নেদারল্যান্ডের আজকের সকাল টা শুরু হয়েছে অনেকটা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্য দিয়ে। এক টানা টিপ টিপ বৃস্টি। সাথে প্রচন্ড ঠান্ডা বাতাস। কিন্তু কে জানতো এমন দুর্যোগের মধ্যে আরেকটি দুর্যোগপূর্ণ সংবাদ অপেক্ষা করছে। ইনস্টিটিউট অব সোস্যাল স্ট্যাডিজ এর সম্মেলন কক্ষে সভা শুরু হয়েছে। এমস সময় শুচি আপা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন এন্ড জেন্ডার স্ট্রাডিজ বিভাগের ফ্যাকাল্টি, এখানে পিএইচডি করছেন, এসে জানালেন খুবই বেদনাদায়ক হারানোর সংবাদটি। খুব আস্তে বললেন, প্রিয় কবীর চৌধুরী, অধ্যাপক কবীর চৌধুরী আর নেই। মনে হলো এখনকার চলমান দুর্যোগের সাথে নতুন একটি দুর্যোগ যুক্ত হয়েছে। এখান কার দুর্যোগ হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যে কেটে যাবে। কিন্তু অধ্যাপক কবীর চৌধুরীকে হারানোর সংবাদটি তো আর হারাতো পারবো না। যিনি ছিলেন আলোক বর্তিকা হিসেবে একাডেমিক জগতে, ছিলেন লড়াই-সংগ্রামে, ছিলেন শ্রেণী কক্ষে, শ্রেণীর কক্ষের বাইরে, ছিলেন সংস্কৃতি অঙ্গনে, রাজনীতিতে। সাবসিডিয়ারী হিসেবে নাট্যকলা পড়ার সময় গ্রীক নাটকের বেশ কিছু অনুবাদ পড়ে ছিলাম, যার প্রত্যেকটিই তাঁর অনুবাদ করা। তার অবদান ছাড়া হযতো আমাদের গ্রীক নাটকের স্বাদ নেয়া কখনই সম্ভব হতো না। বিশেষ করে আমাদের কৈশোরে ও তারুন্যে।
কবীর চৌধুরী আজ নেই। কিন্তু তিনি আছেন। তিনি থাকবেন। শুধু আমাদের মাঝে নয়। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা........