অতিক্রমের কাঙ্ক্ষা
আমরা মাড়াতে চাই, অতিক্রমের লক্ষ্যে আমরা শুধু স্বপ্ন দেখি না, স্বপ্নের ক্যাথা ছেড়ে প্রকৃত মাটিতে হাঁটার পর্ব শুরু করি। কাঠামো অবকাঠামোর মধ্যে পচনে ব্যথিতের দায়ভার কাঁধে তুলে নিতে রাজী নই, উৎখাতের নতুন মন্ত্র পড়িয়ে পচন উন্মুখ জাতিকে দিতে চাই শুদ্ধতার স্বাদ। দেয়ালের শ্যাওলার আড়ালে ফর্সা রঙ পূণঃরায় পাওয়া না গেলে নির্লিপ্ততায় হারিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে চুনকামের নতুন মালমসলা তৈরীতে আমরা মনোযোগী হতে চাই। লেবু চিপসানো তেতো তর্কে না জড়িয়ে আমরা মনুষ্য জিজ্ঞাসার কারণ অনুসন্ধান করে জানাতে চাই অদৃশ্য কোন শক্তি নয়, আমাদের মাঝে লুপ্ত যে শক্তি তাই আমাদের মঞ্জিলে পৌছাবে। মানুষের উস্তিত্বের উপর আস্তা রেখে তাদেরে আমরা বিল্পবের নন্দিত ভাবনায় ভাবিত করাতে চাই।
অতিজাগতিক মোহগ্রস্ততা ত্যাগের বাসনা রাখি। ইন্দ্রিয়জ ভাবনার কেন্দ্রবিন্দুতে রাখি ভ্রমন অভিলাষ। পৃথিবীর প্রান্তের দিকে ক্রমাগত হেঁটে যাওয়া, হাঁটতে হাঁটতে মানবপরিবারে মিশে যাওয়ার কাঙ্খা লালন করে ঢুকে পড়ি। ওজ়োনস্তরের ক্ষতির ভয়াবহতা উপলব্ধ হলে খাদ্য, বস্ত্র, জল, শষ্য ইত্যকার যাবতীয় সরঞ্জাম সরবরাহের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে হবে, তজ্জন্য গ্লানি, অপমান, বেদনা, বিবমিশা, ক্রোধ যেন স্খলনের কারণ না হয়, বরংঞ্চ এই অনুসঙ্গ গুলিই যেন বিপুল প্রেরণা হয়ে রক্তপাত ঘটাবার দিনে ফিরে আসে। আমাদেরকে নতুন প্রণোদনা সৃষ্টির প্রয়াসে এগোতে হবে, সম্মিলিত শক্তিতে আস্থা স্থাপন করে পৌছাতে হবে।
ম্যাড়ম্যাড়ে জীবনের এই যে বয়ে চলা, আমরা তা অস্বীকার করে পেতে চাই স্পর্শের আনন্দ, ঘ্রাণের স্বাদ। আমরা আঘাত এলে পালিয়ে না গিয়ে প্রতি আঘাত করতে বদ্ধ পরিকর, অথবা আঘাতের প্রয়োজনীয়তা দেখলে আমরাই যেচে আঘাত করতে ব্রতী হতে চাই। চোখ বন্ধ রাখলে অন্ধকার থাকবেই, খোলা চোখে অন্ধকার তাড়িয়ে আমরা পুনর্বার মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই “সবার উপরে মানুষ সত্য”।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১০ ভোর ৬:৩৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




