্যবসা লাটে উঠছে।
আমাদের ২০০ বছরের পুরোনো ইংরেজী শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু বোঝার পরেও আমরা কেহ সেটি নিয়ে ভাবিত নই। এটাই মনে হয় বেশি খারাপ।
এ অবস্থা উন্নয়নে ব্যক্তি, সমষ্টি , সম্প্রদায় বা গোষ্ঠী পর্যায়ে আমাদের কী কিছুই করার নাই?