বাংলা ভাষার ইতিহাস আজ আর নতুন করে বলার দরকার নেই। কিছু কিছু ইয়ো ইয়ো অপদার্থ বাদে সবাই এটা জানে। বর্তমানে আমরা অদ্ভুত এক ভাষাহীনতায় ভুগছি। ইংরেজী ভাষা বলতে আমদের দৌড় সর্বোচ্চ yo cool man, f**k পর্যন্তই। আশ্চর্য হলেও সত্য যে আমরা এই একটি ভাষা শিখতে আমাদের জীবনের ১২টি বছর ব্যয় করি। দোষ আমাদের না, ইংরেজী ভাষারও না। নিজের মাতৃভাষা বাদে প্রত্যেকের কাছে অন্যের মাতৃভাষা অনেক কঠিন। এবার আসি আসল কথায়। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় উচ্চ মাধ্যমিকের পর প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালের শিক্ষা কার্যক্রমই ইংরেজী নির্ভর। ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে শুরু করে honours সবই পড়তে হচ্ছে ইংরেজী ভাষায়। ফলাফল, না বুঝে মুখস্ত নির্ভর হয়ে পড়ছে অনেক পড়াশোনা। কোনরকমে পাশ করতে পারলে চাকরি করার ক্ষেত্রে দেখা দিচ্ছে আরেকটি সমস্যা। সেটি ভাষাগত নয়, সেটি হচ্ছে ওই মুখস্ত করা বিদ্যার অপকারিতা। কোন ব্যাপারেই clear concept না থাকার কারণে এই সমস্যা। ফলে আমরা জাতি হিসেবে পিছিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষিত হয়ে সার্টিফিকেটের মুল্যটা আমাদের কাগজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে যাচ্ছে। যদি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাটি বাংলা ভাষায় হতো, তখন আমাদের অবস্থাটা কেমন হতো? আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ইংরেজী অবশ্যই শিখতে হবে। এর জন্য GRE, IELTS তো আছেই। প্রয়োজনে ইংরেজী শেখার জন্য দু তিনটি কোর্স সিলেবাসে দেয়া যেতে পারে। উচ্চশিক্ষার জন্য বা বিদেশে চাকরি বা অন্যকিছু করার জন্য হিসাবটা আরও সোজা। কোন বিষয় নিয়ে যদি একজনের clear concept থাকে তবে সামান্য ভাষা তার প্রতিভাকে ঠেকাতে পারবে না। শেষ করছি এক বড় ভাইয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে। “যদি একটি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় শুধু H.S.C Standard ক্যালকুলাস এর প্রশ্ন থাকে, তখন আপনি হয়ত অবাক হবেন! আর যখন সেই প্রশ্নে ৭০% মানুষ পাশ করতে পারে না (যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গনিতে এমএস করেছেন এবং ভালো Result-ধারী), তখন আপনার কেমন লাগবে? আসুন, স্বপ্ন দেখি !”
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৫৯