somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মানসিকতার পরিবর্তন করুন,জীবনের পরিবর্তন ঘটবেই

১৬ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


"দৃষ্টিভঙ্গি বদলান জীবন বদলে যাবে" এটা আমার কথা না, কোয়ান্টাম মেথডের কথা। আমি বলি, "মানসিকতার পরিবর্তন করুন,জীবনের পরিবর্তন ঘটবেই"। অর্থাৎ আপনি মন থেকে যা করতে চাইবেন তাই করতে পারবেন।
লক্ষ্য স্থির করে দৃঢ় ইচ্ছার সাথে কঠোর পরিশ্রম করলে গন্তব্যে পৌছানো সময়ের ব্যপার মাত্র। এর জন্য আমাদের দরকার মানসিক প্রস্তুতি (Mental Set Up ). যদিও কম্পিউটার আমাদের ব্রেনের কয়েক লক্ষ ভাগে একভাগ তারপরও ব্যবহারিক প্রয়োগের দিক দিয়ে মানুষকে যদি কম্পিউটারের সাথে তুলনা করি তবে দেখা যায় মানুষের হার্ডওয়ার হচ্ছে হাত, পা, ত্বক, মাথাসহ সমস্ত শরীর আর সফটওয়্যার হচ্ছে মানসিক প্রস্তুতি (Mental Set Up).
কম্পিউটার এর হার্ডওয়ার ( মাউস, কিবোর্ড,সিপিউ,মনিটর, প্রিন্টার ) যতই ভালো থাকুক সফটওয়্যার ইনস্টল করা না থাকলে কোন কাজ করা যায় না। যেমন অপারেটিং সফটওয়্যার কম্পিউটার পরিচালনার জন্য এবং নির্দিষ্ট কাজের কাজের জন্য নির্দিষ্ট সফটওয়্যার (লেখালেখির জন্য MS Word, ছবি সম্পাদনার জন্য Photoshop) দরকার।
মানুষের প্রতিটি কাজের জন্য মানসিক প্রস্তুতি দরকার। কৃষকের মানসিক প্রস্তুতি থাকার কারনে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে দীর্ঘ সময় স্বতঃস্ফূর্তভাবে কৃষি কাজ করতে পারে। আমি আপনি কৃষিকাজ করতে পারি না কারন আমাদের মানসিক প্রস্তুতি( Mental Set Up) নাই বা সফটওয়্যার ইনস্টল করা নাই। তাই যে কোন কাজ করার পূর্বে ঐ কাজের প্রতি আন্তরিকতা বা মানসিক প্রস্তুতি (Mental Set Up) নিলে কাজটা সহজেই করা সম্ভব।
একটা শব্দই জীবনকে পাল্টে দিতে পারে তা হচ্ছে Attitude বা দৃষ্টিভঙ্গি। Positive Attitude বা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপকে শতভাগ সফল করতে পারে। আর মজার ব্যপার হলো ইংরেজি ভাষায় Attitude ই একমাত্র শব্দ যার মান একশত অর্থাৎ A এর মান ১ ও Z এর মান ২৬ ধরে প্রত্যেক Letter এর মান বসালে Attitude = ১+২০+২০+৯+২০+২১+৪+৫=১০০
-------------------------
উদাহরন নিম্নরূপ
মদ বিক্রেতাকে কেউ জিজ্ঞেস করে না মদে পানি মিশিয়েছে কি না! কিন্তু দুধ বিক্রেতাকে ঠিকই সন্দেহ করে পানি মিশিয়েছে ভেবে। কেউ সরকারি চাকরি না পেলে ভাবি তার যোগ্যতা নেই। আবার কেউ চাকরি পেয়েছে শুনলে জিজ্ঞেস করি- ঘুষ কত দিতে হয়েছে? আমারা সবক্ষেত্রে উদার দৃষ্টিভঙ্গি (Positive Attitude ) না দেখিয়ে নেগেটিভ মানসিকতা প্রদর্শন করি।।
আমরা লিখতে পারিনা, কিন্তু মুছতে ঠিকই পারি। আমরা কেউ কাজ করি না কিন্তু কেউ করলে তার ভুল ধরার জন্য বসে থাকি। আমরা গড়তে পারি না কিন্তু ভাঙতে পারি!! পরশ্রীকাতর এবং সমালোচনাটা আমাদের রক্তে মিশে গেছে।। ভালো কিছু করব না কাউকে করতেও দেব না।।
কেউ সাহায্য না করলে নিষ্ঠুর বলি। আবার কেউ আগ বাড়িয়ে সাহায্য করতে এলে সন্দেহ করি - লোকটার মতলব কী! আপনি কম দামি মোবাইল ইউজ করলে লোকে ডাকবে কৃপণ। আর দামী সেট ইউজ করলে মুখে ভেংচি কেটে বলবে- ফুটানি কত! আমরা কাউকে না আগাতে দেই, না পেছনে থাকা ব্যক্তিটাকে শান্তি দেই।
দূর এলাকার ছেলেটি গুগলে জব করছে শুনলেও বিশ্বাস করি অথচ পাশের ঘরের ছেলেটি গুগলে জব করার প্রিপারেশন নিচ্ছে শুনলেও ভাবি চাপাবাজি।
কারণ আমাদের ধারণা সফল ব্যক্তিরা পাশের গ্রামে জন্মায়, পাশের এলাকায় জন্মায় কিন্তু নিজের ঘরে জন্মায় না। আজ আপনি একটা গুছিয়ে রোমান্টিক লেখা দিয়ে স্ট্যাটাস দেন, লোকে ভাববে হুমায়ুন আহমেদের বই থেকে কপি মারছেন। আর ফেসবুকে উল্টাপাল্টা কিছু লিখলে লোকে ঠিক বিশ্বাস করে নিবে এটা আপনিই লিখেছেন। কাছের মানুষ যে ভালো কিছু করতে পারে তা বিশ্বাস করাটাই অনেকের কষ্ট হয়।
ফিল্টার করা বিশুদ্ধ পানি খেতে লাগে এক টাকা, আর পাবলিক টয়লেটে দূষিত পানি ইউজ করতে লাগে ৩ টাকা। দেশে আসলে নিষিদ্ধ জিনিসে আস্থা আর দূষিত জিনিসে বিশ্বাস আমাদের অনেক। আমরা লুকিয়ে পর্ণগ্রাফি দেখি অথচ প্রকাশ্যে দুটো ভালো উপদেশ কারো শুনিনা। গরীব মানুষের চরিত্রে অভিনয় করে অভিনেতারা হয়ে যাচ্ছেন বড়লোক, অথচ সত্যিকার গরীবরা গরীবই থেকে যায়। পৃথিবীতে সত্যি জিনিসের চেয়ে মিথ্যার দাম অনেক বেশি।
আমরা বড় বড় ডিগ্রি নিয়ে বড় কোম্পানিতে চাকরি করার স্বপ্ন দেখি, অথচ বড় একটা কোম্পানির মালিক হয়ে অনেককে চাকরি দিব সেই স্বপ্ন কেউ দেখিনা৷ তাই তো গ্র্যাকজুয়েশনের পর কোনো মা বাবা চান না তার ছেলে ব্যবসা করুক, সবাই ফাইল হাতে ধরিয়ে দেয় চাকরির খোঁজে।
আমরা কেউ অযোগ্যতার কারণে হেরে যাই না, বরং আমাদেরও যে যোগ্যতা আছে আমরা অনেকে তা বিশ্বাসই করতে পারিনা।
আসুন সবাই উদার দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে সুন্দর জীবন গড়ি। আ.মু।

সূত্রঃ কলি প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত “আমু ভাইয়ের প্রাসঙ্গিক বিষয়” বই থেকে নেওয়া।




সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:০৯
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×