বড্ড বেশি ভালবাসা ছিল তাদের মাঝে...পরিণয়ের পরিণতি বিয়েতে গিয়ে দাঁড়ায়...সেই যুগলের মধ্যে মেয়েটির মাধ্যমিকের পর আর পড়াশুনা করা হয়নি...এখন সে ভীষণ সিরিয়াস পরাশুনা নিয়ে তবে নিজের নয় বাচ্চার জন্য...বেশ কয়েকবছর আগে পরিবারকে পাশ কাঁটিয়ে যাকে বিয়ে করেছিল তার সঙ্গেই ঘর করছে সে...সেই ছেলেটাও যে নেহায়েত মন্দ ছিল তা না..
পরবর্তীতে সেই ছেলেটি জড়িয়ে পড়ে ‘অবৈধ প্রণয়ে’...আর তার স্ত্রী যখন বিষয়টা বুঝতে পারে তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে...তার এখন কিইবা করার আছে...স্বামীর সে প্রণয়িনী তার আশেপাশের আপনজন...হয়তো স্বামীকে সে বিষয়টা বলেছিল...স্বামী তাকে আশ্বস্ত করেছিল; একজন বিপদগ্রস্তকে সাহায্য করছি তোমার স্বামীর ‘পবিত্রতা’ নিয়ে নিঃসন্দেহ থাকতে পারো...
মেয়েটি সেই বিশ্বাসই করেছিল যেরকম বিশ্বাস সে বিয়ের আগে করেছিল...অনেক পরে সে বুঝতে পারে ঘটনাটা ভিন্ন...এবার সেই স্বামীই তাকে স্মরণ করিয়ে দেয়...মনে আছে বিয়ের সময় ৫০০ টাকার কাবিন করেছিলে...মেয়েটির মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তাইতো...এখন সন্তানের মুখের দিকে একবার তাকায়...তারপর পরিবারের কথা ভাবে...সে যথার্তই ভাবে পরিবারকে জানালে তারা বলবে; তুইতো প্রেম করে বিয়ে করেছিলি...
একজন ধর্ষিতা যেমন ধর্ষকের ঘর করে তেমনি স্বামীর ঘর করে সে...স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে অথবা করুণ বিচ্ছেদ হলে কি হবে সেই ভাবনায় দিন কাটছে তার...কোন কূল কিনারা খুঁজে পাচ্ছেনা সে...তার সবচেয়ে কাছের মানুষ যে গুটিকয় আছে তারা কেবল দোয়া করছে...আপদটা কেটে যাক ওই ধর্ষকেরই ঘর ‘সুখে শান্তিতে’ করুক সে...
পৃথিবীর মানুষের ভাবনা বড় বিচিত্র...
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৫৬