কাযা নামাযের সংজ্ঞা
যে কোন জরুরী কারণে সময়মত নামায পড়িতে না পারিলে ঐ নামায অন্য নামাযের পূর্বে বা পরে আদায় করাকে কাযা নামায বলে।
কাযা নামাযের নিয়্যাত
কাযা নামায এবং ওয়াক্তিয়া নামাযের নিয়ত একই রকম তবে পার্থক্য এইটুকু যে, কাযা নামাযে 'আন উছল্লিয়া' শব্দের স্থানে 'আন আকদিয়া' এবং যে নামায তাহার নাম বলিয়া 'আল ফা-য়িতাতি' বলিতে হইবে। যথা- আছরের নামায কাযা হইলে নিম্নরূপ নিয়ত বলিবেঃ
نَوَيْتُ اَنْ اَقْضِىَ لِلَّهِ تَعَا لَى اَرْبَعَ رَكْعَاتِ صَلَوةِ الْعَصْرِ الْفَا ئِتَةِ فَرْضُاللَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِالشَّرِيْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
উচ্চারণঃ নাওয়াইতুয়ান আকদিয়া লিল্লাহি তা’আলা আরবাআ রাকাআতি ছালাতিল আছরিল ফা-য়িতাতি ফারযুল্লাহি তা’আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বিশেষ দ্রষ্টব্য, নামাজের নিয়্যাত মুখে উচ্চারন করা জরুরী নহে। কিংবা আরবি ভাষার উচ্চারনে করাও আবশ্যক নহে। তবে জানিয়া না রাখিলে সংশয় কিংবা সন্দেহের অবকাশ থাকিতে পারে বিধায় নিয়্যাত জানা থাকা ভালো।
কাযা নামায পড়িবার নিয়ম
কাযা নামায দুই প্রকার। যথা:
১। ‘ফাওয়ায়েতে কালীল’ অর্থাৎ অল্প কাযা। যেমন- পাঁচ ওয়াক্ত পরিমাণ নামায কাযা হইলে উহাকে ‘ফাওয়ায়েতে কালীল’ বা অল্প কাজা বলে।
২। ‘ফাওয়ায়েতে কাছির’ অর্থাৎ বেশি কাযা। পাঁচ ওয়াক্তের অধিক যত দিনের নামাযই কাযা হউক না কেন উহাকে ‘ফাওয়ায়েতে কাছির’ বা অধিক কাযা বলা হয়। এ ধরনের কাযা নামায সকল ওয়াক্তিয়া নামাযের পূর্বে পড়িবে।
কিন্তু নিম্নোক্ত ক্ষেত্রগুলোতে কাযা নামাজ ওয়াক্তিয়া নামাজের পূর্বে পড়া আবশ্যক নহে। যথা-
(ক) কাযার কথা ভুলিয়া গেলে অথবা
খ) ওয়াক্তিয়া নামাযের ওয়াক্ত সস্কীর্ণ হইয়া গেলে বা
গ) কাযা নামাজ পাঁচ ওয়াক্তের বেশী হইলে কাযা নামায পরে পড়া যাইতে পারে।
পাঁচ ওয়াক্ত কিংবা তাহার কম ওয়াক্তের নামায না পড়িয়া থাকিলে তাহার তরতীবের প্রতি লক্ষ্য রাখিতে হইবে। আগের নামায আগে, পরের নামায পরে পড়িতে হইবে। যথা:
কোন ব্যক্তির ফজর এবং যুহরের নামায তরক/ কাযা হইয়া গিযাছে; এখন এই ক্ষেত্রে আছরের নামায পড়িবার পূর্বে সর্ব প্রথম উক্ত ব্যক্তিকে ফজরের কাযা আদায় করিতে হইবে। তারপরে তিনি যুহরের কাযা আদায় করিবেন। এরপরে আছরের ওয়াক্তিযা নামায আদায় করিবেন।
জানিয়া রাখা উচিত-
১) ফরয নমাযের কাযা আদায় করাও ফরয।
২) ওয়াজিব নামাযের কাযা আদায় করা ওয়াজিব।
৩) সুন্নত নামাযের কাযা পড়িতে হয় না। কিন্তু ফজরের সুন্নতের কাযা আদায় করিতে হইবে। অর্থাত, কোনো কারনে জামাআত তরক হইয়া যাওয়ার আশঙ্কায় কেহ যদি ফজরের সুন্নত না পড়িয়া সরাসরি ফরজ সালাতে অংশগ্রহন করেন, তাহলে তাহাকে সূর্যোদয়ের কমপক্ষে ২৩ মিনিট পরে উক্ত দুই রাকাআত সুন্নতের কাযা আদায় করিয়া নিতে হইবে।
৪) কাযা নামায জামাআতের সহিত আদায় করিলে ইমাম কিরাআত জোরে পড়িবেন। তবে যুহর এবং আছরে চুপে চুপে কিরাআত পড়িবেন।
৫) এক মাস বা তার চেয়ে বেশী দিনের নামায কাযা হইয়া থাকিলে উক্ত পরিমাণ সময়ের কাযা আদায় করিতে হইবে এবং তরতীবের প্রতি লক্ষ্য রাখিতে হইবে।
৬) জীবনের দীর্ঘ সময় ধরিয়া যে ব্যক্তি নামায পড়ে নাই বা ঠিক কত ওয়াক্ত নামায তরক করিয়াছে তাহার হিসাবও যাহার কাছে রক্ষিত নাই, সে যদি এখন তাহার পেছনের জীবনের নামাজ কাযা করিতে চায়, তবে প্রতি ওয়াক্তের ফরজ নামাজের পূর্বে তরতীব অনুযায়ী সেই ওয়াক্তের কাযা আদায় করিতে থাকিবে। সময় অনুকূলে থাকিলে প্রতি ওয়াক্তের সহিত কয়েক দিনের কাযাও আদায় করিয়া লইতে পারে। যেমন- ফজরের নামাজের পূর্বে দুই দুই রাকাআত করিয়া তিন দিনের মোট ছয় রাকাআত কিংবা পাঁচ দিনের মোট দশ রাকাআত কাযা আদায় করিয়া নিল। ইহাকে ‘উমরী কাযা’ বলে। ইহাতে অশেষ ছওয়াব রহিয়াছে।
কাযা নামাযের নিয়্যাত করিবার সময় নামাযের উল্লেখ করিয়া নিয়ত করিতে হইবে।
এক নজরে হজ্ব ও উমরাহ্
হজ্জের নিয়মকানুন:
হজ্জের ফরজ ৩টি। যথা-
১। ইহরাম বাধা ২। উ’কুফে আ’রাফা (আরাফাতের ময়দানে অবস্থান) ৩। তাওয়াফে যিয়ারাত
হজ্জের ওয়াজিব ৬টি। যথা-
(১) ‘সাফা ও মারওয়া’ পাহাড়দ্বয়ের মাঝে ৭ বার সায়ী' করা।
(২) উকুফে মুযদালিফা (৯ই জিলহজ্জ) অর্থাৎ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত এক মুহুর্তের জন্য হলেও মুযদালিফায় অবস্থান করা।
(৩) মিনায় তিন শয়তান (জামারাত) সমূহকে পাথর নিক্ষেপ করা।
(৪) ‘হজ্জে তামাত্তু’ ও ‘ক্কিরান’ হজ্জ আদায়কারীগণ ‘হজ্জ’ সমাপনের জন্য দমে শোকর করা।
(৫) ইহরাম খোলার পূর্বে মাথার চুল মুন্ডানো বা ছাটা।
(৬) মক্কার বাইরের লোকদের জন্য তাওয়াফে বিদা' অর্থাৎ মক্কা থেকে বিদায়কালীন তাওয়াফ করা।
এছাড়া আর যে সমস্ত আমল রয়েছে সব সুন্নাত অথবা মুস্তাহাব।
উমরাহর ফরজ ও ওয়াজিব
উমরাহর ফরজ দুইটি। যথা:
(১) ইহরাম পরিধান করা।
(২) তাওয়াফ করা।
উমরাহর ওয়াজিব দুইটি। যথা:
(১) সাফা ও মারওয়া মধ্যবর্তী (সবুজ বাতি) স্থানে সাতবার সায়ী করা
(২) মাথার চুল মুন্ডানো বা ছাঁটা।
তালবিয়া
”লাব্বাঈক আল্লাহুম্মা লাব্বাঈক, লাব্বাঈক, লা-শারীকা-লাকা লাব্বাঈক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্ নি’মাতা লাকা ওয়াল-মুল্ক, লা শারীকালাক।”
অর্থ: 'আমি হাজির, হে আল্লাহ! আমি উপস্থিত! আপনার ডাকে সাড়া দিতে আমি হাজির! আপনার কোন অংশীদার নেই! নিঃসন্দেহে সমস্ত প্রশংসা ও সম্পদরাজি আপনার এবং একচ্ছত্র আধিপত্য আপনার! আপনার কোন অংশীদার নেই!'
ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজ
(১) সেলাইযুক্ত যে কোন কাপড় বা জুতা ব্যবহার, এক্ষেত্রে স্পঞ্জ এর বিশেষ স্যান্ডেল ব্যবহার করা যায়, যাতে পায়ের পাতা খোলা থাকে।
(২) মস্তক ও মুখমন্ডল (ইহরামের কাপড়সহ যে কোন কাপড় দ্বারা) ঢাকা।
(৩) পায়ের পিঠ ঢেকে যায় এমন জুতা পরা।
(৪) চুল কাটা বা ছিড়ে ফেলা।
(৫) নখকাটা।
(৬) ঘ্রানযুক্ত তৈল বা আতর লাগানো।
(৭) স্ত্রীর সাথে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া।
(৮) যৌন উত্তেজনামূলক কোন আচরণ করা বা কথা বলা।
(৯) শিকার করা।
(১০) ঝগড়া বিবাদ বা যুদ্ধ করা।
(১১) চুল দাড়িতে চিরুনী বা আঙ্গুলী চালনা করা, যাহাতে উহা ছিঁড়ার আশংকা থাকে।
(১২) শরীরে সাবান লাগানো।
(১৩) উঁকুন, ছারপোকা, মশা ও মাছিসহ কোন জীবজন্তু হত্যা করা বা মারা।
(১৪) কোন গুনাহের কাজ করা, ইত্যাদি।
হজ্জের প্রকার ও নিয়তসমূহঃ
প্রথম প্রকার - হজ্জে ইফরাদ
সংজ্ঞা: উমরাহ্ ব্যতিত শুধু হজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধা এবং হজ্জের সাথে উমরাহকে না মিলানো। (বদলী হজ্জের জন্যও এই হজ্জ)।
নিয়্যাত
আরবিতে- 'আল্লাহুমা ইন্নী উরীদুল হাজ্জাল ইফরাদা ফাইয়াছছিরহু লি- ওয়াতাকাব্বালহু মিন্নী।'
বাংলায়- 'হে আল্লাহ, আমি ইফরাদ হজ্জের উদ্দেশ্যে আপনার সন্তুষ্টির জন্য ইহরাম বাধলাম। তা সহজ করে দিন এবং আমার পক্ষ হইতে কবুল করিয়া নিন।'
দ্বিতীয় প্রকার হজ্জে ক্কিরান
সংজ্ঞা: একত্রে একই স্থান হইতে হজ্জ ও উমরাহর নিয়্যাত করিয়া হজ্জের সাথে উমরাহকে মিলানো এবং একই ইহরামে উভয়টি আদায় করা।
নিয়্যাত
আরবিতে- 'আল্লাহুমা ইন্নী উরীদুল হাজ্জাল ক্কিরানা ফাইয়াচ্ছির লী- ওয়াতাকাব্বালহু মিন্নী।'
বাংলায়- 'হে আল্লাহ, আমি ক্কিরান হজ্জের উদ্দেশ্যে আপনার সন্তুষ্টির জন্য ইহরাম বাধলাম। আমার জন্য তাহা সহজ করিয়া দিন এবং আমার পক্ষ হইতে উহা কবুল করিয়া নিন।'
তৃতীয় প্রকার - হজ্জে তামাত্তু
সংজ্ঞা: একই সফরে পৃথক পৃথক ভাবে ‘ইহরাম’ পরিধান করিয়া ‘হজ্জ ও উমরাহ’ আদায় করা।
নিয়ম: প্রথম ইহরাম বাঁধিবার সময় শুধু উমরাহর নিয়্যাত করে তা পালন শেষে চুল কাটিয়া ‘ইহরাম’ খুলিয়া হালাল হইয়া দ্বিতীয়বার নতুন করিয়া হজ্জের নিয়্যাতে ৮ই জিলহজ্জ ‘মক্ক শরীফ’ হইতে হজ্জের জন্য ইহরাম বাধা। তামাত্তু করার ইচ্ছা করিলে প্রথমে উমরাহর নিয়্যাত করিয়া ইহরাম বাঁধুন।
শুধু উমরাহর নিয়্যাত
আরবিতে: 'আল্লাহুমা ইন্নী উরীদুল উ'মরাতা ফাইয়াচ্ছির লী- ওয়াতাকাব্বালহু মিন্নী।'
বাংলায়: 'হে আল্লাহ, আমি উমরাহ্ পালনের জন্য ইহরাম বাঁধিলাম তাহ আমার জন্য সহজ করিয়া দিন এবং আমার পক্ষ হইতে উহা কবুল করিয়া নিন।'
শুধু হজ্জের নিয়্যাত
আরবিতে: 'আল্লাহুম্মা ইন্নী উরীদুল হাজ্জা ফাইয়াচ্ছিরহু- লী- অয়াতাকাব্বালহু মিন্নী।'
বাংলায়: 'হে আল্লাহ, আমি পবিত্র হজ্জ পালনের জন্য ইহরাম বাঁধিয়া নিয়ত করিলাম। আপনি আমার জন্য তাহা সহজ করে দিন এবং কবুল করিয়া নিন।'
তাওয়াফের বিবরণ
হাজীদের সর্বপ্রথম কাজই হইলো (তামাত্তু ও ক্কিরান হজ্জ আদায়কারীগণ) নিজের মাল ছামান গুছাইয়া রাখিয়া পাক পবিত্র হইয়া মোটেই দেরী না করিয়া ‘হারাম শরীফে’ হাজিরা দেওয়া এবং ‘তাওয়াফ’ করা। উমরাহ এবং হজ্জের তাওয়াফ ব্যাতিত নফল তাওয়াফও করা যায়। যেমন: রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম, অলি আওলিয়াগন, আহলে বাইত, মা-বাবা, পীর-উস্তাদ ও অন্যান্য মুরুব্বী বা সন্তানদের স্মরনে বা তাঁদের নামে তাওয়াফ করা যাইতে পারে। ইহা অতি উত্তম সওয়াবের কাজ।
তাওয়াফের ওয়াজিব সমূহ:
(১) শরীর পাক-সাফ রাখা, ওজু করা। দ্রষ্টব্য. মহিলাদের হায়েজ নেফাছ অবস্থায় তাওয়াফ করা জায়েজ নাই।
(২) ছতর ঢাকা। অর্থাৎ যেটুকু ঢাকা প্রত্যেক পুরুষ-নারীর জন্য ফরজ তাহা ঢাকিয়া রাখা।
(৩) ‘হাতীমে কা’বার’ বাহির হইতে ‘তাওয়াফ’ করা।
(৪) পায়ে হাটিয়া ‘তাওয়াফ’ করা। অক্ষম ব্যক্তি খাটিয়ার মাধ্যমে ‘তাওয়াফ’ করিতে পারিবেন।
(৫) ‘হাজরে আসওয়াদ’ হইতে শুরু করিয়া ডান দিক দিয়া ‘তাওয়াফ’ শুরু করা।
(৬) এক নাগাড়ে বিরতিহীনভাবে ‘সাতবার চক্কর’ দিয়া ‘তাওয়াফ’ পূর্ণ করা।
(৭) ‘সাত চক্করে’ এক ‘তাওয়াফ’, এটা পূর্ণ হইলেই ‘তাওয়াফের’ নামাজ পড়া।
তাওয়াফের সুন্নত কার্যাবলী:
(১) ‘তাওয়াফে’র শুরুতে ‘হাজরে আসওয়াদ’ এর দিকে মুখ করা।
(২) সম্ভব হইলে ‘হাজরে আসওয়াদ’ চুম্বন করা। নতুবা হাত দ্বারা দূর হইতে ইশারা করা, এবং মুখে ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ’ বলা।
(৩) ‘হা্জরে আসওয়াদ’ বরাবর দাঁড়াইয়া তাকবীরে তাহরিমা’র ন্যায় উভয় হাত সিনা পর্যন্ত উঠানো।
(৪) যে ‘তাওয়াফে’র পরে ‘সাঈ’ আছে তাহাতে ‘ইযতিবা’ করা। অর্থাৎ ইহরামের চাদরের (উপরের অংশের) দুই মাথা ডান বগলের নিচ দিয়া বাম কাঁধের উপর ফালাইয়া দেওয়া।
(৫) ‘সাঈ’ যুক্ত ‘তাওয়াফে’র প্রথম তিন চক্করে ‘রমল’ করা। অর্থাৎ বীরের মত হেলিয়া দুলিয়া জোর ক্বদমে (একের পর এক পা ফেলিয়া) চলা।
(৬) বাকী চার চক্কর সাধারণ গতিতে (ধীরে ধীরে) সম্পন্ন করা।
(৭) প্রত্যেক চক্কর তাওয়াফ শেষ করিয়া এবং শেষ চক্করেরও পরে ‘হাজরে আসওয়াদ’কে চুম্বন করা। ভীড়ের কারনে না পারিলে দূর হইতে হাত দ্বারা ইশারা করা। এবং ইশারা করিয়া পূর্ববত 'বিসমিল্লাহি আল্লাহ আকবর ওয়ালিল্লাহিল হামদ' দুআটি পাঠ করা এবং ৩ নং নিয়মের ন্যায় দাঁড়াইয়া ইশারা করিয়া ‘তাওয়াফ’ শেষ করা।
তাওয়াফের নিয়্যাত:
আরবিতে: 'আল্লাহুম্মা ইন্নী উরীদু তাওয়াফা বাইতিকাল হারাম ফাইয়াচ্ছিরহু- লী, ওয়াতাক্বাব্বাল-হু- মিন্নী, সাবাআ’তা আশ্ওয়াত্বিন লিল্লাহি তায়া’লা।'
বাংলায়: 'হে আল্লাহ, আপনার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আমি আপনার সম্মানিত ঘর বাইতুল্লাহ ৭ বার তাওয়াফের জন্য নিয়ত করিলাম, সুতরাং, আমার জন্য তাহা সহজ করিয়া দিন, এবং তাহা আমার পক্ষ হইতে কবুল করিয়া নিন।'
সায়ীর নিয়ম:
‘হজ্জ ও উমরাহ’ ছাড়া নফল ‘তাওয়াফে’র কোন সায়ী নাই। কাহারও নামে উমরাহ করিতে হইলেও সায়ী করিতে হইবে। সায়ী অর্থ দৌঁড়ানো। ইহা ‘ছাফা’ পাহাড় হইতে প্রথমে শুরু করিতে হইবে। ছাফা হইতে মারওয়া। মারওয়া হইতে ছাফায়। এইভাবে সাতবার সায়ীর সময় প্রথম তিন চক্কর সবুজ বাতির মাঝের অংশটুকু দৌঁড়াইয়া দৌঁড়াইয়া হেলিয়া দুলিয়া যাওয়া সুন্নাত (পুরুষদের জন্য)। পরের চার চক্কর সাধারণ গতিতে সম্পন্ন করিতে হইবে।
সায়ীর সহজ দুআ:
'সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার ওয়া লা-হাওলা, ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা- বিল্লাহিল আ’লিয়্যিল আ’যীম, রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়াআনতাল আ-আজ্জুল আকরাম।'
সায়ীর দুআ:
‘ইন্নাছ্ ছাফা ওয়াল মারওয়াতা মিন্ শাআ’ইরিল্লাহ্ ফামান হাজ্জাল বাইতা আও-ই’তামারা ফালা- জুনাহা আ’লাইহি আইয়াত্ত্বাওয়াফা বিহিমা। ওয়ামান তাত্বাওয়াআ খাইরান ফা-ইন্নাল্লাহা শাকিরুণ আ’লীম।”
উপরোক্ত দুইটি দুআ সাতবার চক্করের সময় হাটিতে চলিতে পড়িতে হইবে। পরেরটি না পারিলে উপরেরটিই যথেষ্ট হইবে।
হজ্জ ও উমরাহর করনীয়:
এক নজরে তিন প্রকার হজ্জের জরুরী কাজ, হুকুম ও তারিখ সমূহ:
১ম প্রকার হজ্জে ইফরাদে ১১টি জরুরী কাজ
২য় প্রকার হজ্জে কেরানের জরুরী কাজ
৩য় প্রকার হজ্জে তামাত্তুর ১৫টি জরুরী কাজ
১ম প্রকার হজ্জে ইফরাদে ১১টি জরুরী কাজ:
৩টি ফরজ কাজ:
(১) ইহরাম (শুধু হজ্জের জন্য)।
(২) ৯ই জিলহজ্জ উ’কুফে আ’রাফা (সূর্য হেলার পর থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত)।
(৩) ১০ থেকে ১২ই জিলহজ্জ তাওয়াফে যিয়ারাত তবে ১০ই জি্বলহজ্ব তারিখই উত্তম।
(৪) অকুফে মুযদালেফায় ১০ই জিলহজ্জ সুবহে সাদেক সূর্য উদয় পর্যন্ত।
(৫) ১০ই জিলহজ্জ বড় শয়তানকে (জামারাতে আক্কাবায়) ৭টি কঙ্কর মারা। সুর্য হেলার পূর্বে দুপুর ১২টার আগে সুন্নত।
(৬) মাথা মুন্ডানো তবে দম দিতে হবে।
(৭) সায়ী ৯ তারিখের পূর্বে বা পরে) করে দিবেন।
(৮) ১১ তারিখে তিন শয়তানকে (প্রথম ছোট/মেঝ ও পড়ে বড়) ৭ক্ম৩=২১টি পাথর মারা।
(৯) ১২ তারিখে অনুরূপ তিন শয়তানকে ৭ক্ম৩= ২১টি পাথর মারা। সর্বমোট তিন দিনে ৭+২১+২১=৪৯টি কঙ্কর মারা।
(১০) ‘বিদায়ী তাওয়াফে’ (মক্কার বাইরের লোকদের জন্য) বিদায়ের পূর্বে। এটি ওয়াজিব।
(১১) তাওয়াফে কুদুম করা। (মক্কায় গিয়ে সর্বপ্রথম)
২য় প্রকার হজ্জে কেরানের ১৩টি জরুরী কাজ:
৩টি ফরজ কাজ:
(১) ইহরাম (হজ্জ ও ওমরাহর জন্য) ফরজ
(২) আরাফাতে অবস্থান। ফরজ
(৩) তাওয়াফুয যিয়ারাত।
১০টি ওয়াজিব
(৪) ওমরাহর তাওয়াফ
(৫) ওমরাহর সায়ী
(৬) হজ্জের সায়ী
(৭) অকুফে মুযদালিফায়
(৮) ১০ই জিলহজ্ব তারিখে বড় শয়তানকে ৭টি পাথর মারা (দুপুর ১২টার পূর্বে) সুন্নত।
(৯) দম দিতে হবে।
(১০) মাথা মুন্ডানো।
(১১) ১১ই জিলহজ্ব তারিখে তিন শয়তানকে পাথর মারা
(১২) ১২ তারিখে তিন শয়তানকে পূর্বের ছকের নিয়মে পৃথক পৃথক ভাবে সূর্য হেলার পরে নিয়ম অনুযায়ী পাথর মারা।
(১৩) বিদায়ী তাওয়াফ।
৩য় প্রকার হজ্জে তামাত্তুর ১৫টি জরুরী কাজ
৪টি ফরজ
(১) ওমরাহর ইহরাম (বাংলাদেশ)।
(২) হজ্জের ইহরাম (৮ তারিখ মক্কায়)
(৩) উ,কুফে আরাফা (৯ই জিলহজ্জ সূর্য হেলার পর থেকে সুর্যস্তের পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত)।
(৪) তাওয়াফে জিয়ারত (১০ তারিখ অথবা ১১, ১২ তারিখ)
১১টি ওয়াজিব
(৫) তাওয়াফে ওমরাহ (মক্কায় গিয়েই)
(৬) ওমরাহর সায়ী (ওমরাহ তাওয়াফের পরই)
(৭) মাথা মুন্ডানো (ওমরাহর পর)।
(৮) হজ্জের সায়ী
(৯) বড় শয়তানকে ৭টি পাথর মারা ( ১০ই জিলহজ্ব তারিখ সুর্য হেলার বা ১২টা পূর্বে) সুন্নত।
(১০) কুরবানী করা (পাথর মেরে ১০ তারিখ)।
(১১) মাথা মুন্ডানো দম দিতে হবে।
(১২) ১১ তারিখ তিন শয়তানকে ৭+৭+৭=২১টি পাথর মারা।
(১৩) ১২ তারিখে তিন শয়তানকে ৭+৭+৭=২১টি পাথর মারা (সর্বমোট তিন দিনে ৭+২১+২১=৪৯টি পাথর মারতে হবে)।
(১৪) বিদায়ী তাওয়াফ।
দিবস হিসেবে কোন আমল কোন দিন:
১ম দিন ৮ই জিলহজ্জ:
ইহরাম অবস্থায় (ফরয) মক্কা হইতে হজ্জের নিয়্যাতে মিনায় রওয়ানা হোন।
এ দিনের কাজ দু’টি। যথা:
(১) ইহরাম (ফরজ) (২) ৫ ওয়াক্ত নামাজ মিনায় আদায় করা (সুন্নাত)।
যুহর, আছর, মাগরিব, ইশা ও ৯ তারিখ ফজরসহ সর্বমোট ৫ ওয়াক্ত।
২য় দিন ৯ই জিলহজ্জ:
১। আরাফাতে অবস্থান (ফরজ)।
২। অকুফে মুযদালিফায় (ওয়াজিব)
আরাফাতে অবস্থান:
– ফজরের নামাজ মিনায় পড়িয়া আরাফাতের ময়দানের দিকে রওয়ানা হোন।
– আরাফাতে সূর্য্য হেলিয়া পরার পর অর্থাৎ ১২টার পর হইতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করা হজ্জের গুরুত্বপূর্ণ ফরজ।
– ওয়াক্তমত তাবুতে (মসজিদে নামিরায় না গেলে) বা আরাফার ময়দানে যে কোন স্থানে যুহরের সময় যুহরের নামাজ আদায় করুন।
– আসরের নামাজ আসরের সময় আদায় করুন, নির্দিষ্ট সময় বা আগে পরে, পৃথক পৃথকভাবে।
– উল্লেখ্য: ‘মসজিদে নামিরায়’ যুহর ও আসরের জামাআত এক আযান দুই ইকামাতে একত্রে আদায় করিলে একত্রে দুই ওয়াক্ত আদায় করিতে হয়, ইহার নাম ‘জাময়ি' তাক্বদীম’। কিন্তু তাবুতে বা অন্য কোন স্থানে একত্রে নহে। ভিন্ন সময় ভিন্নভাবে ওয়াক্তমত আদায় করিতে হইবে।)
অকুফে মুযদালিফায় (ওয়াজিব):
– সূর্যাস্তের পর সাথে সাথে মাগরিব না পড়িয়া মুযদালিফায় রওয়ানা হোন।
– মুযদালিফায় মাগরিব ও ইশার নামাজ এক আযান দুই এক্বামাতে একত্রে আদায় করুন। ইহা ওয়াজিব এবং ইহাকে ‘জাময়ি' তা'খীর বলে। ইহা জামাআতে পড়া উত্তম। মুযদালিফায় অবস্থান (ওয়াজিব) মুযদালিফায় থাকাকালীন পাহাড়ে অথবা তার পাদদেশে যে কোন ঘাস দুবলা থেকে খুঁজে খুঁজে পাথর মারার জন্য ৭২টি (চনাবুটের ন্যায় কঙ্কর) ছোট ছোট পাথর সংগ্রহ করিয়া ইহরামের কাপড়ে বাঁধিয়া নিন।
১০/১১/১২ তিন দিনে (৪৯টি পাথর) তিন শয়তানকে মারিতে হইবে।
– ১ম দিন ৭টি
– ২য় দিন ২১টি
– ৩য় দিন ২১টি
(সর্বমোট তিন দিনে ৭+২১+২১=৪৯টি )। তবে মিসিং হইতে পারে বলিয়া বেশী (৭২) নেওয়া সুন্নাত।
৩য় দিন ১০ই জিলহজ্জ:
এ দিনের মোট কাজ ৪টি
(১) বড় শয়তানকে পাথর মারা
(২) কুরবানী
(৩) মাথা মুন্ডানো এবং
(৪) তাওয়াফে যিয়ারাত করা
– মুযদালিফায় ফজরের নামাজ পড়িয়া সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত অবস্থান করুন (ওয়াজিব)।
– মিনায় পৌঁছাইয়া বড় শয়তানকে ৭টি পাথর সূর্য হেলার আগে (১২টার পূর্বেই) মারুন। (সুন্নাত)।
– তারপর তামাত্তু ও কি্বরান হজ্জকারীগণ কুরবানী করুন (ওয়াজিব)।
– এরপর ইহরাম খুলিয়া হালাল হইয়া স্বাভাবিক পোষাক পরিধান করুন। কিন্তু কুরবানীর পূর্বে নহে। (তবে ইফরাদ হজ্জকারী কুরবানী না করিলেও চলিবে)।
– চুল ছাঁটা বা মুন্ডানোর পর মক্কায় গিয়া (সম্ভব হলে উত্তম) আজই তাওয়াফে যিয়ারত করুন। আজ করা সর্বোত্তম। (ইহা ফরজ)।
– তাওয়াফ শেষে মিনায় আসিয়া রাত্রি যাপন করুন। ইহা সুন্নাত।
৪র্থ দিন ১১ই জিলহজ্জ:
– ১০ তারিখে কুরবানী, চুল ছাটা ও তাওয়াফে যিয়ারত না করিয়া থাকিলে আজ করুন।
– সূর্য হেলার পর হইতে (১২টার পর) মিনায় তিন শয়তানকে সূর্যাস্তের পূর্বে (প্রথম ছোট, তারপর মেজ অতঃপর বড়) ৭+৭+৭=২১টি পাথর মারুন (ওয়াজিব)। মিনায় রাত্রি যাপন করুন (সুন্নাত)।
৫ম দিন ১২ই জিলহজ্জ:
– তাওয়াফে যিয়ারত ১০/১১ তারিখে না করিয়া থাকিলে আজ সূর্যাস্তের পূর্বে অবশ্যই করুন।
– মিনায় সূর্য হেলার পর হইতে (সুন্নাত সময় হল) সূর্যাস্তের পূর্বে ৭+৭+৭=২১টি পাথর (ছোট, মেজ ও বড় ) শয়তানকে মারিয়া সূর্যাস্তের পূর্বে) মক্কায় রওয়ানার চেষ্টা করুন।
জরুরী কিছু কথা:
(১) তবে ১১/১২ তারিখ সূর্য হেলার পূর্বে পাথর মারিলে আদায় হইবে না। পূণরায় মারিতে হইবে। নতুবা দম দিতে হইবে।
(২) যদি ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্বে মীনা ত্যাগ করিয়া মক্কায় রওয়ানা না হন তবে ১৩ তারিখ পূনরায় তিন শয়তানকে ৭+৭+৭=২১টি পাথর (ছোট, মেজ ও বড় ) মারিয়া (পূর্বের নিয়মে) তারপর মক্কায় আসিতে হইবে।
(৩) তাওয়াফে যিয়ারতের উত্তম সময় ১০ই জিলহজ্জ (তবে ৩ দিন, এর সব মোট সময়) শেষ সময় ১২ই জিলহজ্জ সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
(৪) মক্কা হইতে মিনায় রওয়ানার পূর্বে যদি নফল তাওয়াফ করিয়া হজ্জের নিয়্যাতে সায়ী না করিয়া থাকেন (বা মিনায় আসেন) তাহলে হজ্জের পরে তাওয়াফে যিয়ারতের পর অবশ্যই হজ্জের সায়ী করুন। (ওয়াজিব)।
যিয়ারাতে মদীনাহ:
হজ্জের পূর্বে অথবা পরে (সুবিধামত) সময়ে হাজীদল তথা প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পাগলপাড়া উম্মতগণ এক মূহুর্ত একদিন তথা ৮ দিনের জন্য (সম্ভব হলে) নতুবা এক রাত হলেও মদীনা শরীফে যান এবং রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রওজা মোবারক যিয়ারত, রিয়াদুল জান্নাতে বসা (নামাজ আদায় করা) জান্নাতুল বাকী যিয়ারত করা এবং বিশেষতঃ ৮ দিনে ৪০ ওয়াক্ত নামাজ জামাআতে আদায় করাসহ বহু ঐতিহাসিক স্থান যেমন, উহুদ পাহাড়, বদর প্রান্তর দেখার সৌভাগ্য অর্জন করিয়া থাকেন। রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি গভীর থেকে গভীরতম প্রেম ভালবাসা আর নববী স্মৃতির পরশ পাওয়ার বাসনা ছাড়া মদীনা শরীফে আর কোন কাজ নাই। মূলতঃ মদীনা শরীফে মাসজিদে নববীতে নামাজ ও রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রওজা শরীফ যিয়ারতই হইল প্রধান কাজ। যদি সম্ভব হয় বা সময় সূযোগ থাকে তাহলে ৪০ ওয়াক্ত নামাজ মদিনা শরীফে আদায় করা উত্তম। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, ৮দিন=৪০ ওয়াক্ত থাকিতেই হইবে। ইহা ফরজ কিংবা ওয়াজিব নয়। আসলে ইহা সুন্নাত এবং হজ্জেরও অংশ নহে। মূলতঃ আশেকে রাসূলগনের জন্য রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রওজা মোবারক যিয়ারতের নিয়্যাতে যাওয়াই হইল মূল।
বদলী হজ্জ:
যে সকল মুসলিম নর-নারীর উপর হজ্জ ফরজ ছিল, তাঁহাদের মধ্যে যদি কেউ মৃতু্যবরণ করে অথবা জীবিত কিন্তু শারিরীক দুর্বলতা ও অসুস্থতা ও অক্ষমতার কারণে হজ্জ করিতে অপারগ হয়, তাহলে অন্য কাউকে দিয়া বিশেষ করিয়া বিজ্ঞ আলেম বা হজ্জে পারদর্শী ব্যক্তি দ্বারা তাঁহার বদলী হজ্জ করাইতে পারিবে। অর্থাৎ, যাঁহার জন্য বদলী হজ্জ করা হইবে তাঁহারই নামে ইহরাম পরিধান ও নিয়্যাত করিয়া অন্য একজন হজ্জ আদায় করিতে পারিবে।
আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে জানিয়া বুঝিয়া সঠিকভাবে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত নামাজসহ সকল আমল করার মত জ্ঞান অর্জনে ধন্য করুন। হজ্জ এবং উমরাহ উত্তমরূপে অদায় করার তাওফিক দান করুন।
ছবি কৃতজ্ঞতা: পিন্টারেস্ট।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৪০