বাউল শব্দটার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা তেমন না বুঝলেও মনে হয় এরা মানব দুনিয়ায় থেকেও ভিন্ন কোনো গ্রহের জাতি ! জৈবিক লোভ-মোহহীন, কামনা-বাসনাহীন এই মানব সদৃশ জীবগুলোর জীবন চরিত্রটাই একটু ভিন্ন স্বভাবের হয়ে থাকে ! জানামতে এরা সমাজের অপরাপর বিষয়বস্তু যেমন রাজনীতি, রংতামাশা ইত্যাদির সাথে একটু কম জড়ায় নিজেকে ! উদাসী স্বভাবের এই জীবগুলো অনাড়ম্বর জীবন ব্যবস্থাকে সবসময় প্রধান্য দেয় ফলে ভোগ-বিলাসিতা এদের কাছে তুচ্ছ জ্ঞান মাত্র ! শুধু নিজেকে জানা এবং ঈশ্বর শক্তিকে চেনা বোঝার প্রয়াসেই জীবনকে এরা উৎসগ করতে ব্যস্ত !
এইতো রাস্তার পাশের কত নেংটা পাগল প্রায় সময়ই দেখতে পাই ! এদের কর্ম ক্ষমতা লেবাসধারী মানুষের অজানা কিন্তু এই জীবগুলোর সমালোচনা করতে তাদের জুড়ি নেই ! তবে এই পাগলদের কর্ম ক্ষমতা বা ঐশী শক্তি অবলোকন করার সৌভাগ্য জীবনে যাদের হয়েছে একমাত্র তারাই ভালো বলতে পারবে এইসব পাগলদের সম্পর্কে ! যাহোক ভিন্ন প্রজাতির এই বাউল সম্প্রদায় এইসব নেংটা পাগল সম্প্রদায়ের ভক্ত অনুরাগী বলে জানা যায় !!
এ তো গেলো বাউল পাগল সম্প্রদায়ের সামান্য পরিচয় ! যেহুতু এরা লেবাসধারী সমাজের অন্তর্ভুক্ত সেহুতু এরা আদিকাল থেকেই নির্যাতিত নিপীড়িত সংখ্যালঘু প্রাণী হিসেবেই আধুনিক সমাজে অধিক পরিচিত !! মূলত এদেরকে ঘৃণার ফল হিসেবেই আধুনিক ইয়াবা সমাজের মূলভিত্তি বলে ধারণা করা হয় ! আজকের ল্যাঞ্জা জাকির, তেতুল হুজুর, চান্দু সাঈদীদের ধর্মের আপগ্রেড ভার্সন বললেও অত্যুক্তি হবে না ! কেননা ব্যাবরিত ঢিলা-কুলুপ যারা নেকীর পাল্লায় মাপার চিন্তা করে সমাজে ধর্মের বীজ বোনে তাদের উম্মদরা আর কতটুকুই বা বুঝবে ধর্ম সম্পর্কে ঈশ্বর জ্ঞান তো কল্পনার অতীত !
তাই এরা বাউল সম্প্রদায়কে ঘৃণা, মানুষিক নির্যাতন, কুপিয়ে জখম করবে না তো কারা করবে ? বাঁচিয়ে যে রাখে এটাই তো বাউলদের সাত জন্মের কর্মের ফল !
মজার ব্যাপার হচ্ছে এই লেটেস্ট হুজুদের ধর্মীয় চিন্তায় গড়া আধুনিক সমাজে যখন জঙ্গিধারী গজব নাজিল হইছে ঠিক তখনি এরাই আবার এই গজবের বিরুদ্ধে হাউ-কাউ শুরু কইরা দিছে ধুমছে !
ওরে অধম বাউল এবার তোরা নাকে তেল দিয়ে ঘুমা গাঞ্জার কল্কি পাশে রাখতে ভুলিস না যেন ! তবে আধুনিকরা যে নল লইয়া টানে তার মসৃন সুগন্ধে সমাজের বাতাস দূষিত হয় না, দোষ কিন্তু তোমাদের !!তাদের আড্ডা আঁখড়ার দেয়ালের পাশেও কিন্তু চাপাটি রামদালাদের ছায়াও খুঁজে পাওয়া যায় না ! কারণ আছে......! তাহলে যে দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠবে, মিডিয়ার ফোকাস বার বার আত্মচিৎকার দিয়ে উঠবে, মিছিল-মানব বন্ধন, গোল টেবিল আলোচনায় তো কষ্টে অপমানবোধে বারবার মুষড়ে পড়বে; আরও কত কি.........................!