somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এই ছেলেটির জন্য তার মা, ভাই বোন ও আত্নীয়রা উদ্বিগ্ন

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাবা মারা যাওয়ার পর অনেক কষ্ট করে সামান্য বেতনে বেসরকারী প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষকতা করে ছেলেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য পাঠিয়েছিলেন। ক্লায় কেশে কোন রকম জীবণ ধারণ করছেন। প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা পাঠাচ্ছেন ছেলেকে। ছেলেটি মানুষ হয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে একটা ভাল কর্মসংস্থান করতে পারে তবে বিধবা মায়ের অনেক ইচ্ছাই পূর্ণ হয়ে যায়।


এই ছবিটির যে কোন একটি আক্রমণকারী ছেলের কাহিনী

কিছুদিন আগে শুনলাম তার মায়ের কাছে ২০ হাজার টাকা চেয়েছে। ছাত্রলীগের নেতা হয়েছেন, তাই পরিচিতি পোষ্টার ছাপাতে উক্ত টাকা তার জরুরী দরকার। মা দেশের রাজনীতির হালচাল বুঝেন না। ছাত্রলীগ নেতা হলে যে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতে পারে অথবা সন্ত্রাসের স্বীকার হতে পারে সেটিও তার তেমন জানা নেই। একদিন আমাকে ছেলের টাকা চাওয়ার ঘটনাটি জানালেন তার মা। আমাকে অনুরোধ করলেন যেন আমি তার ছেলেকে একটু বুঝাই। সময় বুঝে একদিন তাকে অনেক বুঝালাম। বয়সের কারণে হোক অথবা আমার ব্যক্তিত্বের কারণে হোক ছেলেটি কখনো আমার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলে না। যা হোক ছাত্র রাজনীতি তথা ছাত্রলীগের কুখ্যাতি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ফিরিস্তি দিয়ে তাকে অনেক কথাই বললাম। আমার কথা পিঠে সে কোন যুক্তি দাঁড় করালো না। নিরব থেকে বিদায় নিল। সেদিন ১১ সেপ্টেম্বর সব গুলো পত্রিকায় তার ছবি ছাপা হয়েছে। একজন সন্ত্রাসীর ছবি। নিরীহ একজন প্রতিপক্ষ দলের ছাত্রকে নির্মমভাবে পিটাচ্ছে। বিভিন্ন অনলাইন নিউজেও তার ছবি দেখা গেছে।

ছাত্রলীগনেতা হয়েছেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের বড় পর্যায়ের এই নেতার পরিচিতিমুলক ছবিসহ পোষ্টার আমাদের এলাকার দেয়ালে দেয়ালে শোভা পাচ্ছে। কিন্তু এই ছাত্রনেতার সন্ত্রাসী কর্মের ছবির সাথে পোষ্টারের বক্তব্য ও ছবির কোন মিল পাই না।

আমাকে ব্যথিত করে, একটা নিরীহ ছাত্র কিভাবে ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় এমন সন্ত্রাসী হয়ে যায় এটা ভেবে আমি ভিতরে ভিতরে উদ্বিগ্ন হই। এর মায়ের সাথে দেখা হলে তিনি ইত্তেফাকসহ ভিন্ন পত্রিকায় উপরোক্ত ছবি ছাপা হয়েছে বলে জানান। আমি তাকে আশ্বস্ত করি, বলি তেমন কিছু হবে না-এটাই দেশের হালচাল। ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডার হলে আপনার মান ইজ্জত অনেক বেড়ে যাবে। উপরন্তু আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতার মা আপনার তো গর্ব করা উচিত। এতো কিছু বলার পরেও তার মা বোনের উৎকন্ঠার ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠে। আমার কথায় তারা আশ্বস্ত হতে পারেন না।


সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭



আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে লেখাটি সে বিষয়ে। এখানে এক শিম্পাঞ্জির কথা উদাহরণ হিসেবে টেনেছি মাত্র।

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×