আজ ২৬ মে। ১৯৭১ সালের এই দিনে সিলেটের বালাগঞ্জে পাক বাহিনী ও তাদের দালালরা মেতে উঠেছিল হত্যাযজ্ঞে।
১৯৭১ সালের ২৫ মে একটি জীপে করে পাকবাহিনী ও রাজকাররা বালাগঞ্জের বুরুঙ্গা বাজারে প্রবেশ করে। লোকজন ভয়ে পালাতে থাকলে বলা হয় ভয়ের কোনো কারন নেই ২৬ মে স্কুল মাঠে কার্ড দেওয়া হবে। আপনারা উপস্থিত থাকবেন। এ আহবানে অনেকেই স্বস্থিবোধ করেন। ১৯৭১ সালের ২৬ মে লোকজন বুরুঙ্গা হাইস্কুল মাঠে জড়ো হতে থাকেন। পাক ক্যাপ্টেন নূর উদ্দিন রাজাকার ছাদ উদ্দিন ও আবদুল খালিকের নেতৃত্বে সকাল ১০ টায় পাকসেনারা স্কুল মাঠে অবস্থান নেয়। তারপর উপস্থিত লোকজনকে ২ ভাগে ভাগ করে গাছের নিচে বসানো হয়।
চারদিক থেকে পাকসেনার সশস্ত্র ভাবে ঘিরে রাখে স্থানটিকে। তারপর ক্যাপ্টেন নূর উদ্দিনের নির্দেশে শুরু হয় বৃষ্টিরমত গুলি বর্ষন। মুহূর্তের মধ্যে শহীদ হন ৭৮ জন। শহীদদের রক্তে লাল হয় স্কুলের সবুজ মাঠ। কয়েক জন চিৎকার দিলে তাদের উপর চলে অমানুষিক নির্যাতন। তারপর কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিতে একটু ও দ্বিধাবোধ করেনি পাকিরা।
মানুষ পুড়াগন্ধ বালাগঞ্জের আশপাশেও ছড়িয়ে পড়ে। পাকিরা তাদের রাজাকারদের নিয়ে আনন্দে স্থান ত্যাগ করে। পরদিন স্থানীয় লোকজন লাশগুলো বর্তমান স্কুল ভবনের পূর্বদিকে পুঁতে রাখেন। এই স্থানটিকে বালাগঞ্জবাসী ’৭১ এর গণকবর বলে জানেন।
(এটি সাময়িক পোস্ট। পুরুটা দেয়া হবে পরে। আজই দেব, তবে টাইপিংএ স্লো বলে দেরি করছি।)
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মে, ২০০৭ রাত ১১:৪৬