somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আততায়ী অতঃপর

০৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পর্ব ১

মর্গ। হিম শীতল কক্ষ টির এক প্রান্তে একটি দেহ। রক্তাক্ত, বিকৃত, ক্ষতবিক্ষত। নীল জিন্স, সাদা শার্ট। শার্ট টিতে জমে থাকা রক্ত খয়েরি রঙ ধারণ করেছে। লাশ। হ্যাঁ, লাশ। রক্তাক্ত, বিকৃত, ক্ষতবিক্ষত লাশ। লাশ টি সাদা কাপরে ঢেকে দেবার প্রয়োজন কেউ বোধ করেনি। না। পরনে সাদা শার্ট সেই কারণে নয়। সাদা শরীর, যা হিম শীতল কক্ষে আরও শুভ্র হয়ে উঠেছে সেই কারণেও নয়। বে ওয়ারিশ লাশ, সেই কারণেও নয়। বে ওয়ারিশ লাশ ও মর্যাদার সাথে দাফন করা হয়।
আচ্ছা, এই লাশ টা কি দাফন করা হবে?? মৃত্যুর পূর্বেও যে সুদর্শন এক যুবক ছিল। হয়ত তার জন্যে কোনও প্রিয়া অপেক্ষা করে বসে আছে! হয়ত মা পথ চেয়ে বসে আছে। কেও কি তাদের জানিয়েছে? হয়ত জানায়নি।
লাশ টির ভবিষ্যৎ কি হবে?? এ ধরণের লাশ এর কি হয়?? রক্তাক্ত, বিকৃত, ক্ষতবিক্ষত লাশ...... হয়ত বিকৃত এই লাশ টি কঙ্কালে পরিণত হবে, স্থাণ পাবে কোন মেডিকেল শিক্ষার্থীর কক্ষে।
লাশ টি দাফন হবেনা......। তার গায়ে জরাবে না কাফনের কাপড়। কেউ নিবে না লাশের দায়িত্ব। টিভি তে খবর শুনে হয়ত তার বাবা মা ছুটে আসবে লাশের সন্ধানে, হয়তবা আসবে না। আসলেও পাবে না লাশ। আচ্ছা ওর বাবা মা কি বেঁচে আছে??
বাবা মা যদি বেঁচে না থাকে তবে?? কোনও আত্মীয় কি আসবে লাশের খোঁজে??
এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টাও কেও করেনি।
কেন করবে?? কে ও?? ও তো কথাই বলতে পারেনা। লাশ তো কথা বলেনা। রক্তাক্ত, বিকৃত, ক্ষতবিক্ষত লাশ।
আততায়ীর লাশ। তার শার্ট এর বুক পকেট বরাবর একতা ছিদ্র। হৃদয় টা ক্ষতবিক্ষত বুলেটের আঘাতে। থেমে গেছে তার স্পন্দন।
হিম শীতল কক্ষ টির এক প্রান্তে একটি দেহ। রক্তাক্ত, বিকৃত, ক্ষতবিক্ষত। আততায়ীর মৃতদেহ।




পর্ব ২

গলি। নির্জন, নীরব।
১১/৩, আসাদ স্ট্রিট,
গলি টা যেন একটু বেশিই স্তব্ধ। আলোক স্বল্পতা গলিটাকে একটু বেশিই ভৌতিক করে ফেলেছে। মৃদু আলো ঘন ছায়ার খেলা যেন সর্বদাই গলি জুড়ে। দিনেও সূর্যের আলো পৌঁছাতে পারেনা আশেপাশের বাড়ীগুলোর সুবিশাল বৃক্ষের কারণে। স্যাঁতস্যাঁতে মাটি। গলির পাশের দেয়াল গুলোয় জমে থাকা শেওলা, মস গুলো যেন ১১/৩ আসাদ স্ট্রিট এর বিশেষত্ব প্রকাশ করে।
নির্জন, নিরব, স্তব্ধ ১১/৩ আসাদ স্ট্রিট...
১১/৩ আসাদ স্ট্রিট এ মোট ১১টি বাড়ি। মফস্বল এর প্রায় গলি গুলোই এমন হয়ে থাকে। নিরব, নির্জন, একটু বেশিই স্তব্ধ যেন। বড় শহরে বেরে ওঠা মানুষের কাছে এই গলি গুলো যেন একটু বেশিএ রহস্যময় ঠেকে। ১১/৩ আসাদ স্ট্রিট এর ৩ নম্বর বাড়িতে আসাদ সাহেব থাকেন।

না, এই আসাদ সাহেবের নাম এ গলির নামকরন করা হয়নাই। গলি তে ১১ টি বাড়ি, ৩ নম্বর বাড়িতে আসাদ সাহেব থাকেন সেই কারণেও এটি ১১/৩ আসাদ স্ট্রিট নয়। কিন্তু কেমন যেন অদ্ভুত একতা মিল। এতটা মিল সচরাচর চোখে পড়ে না।
১১/৩/২০১৩। ১১/৩ আসাদ স্ট্রিট। সময় রাত ১১টা ৩০।
নিরব, নির্জন, স্তব্ধ গলি টা কিছু সময়ের জন্যে আর নিরব রইল না। কোলাহল। মানুষে পরিপূর্ণ। নিরব গলিটাতে তিল ধারনের জায়গা নেই। উৎসুক মানুষের দৃষ্টি খুব অদ্ভুত। চোখে কিসের যেন অজানা ভীতি। কিছু জানার আশায় এদিক সেদিক তাকায়। বাতাসে নানা গুঞ্জন রটে, পাড়ার মহিলারা রঙ চং লাগিয়ে পুরো ঘটনার দৃশ্যপট ই পালটে ফেলে... তাদের আর কোনও কাজ নেই যেন...।
নিরব, নির্জন, স্তব্ধ গলি টা লোকে লোকারণ্য। সবুজ দেয়ালে লাল রঙ এর ছোপ। উৎসুক মানুষের অদ্ভুত দৃষ্টি.........


পর্ব ৩
আদ্রি, নম্র, ভদ্র, সুশীল একজন মেয়ে। ১১/৩ আসাদ স্ট্রিট এর ৪ নাম্বার বাড়িতে থাকে।
১১/৩/২০১৩। আজকের এই দিন টা অন্য সব দিনের মতো ছিল না। অন্তত আদ্রি এর জন্য তো নয় ই। নীল আজ ওদের বাড়িতে আসবে। আদ্রির বাবা ছেলেটার সাথে কথা বলতে চেয়েছে। আদ্রির মনে কোনও এক অজানা ভয় কাজ করছে। আচ্ছা, ভয় কিসের?? পাঁচ বছরের প্রেম। নীল আর আদ্রি। ওরা একে অপরকে অসম্ভব রকম বেশি ভালবাসে। নিলাদ্রি। সন্ধি বিচ্ছেদ করে নিলাদ্রি শব্দটিকে কে আলাদা করা যায় হয়ত... কিন্তু নিলাদ্রির অফুরন্ত ভালবাসা... ওটা পারমাণবিক বোমার আঘাতেও যে ভাঙার নয়, তা শুধু বন্ধুমহল কেন?? নিলাদ্রির বাবা মার ও অজানা ছিলনা।
তবে আদ্রির এত ভয় লাগছে কেন?? মনে নানা খেয়াল জেগে উঠছে। চিন্তিত হতে পারে, উদ্বিগ্ন হতে পারে, কিন্তু এত ভয় কিসের??
নীল আসাদ স্ট্রিট এর বাসিন্দা নয়। ও অন্য একটা মহল্লায় থাকে। ভাল ছেলে। চাকরি তে ঢুকেছে সম্প্রতি। বাবা মার একমাত্র সন্তান। মা বাবার আর্থিক অবস্থা যে খুব ভাল ছিল তা নয়। নীল একটা প্রাইভেট ফার্ম এ ঢুকেছে। বেতন বেশ ভালই।
আদ্রির মনে বিচিত্র খেয়াল জেগে উঠছে। নীল জিন্‌স, সাদা শার্ট এ নীল কে কেমন লাগবে?? আদ্রি কয়েক দিন আগে নীল কে গিফট করেছিল নীলের জন্মদিনে।
হঠাত আদ্রির ফোন বেজে উঠল। হ্যাঁ, নীলেরই ফোন। ও আসতে পারবেনা আজ। এক বন্ধুকে রক্ত দিতে যেতে হবে...... ফিরতে ফিরতে দেরি হবে। ১১/৩ আসাদ স্ট্রিট এ পৌঁছাতে রাত ১১টা বেজে যাবে। কিছু সময় নীরবতা।
হঠাত আদ্রি রেগে গেল। আশ্চর্য। হঠাত ও এতটা রেগে গেলো কেন?? হ্যাঁ, রাগার হয়ত যথেষ্ট কারণ আছে কিন্তু...... নীলের তো কোনও দোষ নেই...।
আদ্রি ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করলো। ও নীল কে অসম্ভব রকম ভালবাসে। ১১/৩/২০০৮, ১১/৩ আসাদ স্ট্রিট এই প্রথম পরিচয় ওদের। তারপর কেটে গেছে ৫টি বছর। আর মাত্র ৩৬৫ দিন। ২০১৪ তে আদ্রির এম বি বি এস কমপ্লিট হবে। ১১/৩/২০১৪ তে ওরা বিয়ে করবে।
নীল আদ্রি কে কষ্ট দিতে চায়নি। আদ্রির কান্না শুনে ওর খুব খারাপ লাগছিল।নম্র,ভদ্র, রাজকন্যার মতো মেয়েটা, কেমন বাচ্চার মতো কাঁদছে...।।

পর্ব ৪
আসাদ সাহেবের ছেলে আরমান। সিডনি থাকে। সিডনি থাকে বলতে, সিডনী তে ছিল। দেশে ফিরে এসেছে। আজকাল বিদেশ গিয়ে কেও ফিরে আসতে চায় না। বাংলাদেশে কি হবে?? শিক্ষার মর্যাদা নেই, শিক্ষিতের চাকরি নেই। রাজনৈতিক অরাজগতা। এই কারণেই দেশ ছেড়েছিল আরমান।। কিন্তু মন টিকলোনা। নাড়ির টান হোক কিংবা নারীর টান, ও দেশে ফিরে এসেছে ৭ তারিখে।
সিডনি তে ভালোই চলছিল তার। অনেক টাকা করেছে। এই টাকা দেশে বিনিয়োগ করবে সে। নিজের একটা ফার্ম খুলবে। ভার্সিটির পুরনো কতগুলো বন্ধু মিলে। বন্ধুরা সবাই কমবেশি প্রতিষ্ঠিত।
কিন্তু ওই যে, আমাদের বাংলাদেশ। যেখানে পতিতালয়, মাদকের আখরা খুলতে অনুমতির দরকার হয়না, ভাল কিছু করতে গেলেই সরকারের যত পেটের পীড়া। এইসব নিয়েই ব্যাস্ত ছিল আরমান। কাজের কাজ কিছুই হল না। তাই আপাতত ক্ষান্ত দিয়ে আরমান নারীর টানে মনোনিবেশ করলো।।
মিথিলা আরমানের ৩ বছরের জুনিয়র। মিথিলা ইন্সপেক্টর রহমান সাহেবের মেয়ে। বাড়ি নাম্বার ৯, ১১/৩ আসাদ স্ট্রিট। ওদের বিয়ের কথাবারতা চলছে। আরমান দেশে ফিরে আসায় মিথিলা যেন দেহে প্রান ফিরে পেল। আরমান যেদিন সিডনি চলে যায়, সেদিন মিথিলা নীরবে যে চোখের পানি ঝরিয়েছে তা আর সবার দৃষ্টি এড়ালেও মিসেস আসাদ তা ঠিক এ খেয়াল করেছেন।
মিথিলার মা মারা যায় তার জন্মের ৩ বছর পরেই। মিসেস আসাদ মিথিলাকে আজিবন নিজের মেয়ের মতই আগলে রেখেছেন। মিথিলা আরমানের মা রোকেয়া রহমানাকে মা বলেই ডাকে। এই নিয়ে ছোটবেলায় দুজনের সে কি ঝগড়া।
ছোটবেলার সেই ঝগড়া প্রেমে পরিনত হতে খুব বেশি সময় লাগলো না। রোকেয়া রহমানা খুব খুশিই হয়েছিলেন।
১১/৩/২০১৩। হঠাত জরুরি দরকারে আসাদ সাহেব এবং মিসেস আসাদ কে গ্রামে যেতে হল। মিথিলা ও সঙ্গে গেলো। আরমান যেতে পারল না কারণ তার কিছু কাজ পড়ে গিয়েছিল।
রাত ১১টা। হঠাত টিভি তে এক মরমান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ শুনে আরমান অনেক বিচলিত হয়ে উঠলো। মিথিলা, আসাদ সাহেব, রোকেয়া রহমানা কাউকেই পেল না ফোনে। পরনে থাকা সাদা শার্ট আর নীল জিন্‌স তা পড়েই বেরিয়ে গেলো।


পর্ব ৫
একদিন ডিঊটি শেষ করে বাড়ি ফিরলেন ইন্সপেক্টর রহমান। আজ যেন খুব বেশিই বিদ্ধস্ত লাগছে তাকে। মিথিলা এগিয়ে এল। অনেক দিন হয়ে গেলো বাবার সাথে ঠিক মতো কথাই হয়না। আজ কেন জানি বাবাকে খুব অসহায় লাগছে। টিভি তে খবর হচ্ছিল, ক্রসফায়ার এর খবর। রহমান সাহেব হঠাত ই যেন রেগে গেলেন।
মিথিলার মা মারা যাওয়ার পর তিনি আর বিয়ে করেন নি। তাকে দেখে বুঝার ই উপায় নেই তিনি ২৪ বছর বয়েসী এক মেয়ের বাবা। দুর্দান্ত, অকুতোভয় এক পুলিশ অফিসার। দায়িত্বে অবহেলা করেননি কোনোদিন। পুরস্কার ও পেয়েছেন অনেক। কিন্তু কোনও এক কারণে তিনি নিজেকে ক্ষমা করতে পারেন নি কোনোদিন।

১১/৩/২০১৩।
মিথিলা বাড়িত নেই। আসাদ সাহেব দের সাথে উনাদের গ্রামের বাড়িতে। মিসেস আসাদ এর ঋণ তিনি কোনোদিন শোধ করতে পারবেন না। মা মরা মেয়েটাকে মিসেস আসাদ যেভাবে নিজের মেয়ের মতো আগলে রেখে মানুষ করেছেন তা সত্যিই অতুলনীয়। রহমান সাহেব চিরকৃতজ্ঞ থাকবেন আজীবন।
পুলিশ এর উনিফরম টা আজ পরেন নি। আজ ডিউটি বলতে এক মন্ত্রি এসেছে শহরে। তার ই নিরাপত্তার জন্যে শহরের সব পুলিশ নিয়োজিত। তার ই তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন তিনি। এইসব কাজ তিনি অত্যন্ত ঘৃণা করেন। শহরের সব পুলিশ একজনের পিছে বাস্ত আর ঐদিকে সারা শহরের নিরাপত্তার কোনও খবর নাই। মিথিলা শখ করে বাবাকে এক সাদা শার্ট কিনে দিয়েছিল। ওটা পড়েই আজ গিয়েছিলেন। অসাধারণ লাগছিল তাকে সাদা শার্ট এ।
মন্ত্রি ফিরে গেলো ১০টার দিকে, তিনি আর বেশি দেরি করলেন না। খুব ক্লান্ত লাগছিল তার... এমনটা তো কখনও হয়নি... বাড়ি ফিরে মেয়েটাকে দেখতে পারবেন না ভেবে তার কেমন যেন লাগছিল।
অদ্ভুত কোনও কারণে তার আজ কিছুই ভাল লাগছিল না। ১১/৩ আসাদ স্ট্রিট এ পৌঁছালেন, রাত তখন ১১টা...।


পর্ব ৬

ইয়াশ। তাজ এর ছোটো ভাই। তার দৃষ্টিতে যেন চৈত্রের রোদ। প্রতিশোধ এর আগুন তার চোখে। নাহ, আগে তো ও এমন ছিল না। তাজ এর মৃত্যুটা ও কিছুতেই মেনে নিতে পারছিল না। অস্বাভাবিক মৃত্যু, অকাল মৃত্যু...।
তাজ এর তো কোনও দোষ ছিল না, ওকে কেন মরতে হবে?? ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলে তাজ। অস্বাভাবিক নিষ্ঠুর মৃত্যু!! মৃত্যু একটি চরম বাস্তবতা। সবাইকেই মরতে হয়! কিন্তু, অকাল মৃত্যু, খুবই মর্মান্তিক।
চৈত্রের রাত! লোডশেডিং! অসহনীয় গরম। পরদিন পরীক্ষা। পড়ছিল। ক্লান্ত। বাইরে যাবে। একটু হেটে আসবে। গেলো। বাড়ি থেকে বের হল।
হঠাত কোলাহল। দৌড়াদৌড়ি। গুলির শব্দ। আর্তনাদ। নীরবতা।
তাজ আর ফিরতে পারল না!
মৃত্যু! অকাল! অস্বাভাবিক! মর্মান্তিক! নিষ্ঠুর!!

রহমান সাহেবের কোনও দোষ ছিল না। নিয়তি! দাগি আসামি। পালাচ্ছে! গুলি ছুরল! তাজ কত্থেকে যেন মাঝে চলে এল। কিছু বুঝে উঠার আগেই!!
নিষ্ঠুর! নিয়তি খুব নিষ্ঠুর!!
১১/৩/২০১৩।
কিছু একটা করবেই ও! ভাইয়ের মৃত্যু টা ওর জীবন টাই যেন পালটে দিল! আজ তাজের জন্মদিন!!
ভাইয়ের জন্যে ও একটা সাদা শার্ট কিনেছিল। তাজ এর সাদা রঙ খুব প্রিয়। তাজ নেই!! ইয়াশ শার্ট টা পরে নিল। সাথে প্রিয় নীল জিন্স টা।
আজ কিছু করবেই ও। ওকে করতেই হবে!
আজ ও নিষ্ঠুর, ও নির্মম। দূর্বার। অপ্রতিরোধ্য। প্রতিশোধ! দৃষ্টিতে তার চৈত্রের রোদ। ঝলসে দিবে সবকিছু!!


শেষ পর্ব
গলি। নির্জন, নিরব।
১১/৩ আসাদ স্ট্রিট।

আদ্রির কান্না নীলের সহ্য হয়নি। ওকে কষ্ট দিতে পারেনি। চলে এল। আদ্রি কে চমকে দিবে ও। ১১/৩ আসাদ স্ট্রিট এর ৩ নাম্বার বাড়ি টা। আচ্ছা! আদ্রিকে দেখতে খুব ইচ্ছে করছিল ওর। কাঁদলে আদ্রি কে অস্বাভাবিক রকম সুন্দর লাগে। ১১ টা বেজে গেলো।
রহমান সাহেব কে বাড়িতে না পেয়ে আরমান দৌড়ে বেরিয়ে গেলো!! কোথায় যাবে ও?? কিছুই বুঝতে পারছে না! উদ্বিগ্ন! চিন্তিত!
রহমান সাহেব ১১ টায় আসাদ স্ট্রিট এ পৌঁছালেন! আজ যেন খুব বেশিই ক্লান্ত উনি!

ইয়াশ গলির কাছেই অপেক্ষা করছিল! কোত্থেকে যেন একটা পিস্তল আর ৬ রাউন্ড গুলি যোগাড় করেছে। আচ্ছা ও তো এমন ছেলে না!! ওর হাতে অস্ত্র মানায় না!

১১/৩ আসাদ স্ট্রিট! ৪ জন মানুষ মুখোমুখি। অস্ত্র। কোলাহল! ধস্তাধস্তি! লোড শেডিং! অন্ধকার! কয়েকটি গুলির শব্দ। অস্পষ্ট চিৎকার।

নীরবতা। ১১/৩ আসাদ স্ট্রিট খুব বেশিই নিরব যেন!!
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×