somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রসরচনা ০২

০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হেলিকপ্টার

এক কৃপণ লোকের বহুদিনের শখ সে হেলিকপ্টার চালানো শিখবে। তো একদিন সে তার পার্শ্ববর্তী এক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গেলো যেখানে হেলিকপ্টার চালানো শেখানো হয়। সেখানে গিয়ে প্রশিক্ষককে বলল তার মনোবাসনার কথা। কিন্তু প্রশিক্ষক জানালেন যে, এখন কোন হেলিকপ্টার খালি নেই। সব প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু কৃপণ লোক নাছোড়বান্দা। সে কিছুতেই হেলিকপ্টার চালানো না শিখে যাবে না। এতো কষ্ট করে জুতার সোল নষ্ট করে এতদূর এসেছে অথচ কিছু না শিখেই চলে যাবে! তা তো হয় না। তার পীড়াপীড়িতে শেষতক প্রশিক্ষক তার ব্যক্তিগত হেলিকপ্টারটি দিয়ে প্রশিক্ষণ দিতে রাজি হলেন। কিন্তু এতে সমস্যা হল এই হেলিকপ্টারটি এক আসনের। দুইজন একসাথে কিছুতেই বসতে পারবে না। কৃপণ লোকটি বলল, “সমস্যা নেই। আপনি নিচ থেকে আমাকে ওয়ারলেসে ইন্সট্রাকশন দেবেন আর তা শুনে শুনে আমি চালাবো। কোন অসুবিধা হবে না।” দেখা গেলো লোকটা প্রশিক্ষকের কথামতো ভালোই হেলিকপ্টার চালাচ্ছে। প্রশিক্ষককে অবাক করে দিয়ে সে কপ্টারটিকে এক হাজার ফিট উপরে নিয়ে গেলো। কিছুক্ষণ পর দুই হাজার ফিটে। এক সময় সবাইকে অবাক করে দিয়ে তিন হাজার ফিটে উঠে রেকর্ড করে ফেললো। প্রশিক্ষক তো যারপরনাই মুগ্ধ। হঠাৎ অদূরে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হবার শব্দ শোনা গেলো। প্রশিক্ষক দৌড়িয়ে সেখানে গিয়ে দেখলেন তার এক আসনের কপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে। আর ভিতরে সেই লোকটা ব্যথায় কাতরাচ্ছে।
প্রশিক্ষকঃ আচ্ছা, আপনি তো ভালোই চালাচ্ছিলেন। তা হঠাৎ কি হল!
কৃপণ লোকঃ আর বইলেন না। আমি আপনার কথামতো বেশ ভালোই চালাচ্ছিলাম। এক সময় এক হাজার ফিট উপরে উঠলাম। দেখলাম আবহাওয়া বেশ ভালো। তারপর দুই হাজার ফিট উপরে। এখানে একটু ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা লাগলেও সমস্যা হচ্ছিলো না। কিন্তু যেই না তিন হাজার ফিট উপরে উঠলাম দেখি মারাত্মক ঠাণ্ডা। একেবারে জমে যাবার দশা। এমন সময় উপরে তাকিয়ে দেখি মাথার উপর বনবন করে একটা ফ্যান ঘুরছে। এতো ঠাণ্ডার মধ্যে ফ্যান চালানোর কোন মানে হয়! তাই আমি ওইটা বন্ধ করে দিলাম। আর তারপরই...............

সংগৃহীত

রসরচনা ০১
৯টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×